কবজি দিয়ে লিখেও বেরোবিতে চান্স, তবুও ভর্তি অনিশ্চিত মিনারার – ইউ এস বাংলা নিউজ




কবজি দিয়ে লিখেও বেরোবিতে চান্স, তবুও ভর্তি অনিশ্চিত মিনারার

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ অক্টোবর, ২০২৪ | ১০:২৮ 9 ভিউ
হাতের কবজির সাহায্যে লিখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মিনারা। কিন্তু টাকার অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে মেধাবী এ শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী মিনারা খাতুনের শৈশবকালের ইচ্ছা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পরের কয়েক বছর পড়ার খরচ জোগানোই এখন তার মূল চিন্তা। জন্ম থেকেই দুই হাতে কোনো আঙুল নেই মিনারার। তবুও অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে হাতের কবজির সাহায্যে লিখতে শেখেন তিনি। মিনারা খাতুন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল দক্ষিণ বাঁধ এলাকার দিনমজুর মো. রফিকুল ইসলাম ও মৃত মর্জিনা বেগমের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে মিনারা ছোট। জীবন যুদ্ধে হারতে নারাজ মিনারা। দুই হাতের আঙুল না থাকলেও, কবজির সাহায্যে লিখেই তিনি একে একে পিইসি, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় পাস

করেন। পরে কারমাইকেল কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। গত ২০২২ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হন। এবারে দ্বিতীয় বারেরমতো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পান মিনারা। ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধু অর্থাভাবে স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ বেরোবিতে ভর্তি হতে পারছেন না মিনারা। আগামীকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) বেরোবিতে ভর্তির শেষ দিন। ভর্তির শেষ সময় ঘনিয়ে এলেও ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দিতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মিনারার পরিবার। মায়ের মৃত্যুর পর সাতবার নদীতে বাড়িভাঙনের শিকার বাবা রফিকুল ইসলাম মিনারার খালাকে বিয়ে করেন। শারীরিকভাবে মিনারা স্বাভাবিক থাকলেও তার দুহাতে কোনো আঙুল

নেই। দুই হাতের কবজির সাহায্যে কলম ধরে তিনি এখন পর্যন্ত পড়ালেখা চালিয়ে আসছেন। বাবা রফিকুল ইসলাম দিনমজুর। অভাবের সংসার তার। নুন আনতে পানতা ফুরায়। নদী ভেঙে পাউবো বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ পাউবো বাঁধে আশ্রিতদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কোনো রকমে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত তার। সমাজসেবা অধিদপ্তর মিনারার নামে মাসিক ৬০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা বরাদ্দ দেয়। এ টাকায় চলত তার পড়ালেখার খরচ। ভর্তির জন্য কুড়িগ্রাম কলেজে পূর্বের ভর্তি বাতিল করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রায় ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এ ছাড়াও ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবনের বাকি পথ কীভাবে পাড়ি দেবে তা তার জানা নেই। মিনারার বাবা রফিকুল ইসলাম মেয়ের

উচ্চশিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রয়োজনে ০১৭০৪-৩১১১৯২ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন শ্রদ্ধা পদত্যাগের ঘোষণা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের ইরানে ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা নিয়ে গোপন মার্কিন নথি ফাঁস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সুখবর জলবায়ু পরিবর্তন খাতে বাড়ছে ঋণের বোঝা ডালিম পেকে ফেটে গেলেও তুলতে পারছেন না লেবাননের কৃষকরা নির্ভরশীলতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় ভারত কবজি দিয়ে লিখেও বেরোবিতে চান্স, তবুও ভর্তি অনিশ্চিত মিনারার ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বার্তা অভিযুক্ত বিচারকদের ব্যবস্থা উচ্চ আদালত নেবেন : আসিফ নজরুল স্ত্রী ও শাশুড়িকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, অতঃপর… ভারত ভ্রমণ নিয়ে দুঃসংবাদ ‘তুমি কে, আমি কে, সাকিবিয়ান’, বলতেই পিটুনি নানকের মোহাম্মদপুরের ৮ তলা বাড়ির মূল্য ৪৪ লাখ! এখন থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করবে না হাসিনার চাচা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়েও ছিলেন ২৩ প্রতিষ্ঠানের পদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতকে হারিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ফুরল নিউজিল্যান্ডের বিমানে বোমা হামলার হুমকির পর এবার দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ সাকিবকে বিদায় দিতে না পারাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলছেন শান্ত