‘উদ্দীপনের’ নুরুলকে অপসারণ ও মিহির-নজরুলের বিচার দাবি – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘উদ্দীপনের’ নুরুলকে অপসারণ ও মিহির-নজরুলের বিচার দাবি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:১২ 32 ভিউ
বেসরকারি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ‘উদ্দীপন’-এর প্রশাসক এএইচএম নুরুল ইসলামের অপসারণ এবং কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ মিহির কান্তি মজুমদার ও নজরুল ইসলাম খানের বিচারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। বুধবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়, “ঢাকা মহানগর এলাকার আদাবর থানাধীন বেসরকারী সংস্থা ‘উদ্দীপন’ বাংলাদেশের একটি বিশাল আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা। সংস্থাটির আর্থিক লেনদেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সংস্থার সাবেক কর্নধার ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান এবং মিহির কান্তি মজুমদার দুর্নীতিবাজ-দলবাজ-অর্থপাচারকারী ব্যক্তিরা নানা কায়দায় দেশের সাধারণ লোকদের উন্নয়ন না করে ব্যক্তিস্বার্থে দুর্নীতির মাধ্যমে সংস্থার কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছেন। ‘উদ্দীপনের’ বিভিন্ন সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন।” বিবৃতিতে

বলা হয়, “গত বছরের ৫ আগস্ট রাষ্ট্র ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন বিতর্কিত কার্মকাণ্ড ও অপকর্মের জন্য চাকরিচ্যুত এএইচএম নুরুল ইসলামকে (সাবেক অতিরিক্ত সচিব) ‘উদ্দীপনের’ প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তার নিয়োগের অন্যতম শর্ত ছিল সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার, নজরুল ইসলাম খানদের দুর্নীতি-আত্মসাৎ-লুটপাট ইত্যাদির উদঘাটন পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নুরুল ইসলামের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি, বরং জনমনে প্রশ্ন জন্মেছে নুরুল ইসলাম, মিহির কান্তি মজুমদার ও বনজ কান্তিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সব অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা (কয়েকজন সাবেক

সচিব) অন্যান্য কয়েকজন সদস্য ‘উদ্দীপন’ কার্যালয়ে যান ও প্রশাসক এএইচএম নুরুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে ‘উদ্দীপনের’ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।নুরুল ইসলাম ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান নিজেরাই ‘উদ্দীপনের’ পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার ও বোর্ডের অন্যান্যদের বিভিন্ন অপরাধের বর্ণনা উপস্থাপন করেন। মিহির কান্তি মজুমদার, বনজ মজুমদার ও নজরুল ইসলাম খানসহ অন্যান্য দুর্নীতিবাজ টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে পারেননি বলে স্বীকার করেন। কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ-পাচার হয়েছে কিন্তু দীর্ঘদিনেও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এএইচএম নুরুল ইসলাম নিজ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানান। কিন্তু ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেননি। স্বাভাবিক কারণেই

বিশ্বাস করা যায় তিনি নিজেও মজুমদার গংদের সঙ্গে অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা এএইচএম নুরুল ইসলামকে অবিলম্বে ‘উদ্দীপনের’ প্রশাসক পদ থেকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণের সম্পদ ‘উদ্দীপন’ রক্ষার স্বার্থে তার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সোমবার থেকে এনসিটি চালাবে ড্রাইডক রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি? টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, নিখোঁজ শিশুদের খুঁজছেন উদ্ধারকারীরা জাতীয় শোকের মাস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচি