উত্তরাখন্ডের ‘চাষী মুখ্যমন্ত্রী’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




উত্তরাখন্ডের ‘চাষী মুখ্যমন্ত্রী’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ জুলাই, ২০২৫ | ৭:৫৯ 39 ভিউ
সাদা টি-শার্ট। সাদা প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গোটানো। কর্দমাক্ত। চোখে চশমা। এক হাতে ছড়ি। আরেক হাতে শক্ত করে ধরা হালে দড়ি। দুটি গরু দিয়ে জমিতে ধান চাষ করছেন (মই দিচ্ছেন)। দেখে পুরোদস্তুর কৃষক মনে হলেও ছবির মানুষটির আরেক পরিচয় হলো নেপালের হিমালয় সংলগ্ন ভূখণ্ড ভারতের ‘উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী’। শনিবার রাজ্যের ‘নগরতরাই’ অঞ্চলে নিজ গ্রাম খাতিমাতে নিজের জমিতে ধান চাষ করতে নেমে যান একসময়ের চাষী পরিবারের সন্তান মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী (৪৯)। পাকা গেরস্তের মতো শুধু মই দেওয়া নয়, মাঠে কর্মরত কিষানীদের সঙ্গে ধান গাছের চারা রোপণ করেও কৃষি কাজে নিজের দক্ষতা ও চাষীপ্রীতি নজির স্থাপন করেন ক্ষমতাসীন বিজেপির এই মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের

প্রতিবেদন মতে, এদিন রাজ্যের উধম সিং নগর জেলায় নিজের গ্রাম খাতিমায় ধানের জমিতে হাল দিতে নামেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। সেই ছবি আবার এক্স-এ পোস্ট করেন। লেখেন, ‘পুরোনো দিনের কথা ভুলিনি।’ মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি যে নিজের শিকড়কে ভোলেননি, ছবির মধ্যদিয়ে ধামী সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। লিখেছেন, ‘পুরোনো দিনের কথা ভুলতে পারিনি। সেই সময় খাতিমায় নগরতরাইয়ে আমাদের জমিতে ধান লাগানোর কাজ করেছি। এই কাজ করতে কত পরিশ্রম করতে হয় সে অভিজ্ঞতাও আছে।’ আরও লেখেন, ‘কৃষকরা শুধু আমাদের অর্থনীতির শিরদাঁড়া নয়, তারা আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বাহকও বটে। কৃষি কাজে যে নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম রয়েছে, তা একজন কৃষককে না দেখলে বোঝা

যায় না।’ বর্তমানে চম্বাবতের বিধায়ক ধামী খাতিমা থেকে দু’বার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় খাতিমাতে চলে এসেছিল তার পরিবার। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীত্বের চার বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে খাতিমাতে যান তিনি। তারে আগে হরিদ্বারের ‘হর কি পৌরি’র গঙ্গার ধারে একটি ‘পূজা’ও করেন তিনি। ৪ বছর পূর্তিতে আয়োজিত হরিদ্বারের ‘বিকাশ সংকল্প’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ৫৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে ১০৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে সমবেত পূজারী ও হাজার হাজার দর্শণার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেই ছবিও পোস্ট করেন এক্সে। পরদিন সকালে গ্রামে নিজেদের ধানের খেতে হাল দেন। কৃষকদের সঙ্গে ধানের চারাও লাগান। এ সময় উত্তরাখন্ডের সাংস্কৃতিক লোক ঐতিহ্য ‘হুকিয়া বোল’ এর

মাধ্যমে পূজা করেন। ‘হুকিয়া বোল’ এক ধরনের বাউল গান (আঞ্চলিক ঐতিহ্য)। বৃষ্টির দেবতাদের উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত এক ধরনের গান। স্থানীয় রীতি অনুসারে গানগুলো জমিতে সেচ ও ধান রোপণের সময় গাওয়া হয়। ‘হুদকা’ নামক বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গাওয়া হয়। সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাঁধনের সঙ্গে ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সোহানা সাবা বাঁধনের সঙ্গে ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সোহানা সাবা কোন দেশের ওপর ট্রাম্পের কত শুল্ক বসলো শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন, ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন পুরো হবিগঞ্জ জেলা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক অপু গ্রেপ্তার ‘শুধু প্রত্যাশা নয়, ভালো প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে হবে’ ভারত ম্যাচে পাকিস্তানি ভক্তকে মাঠ ছাড়া করে ক্ষমা প্রার্থনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি কমবে রাউজানে দ্বন্দ্ব-খুনের পেছনে মাটির ব্যবসা, বালুমহাল দখল, চাঁদা মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে প্রতারণা, সতর্ক করল হাইকমিশন ভারতে বাঙালিদের ওপর হেনস্থার অভিযোগ, এবার মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন প্রতিশোধ আর বাঁচার আকাঙ্ক্ষা মিলেমিশে চলবে এবার এমন বর্ণাঢ্য অন্তিম যাত্রা কেউ কোনোদিন দেখেনি… আমি ৩৪ লাখ পারিশ্রমিকের টাকা রেখে আসছি : ডলি জহুর পাবনায় ব্যাংক ভাঙচুর ও ম্যানেজারকে পেটালো যুবদল নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর মিয়ানমার জান্তার চট্টগ্রামে ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষক গ্রেপ্তার বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার দেশের এক তৃতীয়াংশ শিশু মিয়ানমারে ৪ বছরের জরুরি অবস্থার অবসান, ডিসেম্বরে নির্বাচন