ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ
ইউনূস শাসনামল: গুমের পরে লাশ হয়ে ফিরলেন আরও এক মুক্তিযোদ্ধা
তাহের: জামায়াতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে ড. ইউনূসের
ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিলেন কার্নিশে ঝুলে থাকা গুলিবিদ্ধ সেই আমির
বুয়েটের শ্রীশান্তের জামিন নামঞ্জুর
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল
ইউনূস আমলে দেশে হত্যা-মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি: এক দশকে সর্বোচ্চ গত ৯ মাসে
ড. ইউনূসের সৌদি আরব সফর বাতিলের নেপথ্যে শেখ হাসিনার ছায়া?
আগামী ২৭-২৯শে অক্টোবর সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ‘নাইনথ এডিশন অফ দ্য ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ (এফআইআই)-এ অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারি সফর হঠাৎ বাতিল হয়েছে।
সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ড. ইউনূসকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজতন্ত্রের উষ্ণ সম্পর্কের ফলস্বরূপ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এই ঘটনা বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্কে নতুন মোড় এনেছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও পরিচালক শ্রমিকদের ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
গত জুলাই মাসে সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফের বিন আবিয়াহ প্রধান উপদেষ্টার কাছে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। এটি ছিল ২০১৭ সাল থেকে চলমান এই বার্ষিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম আমন্ত্রণ।
সরকারি
সূত্র অনুসারে, এফআইআই-এর ওয়েবসাইটেও ড. ইউনূসকে সাস্টেইনেবল স্পিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রতিনিধি দল ২৫শে অক্টোবর রিয়াদযাত্রা করার কথা ছিল এবং ড. ইউনূসের সফর ২৬শে অক্টোবর রাতে শুরু হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সৌদি পক্ষের সঙ্গে রাজা সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “সৌদি কর্তৃপক্ষ সফরের প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে। এর কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত।” এই বাতিলকরণের পটভূমিতে শেখ হাসিনার আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা উঠে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়লেও রাজনৈতিকভাবে
দূরত্ব ছিল। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের বাংলাদেশ সফর বাতিল হয় এবং পরবর্তীতে কয়েকটি বড় অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত থমকে যায়। শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের পরও সৌদি পক্ষ নতুন নেতৃত্বের প্রতি পুরোপুরি উষ্ণতা দেখায়নি বলে মনে করা হচ্ছে। একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক বলেন, “শেখ হাসিনার আমলে সৌদির সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক ছিল, কিন্তু এটি ছিল অর্থনৈতিক স্বার্থভিত্তিক। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়নের ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে।” সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেমিট্যান্সের উৎস এবং শ্রমিক রপ্তানির প্রধান বাজার। বর্তমানে লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক সেখানে কর্মরত। এই সফর বাতিল হলে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং
শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত আলোচনা ব্যাহত হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন অক্টোবরের শুরুতে সৌদি-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের উদ্বোধনে বলেছিলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।” এই ঘটনা সেই লক্ষ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, এই বাতিলকরণ সাময়িক হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পথ খুলবে। তবে শেখ হাসিনার যুগের অসমাপ্ত অধ্যায়গুলো নতুন সরকারের কূটনীতিকে পরীক্ষা করছে।
সূত্র অনুসারে, এফআইআই-এর ওয়েবসাইটেও ড. ইউনূসকে সাস্টেইনেবল স্পিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রতিনিধি দল ২৫শে অক্টোবর রিয়াদযাত্রা করার কথা ছিল এবং ড. ইউনূসের সফর ২৬শে অক্টোবর রাতে শুরু হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সৌদি পক্ষের সঙ্গে রাজা সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “সৌদি কর্তৃপক্ষ সফরের প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে। এর কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত।” এই বাতিলকরণের পটভূমিতে শেখ হাসিনার আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা উঠে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়লেও রাজনৈতিকভাবে
দূরত্ব ছিল। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের বাংলাদেশ সফর বাতিল হয় এবং পরবর্তীতে কয়েকটি বড় অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত থমকে যায়। শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের পরও সৌদি পক্ষ নতুন নেতৃত্বের প্রতি পুরোপুরি উষ্ণতা দেখায়নি বলে মনে করা হচ্ছে। একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক বলেন, “শেখ হাসিনার আমলে সৌদির সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক ছিল, কিন্তু এটি ছিল অর্থনৈতিক স্বার্থভিত্তিক। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়নের ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে।” সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেমিট্যান্সের উৎস এবং শ্রমিক রপ্তানির প্রধান বাজার। বর্তমানে লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক সেখানে কর্মরত। এই সফর বাতিল হলে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং
শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত আলোচনা ব্যাহত হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন অক্টোবরের শুরুতে সৌদি-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের উদ্বোধনে বলেছিলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।” এই ঘটনা সেই লক্ষ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, এই বাতিলকরণ সাময়িক হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পথ খুলবে। তবে শেখ হাসিনার যুগের অসমাপ্ত অধ্যায়গুলো নতুন সরকারের কূটনীতিকে পরীক্ষা করছে।



