
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে দিতে হবে ৫ শতাংশ কর, বিপাকে ভারতীয়রা

পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে আশাবাদী ট্রাম্প

ইউক্রেনের আরও দুটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

নারী সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, মন্ত্রীকে আদালতের হুঁশিয়ারি

ইন্দোনেশিয়ায় স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসে হতাহত ৪, নিখোঁজ ১৯

ইউটিউবার জ্যোতিকে নিয়ে কেনো ভয় পাচ্ছে ভারত

মার্কিন কারাগার থেকে হত্যা মামলার আসামিসহ ১০ জনের পলায়ন
এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা গাজায়

গাজায় স্মরণকালের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকেই এ হামলা আরও জোরদার করেছে দেশটির বর্বর সেনাবাহিনী। ট্যাংক-বিমান-কামানসহ অত্যাধুনিক সব মরণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে অবরুদ্ধ জনপদের অসহায় বাসিন্দাদের ওপর। মধ্যরাত-ভোররাত, সকাল-সন্ধ্যা, দুপুর-বিকাল-২৪ ঘণ্টাজুড়েই চলছে হামলা। পৃথিবীর বুক থেকে বিধ্বস্ত গাজাকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে ইসরাইল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ টার্গেটে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। নিহত হয় ১৪৪ জন। সোমবারও এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা চালিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। আল-জাজিরা, এএফপি।
গাজার বেসামরিকদের অবিলম্বে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনুস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। বিশেষ করে
পূর্বাঞ্চলের আবাসন এবং বানি সুহাইলাপাড়ায় বসবাসকারীদের জন্য নতুন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশ জারি করেছে। এমনকি সেখানে এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। একইসঙ্গে বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলোতেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। সোমবার নুসিরাতের বাস্তুচ্যুতদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালায়। সেই হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আবার ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনস জানিয়েছে ইসরাইল রাতের বেলায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহের গুদামে আঘাত করেছে। অন্যান্য হামলায় নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিদের হাসপাতালে আনার সময়ই এ ঘটনা ঘটেছে। চলমান হামলার মাঝেই সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরাইল’ আরও বলেন, ‘ইসরাইলের পক্ষে
আন্তর্জাতিক সমর্থন ধরে রাখতে গাজায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর উদ্দেশে সীমিত আকারে খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।’ কিন্তু ঠিক কবে থেকে এই ত্রাণ সাহায্য পৌঁছানো হবে তা জানাননি নেতানিয়াহু। এদিকে ইসরাইলি জিম্মিকে ফেরতের বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরাইল। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কাতারের দোহায় আলোচনার সময় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। ইসরাইল ধারণা করছে, গাজায় এখনো ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনকে জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু এ ঘোষণার আগে গাজার উত্তর ও দক্ষিণে ব্যাপক স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। স্থল অভিযান শুরু হলো এমন এক সময়ে, যখন কাতারে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা কার্যত ফলপ্রসূ হয়নি
বলে দুই পক্ষের সূত্র জানিয়েছে। গাজার সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজা যুদ্ধে কমপক্ষে ৫৩,৩৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২১,০৩৪ জন আহত হয়েছে। সরকারি মিডিয়া অফিস অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এরও বেশি। গাজার প্রায় ৯২ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। এক্স পোস্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, ছিটমহলের পরিবারগুলো যে ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হচ্ছে তা ‘অকল্পনীয়। অগণিত মানুষ একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আশ্রয় পাচ্ছে না।’
পূর্বাঞ্চলের আবাসন এবং বানি সুহাইলাপাড়ায় বসবাসকারীদের জন্য নতুন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশ জারি করেছে। এমনকি সেখানে এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। একইসঙ্গে বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলোতেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। সোমবার নুসিরাতের বাস্তুচ্যুতদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালায়। সেই হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আবার ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনস জানিয়েছে ইসরাইল রাতের বেলায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহের গুদামে আঘাত করেছে। অন্যান্য হামলায় নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিদের হাসপাতালে আনার সময়ই এ ঘটনা ঘটেছে। চলমান হামলার মাঝেই সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরাইল’ আরও বলেন, ‘ইসরাইলের পক্ষে
আন্তর্জাতিক সমর্থন ধরে রাখতে গাজায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর উদ্দেশে সীমিত আকারে খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।’ কিন্তু ঠিক কবে থেকে এই ত্রাণ সাহায্য পৌঁছানো হবে তা জানাননি নেতানিয়াহু। এদিকে ইসরাইলি জিম্মিকে ফেরতের বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরাইল। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কাতারের দোহায় আলোচনার সময় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। ইসরাইল ধারণা করছে, গাজায় এখনো ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনকে জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু এ ঘোষণার আগে গাজার উত্তর ও দক্ষিণে ব্যাপক স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। স্থল অভিযান শুরু হলো এমন এক সময়ে, যখন কাতারে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা কার্যত ফলপ্রসূ হয়নি
বলে দুই পক্ষের সূত্র জানিয়েছে। গাজার সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজা যুদ্ধে কমপক্ষে ৫৩,৩৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২১,০৩৪ জন আহত হয়েছে। সরকারি মিডিয়া অফিস অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এরও বেশি। গাজার প্রায় ৯২ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। এক্স পোস্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, ছিটমহলের পরিবারগুলো যে ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হচ্ছে তা ‘অকল্পনীয়। অগণিত মানুষ একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আশ্রয় পাচ্ছে না।’