ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
                                বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি যুবদল কর্মীদের, প্রতিবাদ করায় প্রবাসীকে পিটুনি
                                শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা
                                ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক
                                জমি দখলের অভিযোগ আসলাম চৌধুরীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে
                                বাগেরহাটে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড: হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, তীব্র উত্তেজনা
                                ফেনীতে চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি, আটক যুবদল নেতা কারাগারে
                                কারাগারে চিকিৎসা না পেয়ে আরও এক বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
গোপালগঞ্জে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে
                             
                                               
                    
                         গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মানবাধিকার সংস্থাটি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ১৬ই জুলাই এনসিপির সমাবেশে হামলা, পুলিশের গুলিবর্ষণে পাঁচ নাগরিক নিহত, গণগ্রেপ্তার ও কারফিউ পরিস্থিতিতে নিরীহ নাগরিকদের ওপর নির্যাতনের বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় এনসিপির সমাবেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক মন্তব্যের পর। এরপর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
নিহতদের মধ্যে দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), ইমন তালুকদার (১৭), সোহেল মোল্লা (৩২) এবং 
পরবর্তীতে ঢামেকে চিকিৎসাধীন রমজান মুন্সীর মৃত্যু হয়। আসকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পাঁচজনের মধ্যে চারজনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। পরে গণমাধ্যমের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। কারফিউ ও ১৪৪ ধারা জারি থাকাকালে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, শিশু আটক ও অর্থ আদায়ের অভিযোগও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ১৮ জন শিশুকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক করা হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। এছাড়া, ৮টি মামলায় ৫ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৫৮ জন নামজারি। এদের মধ্যে ৩ নারী ও ৩২ জন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য রয়েছেন। আসকের প্রতিনিধিদল নিহত ও আহতদের পরিবার, হাসপাতাল ও কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা
বলে জানায়, গুলিবিদ্ধ বেশিরভাগ আহতই সাধারণ নাগরিক। এক রিকশাচালক জানিয়েছেন, তিনি রিকশা চালানোর জন্য বেরোনোর পর পুলিশের গুলিতে আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্য ও এক গাড়িচালক ছাড়া বাকি আহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। গোপালগঞ্জ কারাগারে হামলা, সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর ও অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টার কথাও দাবি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময় কারা পুলিশ ৮০ রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানানো হয়। আসক এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেছে, সমাবেশে হামলা ও পরবর্তী সহিংসতা নাগরিকদের সংগঠন ও মতপ্রকাশের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছে। পুলিশ সুপার গোপালগঞ্জের বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ “সর্বোচ্চ ধৈর্য” দেখিয়েছে এবং মামলাগুলো আইনানুগভাবে করা হয়েছে। তবে আসকের প্রতিবেদনে প্রশাসনের বিভিন্ন
কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতার অভাব ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আসক এই সংকট নিরসনে জরুরি মানবাধিকার সুরক্ষা ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের কঠোর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
                    
                                                          
                    
                    
                                    পরবর্তীতে ঢামেকে চিকিৎসাধীন রমজান মুন্সীর মৃত্যু হয়। আসকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পাঁচজনের মধ্যে চারজনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। পরে গণমাধ্যমের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। কারফিউ ও ১৪৪ ধারা জারি থাকাকালে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, শিশু আটক ও অর্থ আদায়ের অভিযোগও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ১৮ জন শিশুকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক করা হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। এছাড়া, ৮টি মামলায় ৫ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৫৮ জন নামজারি। এদের মধ্যে ৩ নারী ও ৩২ জন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য রয়েছেন। আসকের প্রতিনিধিদল নিহত ও আহতদের পরিবার, হাসপাতাল ও কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা
বলে জানায়, গুলিবিদ্ধ বেশিরভাগ আহতই সাধারণ নাগরিক। এক রিকশাচালক জানিয়েছেন, তিনি রিকশা চালানোর জন্য বেরোনোর পর পুলিশের গুলিতে আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্য ও এক গাড়িচালক ছাড়া বাকি আহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। গোপালগঞ্জ কারাগারে হামলা, সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর ও অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টার কথাও দাবি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময় কারা পুলিশ ৮০ রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানানো হয়। আসক এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেছে, সমাবেশে হামলা ও পরবর্তী সহিংসতা নাগরিকদের সংগঠন ও মতপ্রকাশের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছে। পুলিশ সুপার গোপালগঞ্জের বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ “সর্বোচ্চ ধৈর্য” দেখিয়েছে এবং মামলাগুলো আইনানুগভাবে করা হয়েছে। তবে আসকের প্রতিবেদনে প্রশাসনের বিভিন্ন
কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতার অভাব ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আসক এই সংকট নিরসনে জরুরি মানবাধিকার সুরক্ষা ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের কঠোর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।



