গাজার যোদ্ধাদের নতুন প্রধান নিহত – ইউ এস বাংলা নিউজ




গাজার যোদ্ধাদের নতুন প্রধান নিহত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:০০ 65 ভিউ
ফিলিস্তিনের গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এ দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেট যৌথ বিবৃতিতে সিনওয়ার নিহত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে তার মরদেহের দাঁত ও ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাপ্ত মরদেহটি সিনওয়ারের বলে নিশ্চিত হওয়ার দাবি করে ইসরায়েল। তবে এখনও হামাস এ ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দেয়নি। ইসরায়েলের দাবি অস্বীকারও করেনি। এর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় ‍যুদ্ধক্ষেত্র থেকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক যোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলি সেনারা। তখনই ধারণা করা হয়, তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক শাখার নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। দ্য টাইমস অব

ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, এক সম্মুখ যুদ্ধে তারা গাজায় তিন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। তার মধ্যে একজন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মতো দেখতে। কিন্তু তখন তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিয়ে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করে ইসরায়েলে পাঠায়। সেই পরীক্ষার ফলাফল হাতে এলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় আইডিএফ। আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজার একটি ভবনের নিচতলায় বুধবার একদল হামাস যোদ্ধাদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এ সময় সম্মুখ গোলাগুলি শুরু হয়। এতে হামাস যোদ্ধারা টিকতে পারেনি। কেউ কেউ পালিয়ে যায়। অপরদিকে একের পর এক গোলায় ভবনটির এক পাশ ধসে পড়ে। পরিস্থিতি যখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে তখন ভবনে প্রবেশ করে ইসরায়েলি সেনারা অবাক

হয়ে যান। তারা অন্যদের সঙ্গে সিনওয়ারের মরদেহ উদ্ধার করেন। ইসরায়েলের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইডিএফ সৈন্যরা সিনওয়ারকে টার্গেট করে হামলা করেনি। তিনি যে ভবনটিতে থাকতে পারেন তা জানা ছিল না। ঘটনাটি আকস্মিক। ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলার পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার; আইডিএফ এমনটিই বিশ্বাস করে। এর প্রমাণ হিসেবে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ইসরায়েলের বিপক্ষে হামলা জোরদার, যোদ্ধা তৈরি, গাজার সীমান্তে অস্থিশীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আগে থেকেই ইয়াহিয়া সিনওয়ার কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহতের পর সিনওয়ার দায়িত্ব পান। তখনই তাকে হত্যার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হেলভি বলেছিলেন,

ইয়াহিয়াকে খুঁজে বের করে হত্যা করা হবে। হামাস যেন অন্য নেতা নির্বাচন করে নেয়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছিলেন, ‘ইয়াহিয়া সন্ত্রাসী। তিনি ৭ অক্টোবর নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তার জন্য শুধু একটি জায়গা আছে। নিহত মোহাম্মদ দেইফ এবং ৭ অক্টোবরের বাকি সন্ত্রাসীদের পাশেই তিনি থাকবেন।’ অর্থাৎ তাকে হত্যা করে কবরে পাঠানো হবে। সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করল ইসরায়েল।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ করবে মালয়েশিয়া সরকার দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার যুদ্ধবিরতির পরও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আতঙ্ক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেছে? বাবার ৪ বিয়ে দেখে বলিউড অভিনেত্রীর ৬ বার প্রেম বাজছে লানা ডেল রের গান, রোজার কাঁধে হাত রেখে বৃষ্টিতে তাহসান ১৭ মে থেকে শুরু হবে বাকি আইপিএল টেসলার রোবোট্যাক্সি ট্রেডমার্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র ভিসি অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে ববি শিক্ষার্থীরা এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ শত বছর ধরে জেগে আছে সদরঘাট গাজা যুদ্ধ হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনিদের জাগরণের প্রতীক বাজেটে প্রাধান্য গরিবের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি অধ্যাদেশ জারি, এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ রাজধানীর যে এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক খুবই ভালো: ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির পরও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আতঙ্ক নাম ‘করাচি’, তাই ভেঙে দেওয়া হলো দোকান