দুপুরের পর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা – ইউ এস বাংলা নিউজ




দুপুরের পর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১৬ 11 ভিউ
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে দুপুরের (১টা থেকে ২টা) পর চিকিৎসক থাকেন না। ইউনিয়ন, উপজেলা বা সদর, জেলা হাসপাতালেও এ দৃশ্য দেখা যায়। বুধবার ‘গ্রামীণ নারীদের মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও দাইমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে উবিনীগ ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নানামুখী সংকট রয়েছে উলে­খ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘মাতৃস্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করলে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা খুবই শোচনীয়। দেশে মাতৃস্বাস্থ্যের যে কর্মকাণ্ড দরকার ছিল, তার ধারেকাছেও স্বাস্থ্যব্যবস্থা নেই। স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনা করলে যে গুণগত মান রক্ষা করা প্রয়োজন, তা হাসপাতালগুলোতে নেই। যেখানে

৫০ জন মায়ের শয্যা রয়েছে, সেখানে ১০০ মাকে রাখা হয়েছে। এক শয্যায় তিনজন শিশুকে রাখা হয়েছে। সব জায়গায় করুণ চিত্র। চিকিৎসক সংকট প্রচণ্ড। সরকারি হাসপাতালে যত চিকিৎসক দরকার, তত নেই। বিভিন্ন কারণে তারা দেশের বাইরে অবস্থান করেন। পড়াশোনা, প্রাইভেট প্র্যাকটিস এসব নানা কারণে তারা চলে যান। উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, এখনো বেশির ভাগ সন্তান প্রসব হচ্ছে বাড়িতে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, সরকারি হাসপাতালে প্রসব কম হয়। প্রসবকালীন জটিলতা ও বিপদ সম্পর্কে দাইমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া দরকার। মায়ের অবস্থা জটিল বুঝতে পারলে দাইমারা যেন প্রসবের চেষ্টা না করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার পরিচালক সীমা দাস সীমুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তৃতা করেন স্ত্রীরোগ

ও প্রসূতিবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী। তিনি বলেন, গ্রামে ৫৩ শতাংশ প্রসব দাইমাদের হাতে হচ্ছে। মাতৃমৃত্যুর বড় কারণ হচ্ছে বাড়িতে প্রসব। এর মধ্যে ২২ শতাংশ মাতৃমৃত্যু হয় রাস্তায়। হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে রক্তপাতের কারণে মৃত্যু হয়। প্রতি ১০০টি স্বাভাবিক প্রসবের মধ্যে ১৫টিতে জটিলতা থাকে। প্রসবে সহায়ক ভূমিকা পালনের জন্য উচিত দাইমাদের অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ পরীক্ষা করার মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া। নারীপক্ষের প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরিন বলেন, প্রসবব্যথা যে কোনো সময় উঠতে পারে। অনেক সময় সময়মতো সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। দাইমারা নিঃস্বার্থভাবে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পাশে যে কোনো সময় এসে

দাঁড়ান। দাইমাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের সুইডেনে কুরআন অবমাননাকারী সেই যুবক গুলিতে নিহত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে? এস আলম পরিবারের ৩৬৮ কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ আলোচিত ‘ক্যাসিনো ব্রাদার্স’ এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড রাজধানীতে বাসায় ঢুকে দুই বোনকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১ হেলিকপ্টারটি কেন ওপরে বা নিচে গেল না: ট্রাম্প ইসিকে ভোটারদের আস্থা ফেরানোর পরামর্শ ইইউর ধর্ষণ মামলায় কংগ্রেসের এমপি গ্রেফতার চায়ের আমন্ত্রণ পাওয়া বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ জায়গা থাকলে ১০০ তলা ভবনও করতে দেওয়া হবে ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ, ১৯ লাশ উদ্ধার হেলিকপ্টারটি কেন ওপরে বা নিচে গেল না: ট্রাম্প ৮ ফেব্রুয়ারি শক্তি প্রদর্শন করবে ইমরান খানের দল ধর্ষণ মামলায় কংগ্রেসের এমপি গ্রেফতার যেভাবে মাঝ আকাশে বিমানের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয় (ভিডিও) বাংলাদেশের সাথে পাঙ্গা নিতে গিয়ে মহা বিপদে মোদি-মমতা! ‘আট বছরের বন্দিজীবনে আমি কখনও প্রধানমন্ত্রীর নিকট কোন আবেদন করিনি’ ট্রাম্পের সঙ্গ তর্ক করে চাকরি ছাড়লেন সাংবাদিক মাফলারকে নিউজ আইটেম করায় প্রেস সচিবের বিদ্রুপ!