
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘লুকিয়ে প্রেম করতেই ভালো লাগে, বিষয়টা এনজয় করি’

আজ রাতে সৌদি আরবে মঞ্চ মাতাবেন নগরবাউল জেমস

‘মিডিয়াতে কম কাজ করেও টাকা কামানো যায়, যদি সুগার ড্যাডি থাকে’

অভিনেত্রী ৩ বোনের প্রেম একই হিরোর সঙ্গে

৫২-এ পা দেবেন মালাইকা

চিত্রনায়ক রুবেলের মৃত্যুর গুজব, যা বললেন ভাই সোহেল রানা

ঐশ্বরিয়া-আনুশকার নায়কের সিনেমা নিষিদ্ধ হচ্ছে পাকিস্তানে
‘কনক্লেভ’ সিনেমায় নতুন পোপ নির্বাচনের চিত্র কতটা বাস্তবসম্মত?

রোমান ক্যাথলিক চার্চের নতুন পোপ নির্বাচনের গোপন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ৭ মে, পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর। এর আগেই বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে ‘কনক্লেভ’ নামে একটি সিনেমা, যেখানে পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও কার্ডিনালদের মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে—সিনেমাটি আসল কনক্লেভ প্রক্রিয়ার কতটা কাছাকাছি?
অস্কার মনোনীত এ সিনেমাটিতে দেখা যায়, কলেজ অব কার্ডিনালসের ডিন কার্ডিনাল থমাস লরেন্স (অভিনয়ে রাল্ফ ফাইনস) পোপের মৃত্যুর পর নতুন পোপ নির্বাচনের দায়িত্ব পান। তবে নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী কার্ডিনালদের মধ্যে নানা গোপন তথ্য ও কেলেঙ্কারির ঘটনা বেরিয়ে আসে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘কনক্লেভ’ সিনেমাটি বাস্তব পদ্ধতির কাঠামো কিছুটা অনুসরণ করলেও নাটকীয়তা তৈরি করতে অনেক ক্ষেত্রে
সত্যের সীমা অতিক্রম করেছে। বাস্তবতার কাছাকাছি: প্রক্রিয়া ঠিক, চরিত্রে কিছু স্বাধীনতা গনজাগা ইউনিভার্সিটির ধর্মতত্ত্বের প্রভাষক বি. কেভিন ব্রাউন বলেন, ‘কনক্লেভ’ সিনেমাটিতে পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া যথেষ্ট ভালোভাবে উপস্থাপন করেছে, তবে কিছু জায়গায় ভুল রয়েছে। যেমন, কিছু কার্ডিনাল ভুল পোশাক পরেছেন এবং নির্বাচনপূর্ব প্রার্থনার মঞ্চে কোনো বেদি ছিল না—যা একান্ত প্রয়োজনীয়। সঠিকভাবে দেখানো হয়েছে ভোটিং প্রক্রিয়া ও ধোঁয়ার রঙ ৮০ বছরের নিচের কার্ডিনালরা পোপ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন। সিনেমায় যেমন দেখানো হয়, পোপ নির্বাচনের জন্য ভোটিং হয় সিস্টিন চ্যাপেলে। কার্ডিনালরা গোপন ব্যালটে ভোট দেন, একটি পাত্রে ব্যালট ফেলেন এবং প্রার্থনা করেন। প্রতিদিন চারটি রাউন্ডে ভোট হয় এবং প্রতি রাউন্ড শেষে ব্যালটগুলো পোড়ানো হয়। এরপর ধোঁয়া কালো
হলে বোঝা যায় কেউ নির্বাচিত হয়নি, সাদা ধোঁয়া মানে নতুন পোপ পাওয়া গেছে। সিনেমায় তিন দিনে পোপ নির্বাচন হয়, যা বাস্তব ইতিহাসের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত ১০০ বছরে কোনো নির্বাচনের সময়সীমা এক সপ্তাহ অতিক্রম করেনি। বাস্তব নিয়ম ভেঙেছে লরেন্সের চরিত্র সিনেমায় কার্ডিনাল লরেন্স নিয়ম ভেঙে বাইরে থাকা মনসিনিওর ও’ম্যালির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং নানা তথ্য চান, যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাস্তবে নির্বাচনের সময় কার্ডিনালদের সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা হয়; কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার বা বাহিরে যোগাযোগের সুযোগ থাকে না। গোপনে মনোনীত কার্ডিনালের অংশগ্রহণ: বাস্তবে অসম্ভব সিনেমায় আফগানিস্তানের আর্চবিশপ ভিনসেন্ট বেনিতেজ পোপের গোপন মনোনীত (ইন পেকতোরে) কার্ডিনাল হিসেবে নির্বাচনে যোগ দেন। বাস্তবে কোনো পোপ যদি গোপনে কাউকে কার্ডিনাল করেন
এবং তার মৃত্যুর আগে সেই পরিচয় প্রকাশ না করেন, তাহলে নির্বাচিত সেই ব্যক্তি আর কার্ডিনাল হিসেবে বিবেচিত হন না এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল পোপ জন পল দ্বিতীয়-এর সময়ে। তিনি চারজন গোপন কার্ডিনাল নিয়োগ দিয়েছিলেন, কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনজনের নাম প্রকাশ করেন। চতুর্থ জনের নিয়োগ পোপের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বাতিল হয়ে যায়। গুজব ও রাজনীতি থাকে, তবে নির্বাচনের আগেই তা প্রকাশ পায় সিনেমায় দেখা যায়, লরেন্স প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কার্ডিনালের ব্যক্তিগত স্ক্যান্ডাল প্রকাশ করে দেন, যাতে তারা আর পোপ হওয়ার দৌড়ে না থাকেন। বাস্তবে কার্ডিনালরা সাধারণত এসব বিষয় কনক্লেভ শুরুর আগেই খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন, বিশেষ করে ‘জেনারেল
কংগ্রিগেশন’ সভাগুলোতে; যাতে বিতর্কিত কেউ নির্বাচিত না হয়। ২০১৩ সালের নির্বাচনে পোপ ফ্রান্সিসের (তৎকালীন কার্ডিনাল বারগোলিও) একটি ফুসফুস নেই এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, তিনি অনেক আগে একটি সংক্রমণের কারণে একটি ফুসফুসের আংশিক অংশ কেটে ফেলেছিলেন। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, আসন্ন কনক্লেভে ৭১টি দেশের ১৩৩ জন কার্ডিনাল ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিন-চার দিনের মধ্যেই নতুন পোপের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। সার্বিকভাবে ‘কনক্লেভ’ সিনেমাটি পোপ নির্বাচনের কিছু বাস্তব কাঠামো ঠিকভাবে তুলে ধরলেও, গল্পের নাটকীয়তার খাতিরে অনেক জায়গায় বাস্তব নিয়ম ভেঙে ফেলেছে। বিশেষ করে, কার্ডিনালদের আচরণ, গোপন তথ্য আদান-প্রদান এবং গোপন কার্ডিনালের অংশগ্রহণ বাস্তবের সঙ্গে মেলে না। তবে যারা কনক্লেভের রহস্য
জানতে চান তাদের আগ্রহ অনেকটাই কমাতে পারে এই সিনেমা।
সত্যের সীমা অতিক্রম করেছে। বাস্তবতার কাছাকাছি: প্রক্রিয়া ঠিক, চরিত্রে কিছু স্বাধীনতা গনজাগা ইউনিভার্সিটির ধর্মতত্ত্বের প্রভাষক বি. কেভিন ব্রাউন বলেন, ‘কনক্লেভ’ সিনেমাটিতে পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া যথেষ্ট ভালোভাবে উপস্থাপন করেছে, তবে কিছু জায়গায় ভুল রয়েছে। যেমন, কিছু কার্ডিনাল ভুল পোশাক পরেছেন এবং নির্বাচনপূর্ব প্রার্থনার মঞ্চে কোনো বেদি ছিল না—যা একান্ত প্রয়োজনীয়। সঠিকভাবে দেখানো হয়েছে ভোটিং প্রক্রিয়া ও ধোঁয়ার রঙ ৮০ বছরের নিচের কার্ডিনালরা পোপ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন। সিনেমায় যেমন দেখানো হয়, পোপ নির্বাচনের জন্য ভোটিং হয় সিস্টিন চ্যাপেলে। কার্ডিনালরা গোপন ব্যালটে ভোট দেন, একটি পাত্রে ব্যালট ফেলেন এবং প্রার্থনা করেন। প্রতিদিন চারটি রাউন্ডে ভোট হয় এবং প্রতি রাউন্ড শেষে ব্যালটগুলো পোড়ানো হয়। এরপর ধোঁয়া কালো
