এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে – ইউ এস বাংলা নিউজ




এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:০৯ 6 ভিউ
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে। অথচ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বই পেয়েছে মাত্র ১৯ ভাগ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বেশিরভাগ বই পেয়েছে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বই পায়নি। সর্বশেষ প্রাথমিকের ৯ কোটি ২০ লাখ বইয়ের মধ্যে মাত্র ৪ কোটি ৮১ লাখ ৬১ হাজার বই ছাড়পত্র হয়েছে। আর মাধ্যমিকে ৩১ কোটি বইয়ের প্রায় ৩ কোটি বই শুধু ছাড়পত্র হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মঙ্গলবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে সাড়ে ৭ কোটির মতো বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। যা শতকরা হিসাবে ১৯ ভাগ। এবার প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৪১ কোটি বিনামূল্যে পাঠ্যবই

ছাপানো হচ্ছে। সেই হিসাবে এখনো ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী বই পায়নি। মুদ্রণসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে এবার নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। একদিকে বই ছাপানোর জন্য বাজারে পর্যাপ্ত কাগজের সরবরাহ নেই। কাগজ মালিকরা এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। অন্যদিকে শ্রমিক সংকট রয়েছে। নোট ও গাইড ছাপানো মালিকরা বেশি দামে অভিজ্ঞ শ্রমিকদের কাজে লাগাচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রেস মালিকরা। চলতি মাসে কিছু বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো সম্ভব হলেও সব বই ছাপা শেষ হতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগবে। ফলে শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাসে সব শ্রেণিতে বই দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রত্যেক

শ্রেণিতে দ্রুত সব বই দেওয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রত্যেক শ্রেণিতে তিনটি করে বই দেওয়ার কাজ চলছে। তবে প্রেস মালিকরা আমাদের সহযোগিতা করছেন না। তারা সক্ষমতা অনুযায়ী বই ডেলিভারি দিচ্ছেন না। এই মুহূর্তে তাদের সহযোগিতা খুব দরকার। তিনি বলেন, প্রেস মালিকদের কাগজ সংকট নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো সত্য নয়। বাজারে পর্যাপ্ত কাগজ রয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমরা নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপার কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে। আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশে কোনো বই ছাপানো হচ্ছে না। দেশের সক্ষমতা কত সেটা এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে।

এতে করে তো দেরি হবেই। চলতি শিক্ষাবর্ষে সব শিক্ষার্থী কবে নাগাদ সব পাঠ্যবই পাবে তা এখন বলতে পারব না। এছাড়া কাগজের ঘাটতিও রয়েছে। এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা কিছু বই পেলেও ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থীরা এখনো নতুন বই পায়নি। এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকে ইংরেজি ভার্সনের মোট পাঠ্যবই ৫ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি। আর মাধ্যমিকে তা ২১ লাখ ৬৭ হাজারের মতো। এখন পর্যন্ত ইংরেজি ভার্সনের বইগুলো ছাপার কাজ শেষ হয়নি।। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে ৩ মাস দেরিতে শুরু হয় নতুন শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম। এরপর শিক্ষা কারিকুলামে আনা হয় ব্যাপক পরিবর্তন। নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে এবার পাঠ্যপুস্তকে স্থান

পেয়েছে ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল কারিকুলাম। এতে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হলেও ১৩ দিনের মাথায় সেটি বাতিল করা হয়। এছাড়া এনসিটিবির বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সব সদস্য নতুন হওয়ার কারণে এসব কার্যক্রম ছিল ধীর গতি। এতেও ব্যাপক সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এনসিটিবি কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার ২৮৩ শিক্ষার্থীর জন্য ৯৬৪ লটে ছাপা হবে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই। এর মধ্যে প্রাথমিকের ২ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৯ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৪৯২ কপি বই।

অন্যদিকে মাধ্যমিকের ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৪ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ কপি বই। এর মধ্যে ইবতেদায়ি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বইও যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্রেইল বই রয়েছে সাড়ে ৮ হাজার। বাংলাদেশ মুদ্রণ সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপানোর জন্য বাজারে পর্যাপ্ত কাগজ নেই। এদিকে পেপার মিলগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কাগজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বই বাঁধাই করার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। নোট ও গাইড ছাপানো মালিকরা বেশি দামে অভিজ্ঞ শ্রমিকদের কাজে লাগাচ্ছেন। ফলে সক্ষমতা অনুযায়ী বই তৈরি করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি

শ্যামল পাল বলেন, নোট ও গাইড নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো সত্য নয়। আমাদের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো ধরনের নোট ও গাইড না ছাপানোর নির্দেশনা রয়েছে। দ্রুত বই ছাপানোর জন্য আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের, দুর্বল বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র কী ইসরাইলের লাগাম টেনে ধরতে অক্ষম? একদফা দাবিতে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি সাবেক বিডিআর সদস্যদের সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত তাঁবুর ভেতর গর্ত খুঁড়ে থাকছেন গাজার বাসিন্দারা সেদিন রংপুরে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করেন এসপি শাহজাহান চীনে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেও অনিশ্চয়তায় ১৭ মেরিন ক্যাডেট মসজিদের খতিবকে ‘হত্যাচেষ্টা’, আলেম-ওলামাদের বিক্ষোভ ইতালীয় সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েও সমালোচিত ইরান অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে হামলায় আহত ৫ হরিণের মাংসসহ চোরাচালানকারী আটক ফের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া,মুখোমুখি বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয়ক রাফির বিরুদ্ধে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ নতুন মামলায় কামরুল-পলকসহ গ্রেপ্তার ৫ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করান টিউলিপ মিথ্যা বিয়ের সিন্ডিকেট অবশেষে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতে চাচ্ছে ভারত? গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলায় আরো ৪৯ জন নিহত জুয়ার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে গৃহকর্মীকে খুন দুঃসংবাদ, আসছে শৈত্যপ্রবাহ!