
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্র চায় সরাসরি আলোচনা, ক্ষুব্ধ ভারত, রাজি পাকিস্তান

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হচ্ছে সিরিয়া

গাজায় অনাহারে অপুষ্টিতে ৫৭ শিশুর মৃত্যু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি

সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করল সৌদি আরব

নতুন নিষেধাজ্ঞা কি থামাতে পারবে ইরানের পরমাণু অভিযাত্রা?
চীন কি সত্যিই পানামা খাল পরিচালনা করে?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণে আবারও দাবি করেছেন যে চীন পানামা খাল পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, “চীন পানামা খাল পরিচালনা করছে এবং আমরা এটি চীনের হাতে দেইনি। আমরা এটি পানামাকে দিয়েছিলাম, এবং আমরা এটি ফিরিয়ে নিচ্ছি।”
৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ পানামা খাল আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করে। প্রতি বছর প্রায় ১৪,০০০ জাহাজ এই সংক্ষিপ্ত পথ ব্যবহার করে, যা খাল নির্মাণের আগে দক্ষিণ আমেরিকার প্রান্ত ঘুরে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল ভ্রমণের বিকল্প ছিল।
ট্রাম্পের দাবি কী?
পানামার কথা তার প্রারম্ভিক ভাষণে উল্লেখ করার ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও তিনি চীনকে নিয়ে বিভিন্ন দাবি করেছেন।
ক্রিসমাসের দিন ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, চীনের চমৎকার সৈন্যরা অবৈধভাবে, কিন্তু
ভালোবাসাসহ পানামা খাল পরিচালনা করছে। পানামা সিটি ও বেইজিং তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবি অস্বীকার করে। তৎকালীন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো এই দাবি নিরর্থক আখ্যা দিয়ে বলেন, খালে চীনের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ থেকে অত্যধিক ফি নেওয়া হচ্ছে, যা পানামার কর্তৃপক্ষও অস্বীকার করেছে। মুলিনো পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, পানামা খালের পরিচালনায় বিশ্বের কোনো জাতির হস্তক্ষেপ নেই। খালের ইতিহাস পানামা খালের নির্মাণ ও পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফ্রান্সের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্র খাল নির্মাণের অধিকার পায় এবং ১৯১৪ সালে নির্মাণ শেষ হয়। ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে খাল ধীরে ধীরে পানামার হাতে হস্তান্তর
করা হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চীনের ভূমিকা কী? চীনা সরকার খালের নিয়ন্ত্রণে নেই, তবে চীনা কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পানামা খাল ব্যবহার করা মোট পণ্য পরিবহনের ২১.৪ শতাংশ চীনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম। খালের নিকটবর্তী বালবোয়া ও ক্রিস্টোবাল বন্দর ১৯৯৭ সাল থেকে হংকং-ভিত্তিক হাচিসন পোর্ট হোল্ডিংস পরিচালনা করছে। যদিও এটি চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত নয়, তবুও ওয়াশিংটনে উদ্বেগ রয়েছে যে চীন কোম্পানির ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই বন্দরগুলো দিয়ে খাল ব্যবহারকারী জাহাজের ব্যাপক তথ্য প্রবাহিত হয়, যা সরবরাহ শৃঙ্খলা যুদ্ধের ক্ষেত্রে কৌশলগত হতে পারে। চীনের বৃহত্তর স্বার্থ পানামার কৌশলগত অবস্থানের কারণে চীন দীর্ঘদিন ধরে
সেখানে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে। ২০১৭ সালে পানামা তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর পানামা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগ দেওয়া প্রথম লাতিন আমেরিকার দেশ হয়। চীন পানামায় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপন, রেলপথ নির্মাণে অনুদান এবং সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নরম শক্তি বৃদ্ধি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের বিনিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ থেকেই ট্রাম্প এই দাবি করে থাকতে পারেন। তবে, বন্দর পরিচালনা আর খাল পরিচালনা এক জিনিস নয়। সূত্র: বিবিসি
ভালোবাসাসহ পানামা খাল পরিচালনা করছে। পানামা সিটি ও বেইজিং তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবি অস্বীকার করে। তৎকালীন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো এই দাবি নিরর্থক আখ্যা দিয়ে বলেন, খালে চীনের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ থেকে অত্যধিক ফি নেওয়া হচ্ছে, যা পানামার কর্তৃপক্ষও অস্বীকার করেছে। মুলিনো পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, পানামা খালের পরিচালনায় বিশ্বের কোনো জাতির হস্তক্ষেপ নেই। খালের ইতিহাস পানামা খালের নির্মাণ ও পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফ্রান্সের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্র খাল নির্মাণের অধিকার পায় এবং ১৯১৪ সালে নির্মাণ শেষ হয়। ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে খাল ধীরে ধীরে পানামার হাতে হস্তান্তর
করা হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চীনের ভূমিকা কী? চীনা সরকার খালের নিয়ন্ত্রণে নেই, তবে চীনা কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পানামা খাল ব্যবহার করা মোট পণ্য পরিবহনের ২১.৪ শতাংশ চীনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম। খালের নিকটবর্তী বালবোয়া ও ক্রিস্টোবাল বন্দর ১৯৯৭ সাল থেকে হংকং-ভিত্তিক হাচিসন পোর্ট হোল্ডিংস পরিচালনা করছে। যদিও এটি চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত নয়, তবুও ওয়াশিংটনে উদ্বেগ রয়েছে যে চীন কোম্পানির ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই বন্দরগুলো দিয়ে খাল ব্যবহারকারী জাহাজের ব্যাপক তথ্য প্রবাহিত হয়, যা সরবরাহ শৃঙ্খলা যুদ্ধের ক্ষেত্রে কৌশলগত হতে পারে। চীনের বৃহত্তর স্বার্থ পানামার কৌশলগত অবস্থানের কারণে চীন দীর্ঘদিন ধরে
সেখানে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে। ২০১৭ সালে পানামা তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর পানামা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগ দেওয়া প্রথম লাতিন আমেরিকার দেশ হয়। চীন পানামায় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপন, রেলপথ নির্মাণে অনুদান এবং সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নরম শক্তি বৃদ্ধি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের বিনিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ থেকেই ট্রাম্প এই দাবি করে থাকতে পারেন। তবে, বন্দর পরিচালনা আর খাল পরিচালনা এক জিনিস নয়। সূত্র: বিবিসি