গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৪ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৮ জুলাই, ২০২৫
     ১১:৪৬ অপরাহ্ণ

গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৪

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ জুলাই, ২০২৫ | ১১:৪৬ 89 ভিউ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৬৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, জেলায় চলমান কারফিউ আগামীকাল শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত বুধবার এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে দিনভর গোপালগঞ্জে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলায় অংশ নেন। তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ১৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে

যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সদর থানায় ৪৫ জন, মুকসুদপুরে ৬৬ জন, কাশিয়ানীতে ২৪ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৭ জন এবং কোটালীপাড়া থানায় ১২ জন। গ্রেপ্তারদের শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহম্মেদ আলী বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা (মামলা নং-১৫, তাং ১৭.০৭.২৫) দায়ের করেন। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৪৫০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া কাশিয়ানী থানায় ৭০ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয়। নদীপথেও নজরদারি: ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী নদীপথে টহল জোরদার করেছে। কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে জলপথেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” হতাহতের সংখ্যা: এনসিপি নেতাদের ওপর হামলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। তাদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং রমজান মুন্সি (৩৫) নামে এক রিকশাচালক ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ব্যবসায়ীরা বিপাকে: কারফিউয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে ফল-সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পণ্য পচে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। শহরের বড়বাজারের ফল ব্যবসায়ী রতন সাহা বলেন, “তিন দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ফল পচে গেছে। শুক্রবার তিন ঘণ্টার জন্য দোকান খুলেছি, তাতেও ঠিকমতো বিক্রি হয়নি।

আমরা চাই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক।” সার্বিক পরিস্থিতি: বর্তমানে গোপালগঞ্জে সর্বত্র উচ্চ সতর্কতা ও কড়া নজরদারি চলছে। যৌথ বাহিনী, পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং নৌবাহিনী—সবাই মিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।পরিস্থিতি উন্নয়নের ওপর নির্ভর করেই শনিবার সকাল ৬টার পর কারফিউ তুলে নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সাইবার ফাঁদ ভিশিং গাজায় কমলেও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নিপীড়ন বেড়েছে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে চুক্তি বাস্তবায়নই একমাত্র পথ দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষকদের সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত, বুধবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা লটারির মাধ্যমে দেশের ৫২৭ থানার ওসি পদে রদবদল উত্তরের দুই জেলায় শীতের প্রকোপ ইংলিশ ব্যাটার রবিন স্মিথ মারা গেছেন বাংলা একাডেমির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ দেশের বাজারে সোনার দাম কমলো ডায়াবেটিস ও চোখ জটিলতা ও প্রতিরোধ বৃহস্পতিবার আসছে নতুন ৫০০ টাকার নতুন নোট শীতে সর্দি-কাশি থেকে সুরক্ষা দেবে যেসব খাবার শৈত্যপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নতুন বার্তা এবার কাজের সময় নিয়ে মুখ খুললেন ‘ড্যান্সিং কুইন’ মাধুরী দেশে স্বর্ণের দাম কমলো সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, বিএসএফের অস্বীকার আবারও বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প বিশ্বরেকর্ড গড়া তামিমের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয় ড্রয়ের আগে জেনে নিন ২০২৬ বিশ্বকাপের নতুন সব নিয়ম