ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মদদে বাংলাদেশে ভয়াবহভাবে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ
হাফিজ সঈদের ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানি ধর্মপ্রচারক বাংলাদেশে
‘ক্যাঙারু কোর্ট’ নয় ট্রাইব্যুনাল, কোনো অস্বচ্ছতা নেই: বিতর্কের জবাব দিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের ওপর ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: আইসিসি-তে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে যোগাযোগ দাখিল
নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্বিচার গ্রেপ্তার: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আওয়ামী লীগের অভিযোগ দায়ের
বুয়েটের আপত্তিতে তখনই বদলানো হয় বিয়ারিং প্যাড, অব্যবস্থাপনায় দায় স্বীকার মেট্রোরেলের বর্তমান এমডির
প্রটোকল-শিষ্টাচারের তোয়াক্কা না করে ড. ইউনূসের সামনে ব্যাটন বগলে পাকি জেনারেল, কী ইঙ্গিত দিলেন?
চুক্তির কারণে মার্কিন গম কিনতে গিয়ে প্রতি টনে ৯২০০ টাকা বেশি গুনছে বাংলাদেশ
বাণিজ্য চুক্তি রক্ষায় কৌশলগত সিদ্ধান্ত: প্রথম চালানেই অতিরিক্ত ৫২ কোটি টাকা খরচ, তবু যুক্তরাষ্ট্রের গম আমদানি করছে সরকার
আন্তর্জাতিক বাজারে তুলনামূলক সস্তা বিকল্প থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের সরকার কৌশলগত বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার রক্ষা করতে উচ্চ মূল্যে আমেরিকান গম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে প্রতি টন গম কিনতে বাংলাদেশকে প্রায় ৯,২০০ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশের ৮ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বাজার সুরক্ষা ও দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া বাণিজ্য চুক্তির শর্তাবলি পালনের জন্যই এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন প্রতি টন রাশিয়ান গম ২৬,০০০ থেকে ২৬,৫০০ টাকা
দরে (২২৬-২৩০ ডলার) বিক্রি হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ প্রতি টন আমেরিকান গম কিনছে প্রায় ৩৫,৪২০ টাকা (৩০৮ ডলার) দরে। অর্থাৎ, প্রতি টনে বাংলাদেশকে ৭৫ থেকে ৮০ ডলার, বা প্রায় ৯,২০০ টাকা, অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। প্রথম চালানেই অতিরিক্ত খরচ ৫২ কোটি টাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা ৫৭ হাজার টন গমের প্রথম চালান এসে পৌঁছেছে। এই ৫৭ হাজার টন আমদানিতেই বাংলাদেশকে অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে প্রায় ৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বর্তমানে খাদ্য অধিদপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তরের মধ্যে মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম কেনার চুক্তি রয়েছে। এই পুরো চুক্তির বাস্তবায়ন হলে দেশের কোষাগার থেকে ৪০৪ কোটি
৮০ লাখ টাকারও বেশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে, যা কেবল দামের পার্থক্যের কারণে ঘটছে। আমদানি বৃদ্ধির কারণ: রফতানি বাজার সুরক্ষা বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, এই অতিরিক্ত ব্যয় সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমদানি চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো বাংলাদেশের পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের বৃহৎ রফতানি বাজার রক্ষা করা। তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় বাণিজ্য অংশীদার, রাশিয়ার তা নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাজার রক্ষা করা, যা এ বছর শেষে ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।" তিনি আরও যোগ করেন, সুবিধাজনক শুল্ক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের
বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর অংশ হিসেবে, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর শুল্কহার কমিয়ে ২০ শতাংশে এনেছিল। গম, তুলা ও সয়াবিনসহ কৃষিপণ্য আমদানির পাশাপাশি বোয়িং বিমান ও এলএনজি কেনার মাধ্যমে এই ঘাটতি কমানোর কৌশল নিয়েছে সরকার। রাশিয়ান গম এড়ানোর অন্যান্য যুক্তি বাণিজ্য সচিব আমদানি চুক্তির পক্ষে কিছু যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, ঐতিহ্যের দিক দিয়ে মার্কিন গমের মান ভালো এবং এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। পাশাপাশি, তিনি রাশিয়ান গমের বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরেন: ১. ক্ষতিকর পোকা ও অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে রাশিয়ান গমের ১২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ২. রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের কারণে এই দুই দেশকে গম সরবরাহের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে
বিবেচনা করা যাচ্ছে না। যুদ্ধের কারণে যেকোনো সময় সরবরাহ ব্যাহত হওয়া বা জাহাজ ডুবির ঝুঁকিও রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, বেসরকারি খাত চাইলে বাজার প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে কম দামে গম আমদানি করতে পারে। সরকারের এই উদ্যোগটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর অংশ।
দরে (২২৬-২৩০ ডলার) বিক্রি হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ প্রতি টন আমেরিকান গম কিনছে প্রায় ৩৫,৪২০ টাকা (৩০৮ ডলার) দরে। অর্থাৎ, প্রতি টনে বাংলাদেশকে ৭৫ থেকে ৮০ ডলার, বা প্রায় ৯,২০০ টাকা, অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। প্রথম চালানেই অতিরিক্ত খরচ ৫২ কোটি টাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা ৫৭ হাজার টন গমের প্রথম চালান এসে পৌঁছেছে। এই ৫৭ হাজার টন আমদানিতেই বাংলাদেশকে অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে প্রায় ৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বর্তমানে খাদ্য অধিদপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তরের মধ্যে মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টন গম কেনার চুক্তি রয়েছে। এই পুরো চুক্তির বাস্তবায়ন হলে দেশের কোষাগার থেকে ৪০৪ কোটি
৮০ লাখ টাকারও বেশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে, যা কেবল দামের পার্থক্যের কারণে ঘটছে। আমদানি বৃদ্ধির কারণ: রফতানি বাজার সুরক্ষা বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, এই অতিরিক্ত ব্যয় সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমদানি চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো বাংলাদেশের পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের বৃহৎ রফতানি বাজার রক্ষা করা। তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় বাণিজ্য অংশীদার, রাশিয়ার তা নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাজার রক্ষা করা, যা এ বছর শেষে ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।" তিনি আরও যোগ করেন, সুবিধাজনক শুল্ক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের
বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর অংশ হিসেবে, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর শুল্কহার কমিয়ে ২০ শতাংশে এনেছিল। গম, তুলা ও সয়াবিনসহ কৃষিপণ্য আমদানির পাশাপাশি বোয়িং বিমান ও এলএনজি কেনার মাধ্যমে এই ঘাটতি কমানোর কৌশল নিয়েছে সরকার। রাশিয়ান গম এড়ানোর অন্যান্য যুক্তি বাণিজ্য সচিব আমদানি চুক্তির পক্ষে কিছু যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, ঐতিহ্যের দিক দিয়ে মার্কিন গমের মান ভালো এবং এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। পাশাপাশি, তিনি রাশিয়ান গমের বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরেন: ১. ক্ষতিকর পোকা ও অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে রাশিয়ান গমের ১২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ২. রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের কারণে এই দুই দেশকে গম সরবরাহের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে
বিবেচনা করা যাচ্ছে না। যুদ্ধের কারণে যেকোনো সময় সরবরাহ ব্যাহত হওয়া বা জাহাজ ডুবির ঝুঁকিও রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, বেসরকারি খাত চাইলে বাজার প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে কম দামে গম আমদানি করতে পারে। সরকারের এই উদ্যোগটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর অংশ।



