
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পদ্মা নদীর বালু লুট: স্বপ্রণোদিত হয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

‘দ্য রিমান্ড’ প্রদর্শনীর অনুমতি দিতে নির্দেশ

দাঙ্গা না বাঁধলে কোনো তাজা গুলি ব্যবহার নয়: হাইকোর্ট

খুলনায় থানা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ আদালতে

চড়া সুদে অননুমোদিত ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান ও দাদন ব্যবসা প্রতিরোধে রুল

১৮০ দিনের বিচার হয় না ৫ বছরেও

চিকিৎসার অভাবে শিশুর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ
চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন না আইনজীবী, জামিন শুনানি পিছিয়ে ২ জানুয়ারি

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ধার্য তারিখে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও মামলাটি শুনানি না করে সময়ের আবেদন করেন। সবমিলিয়ে আদালত পরবর্তী জামিন শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি ধার্য করেন।
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, আজ চিন্ময় দাসের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি ধার্য করেছেন। যেহেতু শুনানি হয়নি এ কারণে আসামিপক্ষের উচ্চ আদালতে যাওয়ার
সুযোগ নেই। আবার দায়রা জজ আদালতে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও জামিন শুনানি করার সুযোগ নেই। আদালত সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেন মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ শতাধিক আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়৷ আদালতের প্রবেশ মুখে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যতীত সকল যান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ব্যক্তিগত গাড়িও তল্লাশি করে এরপর আদালত এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল। আদালতে প্রবেশ মুখেই পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। সম্প্রতি, চিন্ময়কাণ্ডে আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে আইনজীবী
আলিফ খুন এবং পুলিশের ওপর হামলা-গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন তাঁর বাবা এবং ভাই। বাবার করা হত্যা মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হলেও ভাইয়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয় ১১৬ জনকে। সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী শুভাশিস শর্মাও ৩৩ নম্বর আসামি। এছাড়া তাঁর অনুসারী আরও ৫০ জনের অধিক আইনজীবীকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামি হওয়ায় এসব আইনজীবীর অনেকেই এখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন। অনেকে তাদের ওপর হামলার আশঙ্কাও করছেন। উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের একটি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত
জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন ইসকন ও চিন্ময়ের অনুসারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেন কিছু ইসকন অনুসারী। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং স্থানীয় কয়েকজনের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার চিত্র দেখা যায়। হত্যার এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ভুক্তভোগীর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই দিন খানে আলম নামে একজন বাদী হয়ে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার আগেও একই ঘটনায় ৩টি
মামলা হয়েছিল।
সুযোগ নেই। আবার দায়রা জজ আদালতে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও জামিন শুনানি করার সুযোগ নেই। আদালত সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেন মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ শতাধিক আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়৷ আদালতের প্রবেশ মুখে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যতীত সকল যান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ব্যক্তিগত গাড়িও তল্লাশি করে এরপর আদালত এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল। আদালতে প্রবেশ মুখেই পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। সম্প্রতি, চিন্ময়কাণ্ডে আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে আইনজীবী
আলিফ খুন এবং পুলিশের ওপর হামলা-গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন তাঁর বাবা এবং ভাই। বাবার করা হত্যা মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হলেও ভাইয়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয় ১১৬ জনকে। সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী শুভাশিস শর্মাও ৩৩ নম্বর আসামি। এছাড়া তাঁর অনুসারী আরও ৫০ জনের অধিক আইনজীবীকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামি হওয়ায় এসব আইনজীবীর অনেকেই এখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন। অনেকে তাদের ওপর হামলার আশঙ্কাও করছেন। উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের একটি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত
জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন ইসকন ও চিন্ময়ের অনুসারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেন কিছু ইসকন অনুসারী। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং স্থানীয় কয়েকজনের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার চিত্র দেখা যায়। হত্যার এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ভুক্তভোগীর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই দিন খানে আলম নামে একজন বাদী হয়ে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার আগেও একই ঘটনায় ৩টি
মামলা হয়েছিল।