গাজা পুনর্গঠনে মিশরের পরিকল্পনা গ্রহণ আরব দেশগুলোর, হামাসের হুঁশিয়ারি – ইউ এস বাংলা নিউজ




গাজা পুনর্গঠনে মিশরের পরিকল্পনা গ্রহণ আরব দেশগুলোর, হামাসের হুঁশিয়ারি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ মার্চ, ২০২৫ | ১১:১৯ 32 ভিউ
গাজার পুনর্গঠনের জন্য মিশরের পরিকল্পনা আমলে নিয়ে একটি খসড়া বিবৃতি দিয়েছে আরব দেশগুলো। মিশরের উদ্যোগে আয়োজিত আরব সম্মেলনে মিশরের প্রস্তাব গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত এই পরিকল্পনায় সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ১৫ মাস ধরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। হামাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, গাজায় কোনো বাইরের চাপিয়ে দেওয়া সমাধান তারা গ্রহণ করবে না। গাজার জন্য মিশরের পরিকল্পনা মিশরের পুনর্গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে মঙ্গলবার রয়টার্সের হাতে আসা একটি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ১১২-পৃষ্ঠার পরিকল্পনায় গাজার ভূমির পুনর্বিন্যাসের জন্য ম্যাপ, আবাসন প্রকল্প, উদ্যান

এবং কমিউনিটি সেন্টারের মতো স্থাপনাগুলোর ডিজাইনসহ রঙিন এআই-উৎপন্ন ছবি রয়েছে। পরিকল্পনায় একটি বাণিজ্যিক বন্দর, প্রযুক্তি হাব এবং সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কূটনীতিক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গাজার পুনর্গঠনের জন্য মিশরের এই পরিকল্পনা-ই বর্তমানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার বর্তমান হামাস পরিচালিত সরকারকে সরিয়ে একটি 'গভর্নেন্স অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন' সাময়িকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে, যা মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, যদি হামাস ক্ষমতা হারায়, তাহলে ইসরাইল গাজার দায়িত্ব নিতে আরব সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণকে বাধা দেবে না। তবে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা গাজায় কোনো বাইরের প্রশাসন বা বিদেশী বাহিনীর উপস্থিতি বরদাশত করব না।’ ট্রাম্পের ‘রিভিয়েরা অব দ্য

মিডল ইস্টের’ বিরোধিতা মিশরের পরিকল্পনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনিদের গণ-উচ্ছেদের প্রস্তাবকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবকে আরব দেশগুলো, বিশেষ করে মিশর ও জর্ডান তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। তবে গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন কে করবে, সে বিষয়ে মিশরের পরিকল্পনায় কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। রয়টার্সের দুটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে উপসাগরীয় এবং আরব দেশগুলোকে অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করতে হবে। এটি কার্যকর করতে তেল-সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোর যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। আমিরাত হামাসকে একটি অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দেখে এবং গাজার সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ চায়, যেখানে অন্যান্য আরব দেশ ধাপে ধাপে নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। সূত্র: দ্য

জেরুজালেম পোস্ট

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পুলিশের ওপর হামলা মামলায় গ্রেফতার ২ যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে দিতে হবে ৫ শতাংশ কর, বিপাকে ভারতীয়রা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে অন্তর্বর্তী সরকার অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা গাজায় নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতারের বিষয়টি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে: এনসিপি পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে আশাবাদী ট্রাম্প ‘সেঞ্চুরিয়ান’ ইমনের একাদশে না থাকার কারণ জানা গেল মতভিন্নতা নিয়ে শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা :আলী রীয়াজ প্রায় ১০০ পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আটকা শেকৃবিতে সাদা দলের নতুন কমিটি ঘোষণা শিশু ধর্ষণ মামলায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষ গ্রেফতার কারিনাকে কনসার্ট মিস করার কষ্ট ভুলিয়ে দিলেন স্বামী-ছেলে ইউক্রেনের আরও দুটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার নারী সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, মন্ত্রীকে আদালতের হুঁশিয়ারি ‘বিয়ারিং কাজ না করায়’ উড়োজাহাজের চাকা খুলে যায়: বিমান এনবিআর দুভাগ করার প্রক্রিয়া সঠিক নয়: দেবপ্রিয় ইন্দোনেশিয়ায় স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসে হতাহত ৪, নিখোঁজ ১৯ আমিরাতের বিপক্ষে বাড়তি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ, জানা গেল সূচি সামান্থার সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনের মাঝে রাজের স্ত্রীর রহস্যঘেরা পোস্ট