
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস বিকৃতকারী বদরুদ্দীন উমর আর নেই

বাগেরহাটে ৩ দিনের হরতালের ঘোষণা

দুই মহাসড়ক অবরোধ

লালন আখড়ায় পুলিশ মোতায়েন

রাজশাহীতে পুলিশের উপস্থিতিতে খানকা শরিফে উগ্রবাদীদের হামলা

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৮, পুলিশ জানে না কিছু

গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, নিহত ১
গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৪

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৬৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, জেলায় চলমান কারফিউ আগামীকাল শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গত বুধবার এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে দিনভর গোপালগঞ্জে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলায় অংশ নেন। তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ১৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে
যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সদর থানায় ৪৫ জন, মুকসুদপুরে ৬৬ জন, কাশিয়ানীতে ২৪ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৭ জন এবং কোটালীপাড়া থানায় ১২ জন। গ্রেপ্তারদের শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহম্মেদ আলী বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা (মামলা নং-১৫, তাং ১৭.০৭.২৫) দায়ের করেন। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৪৫০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া কাশিয়ানী থানায় ৭০ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয়। নদীপথেও নজরদারি: ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী নদীপথে টহল জোরদার করেছে। কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে জলপথেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” হতাহতের সংখ্যা: এনসিপি নেতাদের ওপর হামলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। তাদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং রমজান মুন্সি (৩৫) নামে এক রিকশাচালক ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ব্যবসায়ীরা বিপাকে: কারফিউয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে ফল-সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পণ্য পচে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। শহরের বড়বাজারের ফল ব্যবসায়ী রতন সাহা বলেন, “তিন দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ফল পচে গেছে। শুক্রবার তিন ঘণ্টার জন্য দোকান খুলেছি, তাতেও ঠিকমতো বিক্রি হয়নি।
আমরা চাই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক।” সার্বিক পরিস্থিতি: বর্তমানে গোপালগঞ্জে সর্বত্র উচ্চ সতর্কতা ও কড়া নজরদারি চলছে। যৌথ বাহিনী, পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনী—সবাই মিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।পরিস্থিতি উন্নয়নের ওপর নির্ভর করেই শনিবার সকাল ৬টার পর কারফিউ তুলে নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সদর থানায় ৪৫ জন, মুকসুদপুরে ৬৬ জন, কাশিয়ানীতে ২৪ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৭ জন এবং কোটালীপাড়া থানায় ১২ জন। গ্রেপ্তারদের শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহম্মেদ আলী বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা (মামলা নং-১৫, তাং ১৭.০৭.২৫) দায়ের করেন। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৪৫০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া কাশিয়ানী থানায় ৭০ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয়। নদীপথেও নজরদারি: ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী নদীপথে টহল জোরদার করেছে। কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে জলপথেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” হতাহতের সংখ্যা: এনসিপি নেতাদের ওপর হামলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। তাদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং রমজান মুন্সি (৩৫) নামে এক রিকশাচালক ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ব্যবসায়ীরা বিপাকে: কারফিউয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে ফল-সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পণ্য পচে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। শহরের বড়বাজারের ফল ব্যবসায়ী রতন সাহা বলেন, “তিন দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ফল পচে গেছে। শুক্রবার তিন ঘণ্টার জন্য দোকান খুলেছি, তাতেও ঠিকমতো বিক্রি হয়নি।
আমরা চাই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক।” সার্বিক পরিস্থিতি: বর্তমানে গোপালগঞ্জে সর্বত্র উচ্চ সতর্কতা ও কড়া নজরদারি চলছে। যৌথ বাহিনী, পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনী—সবাই মিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।পরিস্থিতি উন্নয়নের ওপর নির্ভর করেই শনিবার সকাল ৬টার পর কারফিউ তুলে নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।