হলে বোঝা যায় কেউ নির্বাচিত হয়নি, সাদা ধোঁয়া মানে নতুন পোপ পাওয়া গেছে। সিনেমায় তিন দিনে পোপ নির্বাচন হয়, যা বাস্তব ইতিহাসের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত ১০০ বছরে কোনো নির্বাচনের সময়সীমা এক সপ্তাহ অতিক্রম করেনি। বাস্তব নিয়ম ভেঙেছে লরেন্সের চরিত্র সিনেমায় কার্ডিনাল লরেন্স নিয়ম ভেঙে বাইরে থাকা মনসিনিওর ও’ম্যালির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং নানা তথ্য চান, যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাস্তবে নির্বাচনের সময় কার্ডিনালদের সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা হয়; কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার বা বাহিরে যোগাযোগের সুযোগ থাকে না। গোপনে মনোনীত কার্ডিনালের অংশগ্রহণ: বাস্তবে অসম্ভব সিনেমায় আফগানিস্তানের আর্চবিশপ ভিনসেন্ট বেনিতেজ পোপের গোপন মনোনীত (ইন পেকতোরে) কার্ডিনাল হিসেবে নির্বাচনে যোগ দেন। বাস্তবে কোনো পোপ যদি গোপনে কাউকে কার্ডিনাল করেন
এবং তার মৃত্যুর আগে সেই পরিচয় প্রকাশ না করেন, তাহলে নির্বাচিত সেই ব্যক্তি আর কার্ডিনাল হিসেবে বিবেচিত হন না এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল পোপ জন পল দ্বিতীয়-এর সময়ে। তিনি চারজন গোপন কার্ডিনাল নিয়োগ দিয়েছিলেন, কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনজনের নাম প্রকাশ করেন। চতুর্থ জনের নিয়োগ পোপের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বাতিল হয়ে যায়। গুজব ও রাজনীতি থাকে, তবে নির্বাচনের আগেই তা প্রকাশ পায় সিনেমায় দেখা যায়, লরেন্স প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কার্ডিনালের ব্যক্তিগত স্ক্যান্ডাল প্রকাশ করে দেন, যাতে তারা আর পোপ হওয়ার দৌড়ে না থাকেন। বাস্তবে কার্ডিনালরা সাধারণত এসব বিষয় কনক্লেভ শুরুর আগেই খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন, বিশেষ করে ‘জেনারেল
কংগ্রিগেশন’ সভাগুলোতে; যাতে বিতর্কিত কেউ নির্বাচিত না হয়। ২০১৩ সালের নির্বাচনে পোপ ফ্রান্সিসের (তৎকালীন কার্ডিনাল বারগোলিও) একটি ফুসফুস নেই এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, তিনি অনেক আগে একটি সংক্রমণের কারণে একটি ফুসফুসের আংশিক অংশ কেটে ফেলেছিলেন। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, আসন্ন কনক্লেভে ৭১টি দেশের ১৩৩ জন কার্ডিনাল ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিন-চার দিনের মধ্যেই নতুন পোপের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। সার্বিকভাবে ‘কনক্লেভ’ সিনেমাটি পোপ নির্বাচনের কিছু বাস্তব কাঠামো ঠিকভাবে তুলে ধরলেও, গল্পের নাটকীয়তার খাতিরে অনেক জায়গায় বাস্তব নিয়ম ভেঙে ফেলেছে। বিশেষ করে, কার্ডিনালদের আচরণ, গোপন তথ্য আদান-প্রদান এবং গোপন কার্ডিনালের অংশগ্রহণ বাস্তবের সঙ্গে মেলে না। তবে যারা কনক্লেভের রহস্য
জানতে চান তাদের আগ্রহ অনেকটাই কমাতে পারে এই সিনেমা।