দুই কমিশন প্রধানের ভাবনা সংস্কারের লক্ষ্য দলীয় প্রভাবমুক্ত করা – ইউ এস বাংলা নিউজ




দুই কমিশন প্রধানের ভাবনা সংস্কারের লক্ষ্য দলীয় প্রভাবমুক্ত করা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:৪৪ 85 ভিউ
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংস্কারের মূল লক্ষ্য হবে প্রতিষ্ঠান দুটির আইনি স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখা- এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত দুই সংস্কার কমিশন প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. বদিউল আলম মজুমদার। তাদের মতে, প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর রাজনৈতিক প্রভাব থাকলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না। দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যখন যে রাজনৈতিক সরকার আসে, তখন দুদককে বিরোধী দমনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। এই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন,

বর্তমানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগে যে আইন আছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইসি নিয়োগ আইন পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়াও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা, প্রার্থী ও দলের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনাও জরুরি। রাষ্ট্র সংস্কারে বুধবার ছয় খাতে পৃথক কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর এই কমিশনের প্রধান চূড়ান্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ কমিশনে সরফরাজ হোসেন, বিচার বিভাগে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুদকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসনে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসাবে রয়েছেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। এসব

কমিশনে অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে এসব কমিশন। পরে ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার। চূড়ান্ত পর্যায়ে শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ৩ থেকে ৭ দিনব্যাপী একটি পরামর্শ সভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে এই রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তার একটি ধারণাও দেওয়া থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ভাষায় এই আয়োজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণে গোটা জাতিকে আশাবাদী করে তুলবে। জানতে চাইলে দুদক

সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বৃহস্পতিবার বলেন, দুদকের ব্যাপারে আমরা দীর্ঘদিন কাজ করেছি। এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। আমাদের মূল্যায়ন হলো, যখন যে রাজনৈতিক সরকার আসে, দুদক তাদের হাতিয়ারে রূপ নেয়। এই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বিরোধীদের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে এমন কোনো নজির নেই। ফলে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দেব। এর মধ্যে কীভাবে দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেটি গুরুত্ব পাবে। দুদকের নিজস্ব প্রসিকিউশন থাকতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীন বলতে আইনি স্বাধীনতা, কোন আইন দিয়ে স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল, তা চিহ্নিত এবং সংস্কার করা। এছাড়াও

প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ও পরিচালনা নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার জরুরি। তবে কোনো স্বাধীনতায় কাজ করবে না, যদি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত না হয়। এর বাইরে দুদকের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বড় ধরনের সংস্থা রয়েছে। সে সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়। বিশেষ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশ থেকে যে অর্থ পাচার হয়, সে সবের বিষয় দুদকের ভূমিকা ও সীমাবদ্ধতার বিষয়ে সংস্কার হবে। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য যে সব সংস্থা রয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস অন্যতম। এ ধরনের সংস্থার সক্ষমতার অন্তরায় এবং এদের সঙ্গে দুদকের কীভাবে সমন্বয় হবে, সেগুলো দেখার চেষ্টা

করতে হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আমরা একটা আদর্শ দুদক পেয়ে গেলেও বাংলাদেশে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। কারণ এখানে বড় অন্তরায় হলো দেশে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিকভাবে দলীয়করণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এ দলীয়করণ প্রতিহত করার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এভাবে দলীয়করণ থাকলে যতই সংস্কার করা হোক, বাস্তবে তার ফল মিলবে না। আর এসব বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমানে আমাদের কোনো নির্বাচন কমিশনার নেই। প্রথমে সেই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ (ইসি) দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ইসি নিয়োগ আইন পরিবর্তন করতে হবে। কারণ বর্তমান নিয়োগ

আইনটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়াও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা, প্রার্থী ও দলের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা জরুরি। এক্ষেত্রে এগুলো নিরীক্ষা এবং সঠিকতা যাচাই করা জরুরি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। ফলে এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দলীয় ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনাররাও সঠিক দায়িত্ব পালন করেননি। তারাও পক্ষপাতিত্ব করেছেন। এসব বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চেন্নাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে কেকেআরের বড় লাফ রাজধানীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ আজ সেই সাত গোপন চুক্তি কর্মসংস্থানে বিএনপির টার্গেট ‘জেন-জি’ বিনিয়োগে ‘লাল ফিতা’র দৌরাত্ম্য কমবে সুশাসন নিশ্চিত হলেই তৈরি হবে বিনিয়োগের হাব অপরাধীদের ‘সেকেন্ড হোম’ বস্তির ৩০০ ঘর দূর-দূরান্তের মানুষ আসে মানত নিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’য় শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের নির্দেশনা ইলিশ গরিবের পাতে তোলা বড় কঠিন! না.গঞ্জে ফ্রি স্টাইলের ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ ভারতীয় কসমেটিকসহ চোরাকারবারি আটক পাকিস্তানের অনুরোধ রাখল সৌদি আরব বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশদের ৮টি গণহত্যা বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ করতে চীনের সঙ্গে চুক্তি করতে চান ট্রাম্প ‘জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া বা দ. আফ্রিকা সবাই আন্তর্জাতিক মানের প্রতিপক্ষ’ কোন রুট ব্যবহার করবেন ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই’ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আধা মণ দুধ দিয়ে গোসল স্বামীর