টিকটক ফাঁদে অসহায় অভিবাসীরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




টিকটক ফাঁদে অসহায় অভিবাসীরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:০১ 42 ভিউ
সম্প্রতি চোরাচালানকারীদের জন্য টিকটক একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যার ফাঁদে পড়ছেন অসহায় অভিবাসীরা। ‘যদি আপনার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না থাকে তাহলে আমাদের বিশ্বাস করুন। আমরা আপনাকে নিরাপদে পৌঁছে দেব’-টিকটকে পোস্ট করা এমন ভিডিওর মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতেই বিপদে পড়ছে তারা।খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথ কিছুটা কঠোর হওয়ায় টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো চোরাচালানকারী এবং অভিবাসী উভয়ের জন্যই একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যার মাধ্যমে অভিবাসীদের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে আদম ব্যবসার চোরাপথ এখন টিকটকই। সিউদাদ জুয়ারেজ থেকে টেক্সাসের এল পাসোতে অভিবাসীদের নিয়ে আসা একটি চোরাকারবারি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত ২৪ বছর বয়সি সোয়ারি এপিকে বলেছেন, টিকটকের মাধ্যমে

সারা বিশ্বে খবর দেওয়া যায়। এই কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশল পরিবর্তন করে চলতে হয়। ১৯ বছর বয়স থেকে চোরাচালানে কাজ শুরু করেন সোয়ারি। থাকতেন এল পাসোতে। সম্প্রতি সীমান্ত পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র পাচার করার কাজ করছেন। পাচারকারী সংগঠনের সঙ্গে কাজ করার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এ কাজকে বেছে নিয়েছেন তিনি। কারণ আগের চাকরির তুলনায় এ কাজে বেশি আয় করতে পারেন সোয়ারি। সীমান্তের উভয় পাশেই ধীরে ধীরে তার যোগাযোগ বাড়তে থাকে। অন্য চোরাচালানকারীদের মতো সোয়ারিও সীমান্ত পার হওয়ার পর ক্যামেরার সামনে অভিবাসীদের কথা বলার ভিডিও ধারণ করতেন। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দলের অন্যদের কাছে প্রমাণ পাঠাতেন যে তার ক্লায়েন্টরা নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছেছে। এখন

তিনি সেই ক্লিপগুলো টিকটকে পোস্ট করেন। এভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিবাসীদের বিশ্বাস অর্জন করেন তিনি। তার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বলা হয়-‘আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আমরা আপনাকে সিউদাদ জুয়ারেজের (মেক্সিকান রাজ্যের শহর) মধ্য দিয়ে অতিক্রম করাব।’ মার্কিন কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এই ধরনের ভিডিওগুলো অভিবাসীদের প্রতারণা করতে বা তাদের ফাঁদে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অপহরণ এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই অভিবাসীদের কাছে আরও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উপায় হিসাবে এর ব্যবহার করছে। অভিবাসী চোরাচালানের বিষয়ে জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গুয়াদালুপে কোরিয়া-ক্যাব্রেরা বলেছেন, অভিবাসন সহজতর করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের দিকে শুরু হয়। চোরাচালানকারীরা প্রথমদিকে

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার শুরু করে। পরবর্তীতে টিকটক এ কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। বিশেষ করে মহামারির পরে টিকটকের ব্যবহার বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন কোরেয়া-ক্যাব্রেরা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনীর স্ত্রীরা কী করেন? উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হবে হংকংকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেফতার পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত মোদিকে প্রশংসায় ভাসালেন নেপালের হবু সরকারপ্রধান সুশীলা নেপালে সেনাশাসন চাইছেন সেনাপ্রধান নেপালে জেন-জি আন্দোলনে ক্ষতি ২০০ বিলিয়ন রুপি বোনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড মালয়েশিয়ায় পুলিশের ওপর হামলায় ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গহরই হতে পারেন পিটিআইয়ের শেষ ভরসা দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ ভোট বর্জন করে পুনর্নির্বাচনের দাবি ৪ প্যানেলের জাকসুতে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানাল কমিশন ‘চাকসুতে অংশ নেবে কিনা ভেবে দেখছে ছাত্রদল’ জাকসু নির্বাচন বর্জনের কারণ জানাল ছাত্রদল এশিয়া কাপ : টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ স্বর্ণের দাম এখনো রেকর্ডের কাছাকাছি দাম কমলো জেট ফুয়েলের ‘পিটার হাসের কোম্পানি’ থেকে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার