
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ফিলিস্তিনিদের জাবালিয়া খালি করতে ইসরাইলের ‘চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি’

লুহানস্কে ইউক্রেনের গোলাবর্ষণ, তিন সাংবাদিকসহ নিহত ৬

সুইডেনে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, সুপারশপ বয়কটের হিড়িক

হিথ্রোতে স্বল্প পরিসরে ফ্লাইট চালু

বাইডেনের ওপর ট্রাম্পের ক্ষোভ কতটা, তা আরেকবার দেখালেন

হান্নান মাসউদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ

যুদ্ধবিরতির ‘নতুন প্রস্তাবে’ সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-হামাস, নিশ্চুপ ইসরাইল
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ, নিন্দা জানিয়ে যা বলল কাতার

দখলদার ইসরাইলের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ এবং সেখানে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ নীতির কঠোর সমালোচনা ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার।
এর আগে, ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক ঘোষণায় বলেন, ‘জাবালিয়া এলাকায় বসবাসকারী গাজার সমস্ত নাগরিকের জন্য এটি হামলার আগের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা’।
তিনি ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণের ‘পরিচিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে’ চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এ নিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর ঘোষণাকে কাতার কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে, যেখানে গাজার ফিলিস্তিনি ভাইদের উচ্ছেদের লক্ষ্যে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, পশ্চিম তীরে ১৩টি অবৈধ বসতিকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগও মারাত্মক অন্যায়’।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কাতার
আরও বলেছে, ‘ফিলিস্তিনিদের যেকোনো ধরনের উচ্ছেদ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন। বসতি সম্প্রসারণের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বৈধতাকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে। বিশেষ করে এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২৩৩৪-এর পরিপন্থি’। একই সঙ্গে কাতার দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জনসংখ্যার গঠন, চরিত্র ও মর্যাদা পরিবর্তনের যে কোনো প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে শুধু জাবালিয়াই নয়, ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে এর আগেও উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনের বাসিন্দাদের জন্য একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও গাজা উপত্যকাকে খালি করে ফিলিস্তিনিদেরকে মিশর, জর্ডান ও অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। যা মুসলিম ও আরব বিশ্বসহ বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়ে। চলমান সংঘাত ও
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এদিকে দীর্ঘ ১৫ মাসের অব্যাহত আগ্রাসনের পর চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় ৪২ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। যে চুক্তির আওতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩৩ জন ইসরাইল জিম্মি এবং প্রায় ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পায়। তবে দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের বিমান ও স্থল হামলা চালায়। যাতে এ পর্যন্ত ৭৩০ জন নিহত এবং ১,২০০ জন আহত হয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৫০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১,১৩,৪০০ জনের বেশি। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন
আরও প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি। যাদেরকে মৃত ধরে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২ হাজারেরও বেশি। সূত্র: আনাদোলু
আরও বলেছে, ‘ফিলিস্তিনিদের যেকোনো ধরনের উচ্ছেদ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন। বসতি সম্প্রসারণের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বৈধতাকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে। বিশেষ করে এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২৩৩৪-এর পরিপন্থি’। একই সঙ্গে কাতার দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জনসংখ্যার গঠন, চরিত্র ও মর্যাদা পরিবর্তনের যে কোনো প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে শুধু জাবালিয়াই নয়, ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে এর আগেও উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনের বাসিন্দাদের জন্য একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও গাজা উপত্যকাকে খালি করে ফিলিস্তিনিদেরকে মিশর, জর্ডান ও অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। যা মুসলিম ও আরব বিশ্বসহ বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়ে। চলমান সংঘাত ও
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এদিকে দীর্ঘ ১৫ মাসের অব্যাহত আগ্রাসনের পর চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় ৪২ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। যে চুক্তির আওতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩৩ জন ইসরাইল জিম্মি এবং প্রায় ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পায়। তবে দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের বিমান ও স্থল হামলা চালায়। যাতে এ পর্যন্ত ৭৩০ জন নিহত এবং ১,২০০ জন আহত হয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৫০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১,১৩,৪০০ জনের বেশি। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন
আরও প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি। যাদেরকে মৃত ধরে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২ হাজারেরও বেশি। সূত্র: আনাদোলু