ইসরাইলের যে ‘দিবাস্বপ্ন’ কখনো পূরণ হবে না – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
     ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

গাজায় একদিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৮০, অনাহারে ১৪

শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান

খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু

ইসরাইলের যে ‘দিবাস্বপ্ন’ কখনো পূরণ হবে না

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:১০ 32 ভিউ
দখলদার ইসরাইল একটা প্রশ্ন বারবারই করে আসছে, তা হলো— ‘হামাস আত্মসমর্পণ করবে কবে?’ কিন্তু এই প্রশ্নটাই ভুল। কারণ, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে যুদ্ধ এখন আর কৌশল নয়, এখন টিকে থাকার এক সংগ্রাম চলছে। হামাসের অস্তিত্ব এখন গোটা ফিলিস্তিন জাতির প্রতীক। এ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক ডেভিড হিয়ার্স্ট বলেন, ‘হামাসের পরিণতি আজ ফিলিস্তিনেরই পরিণতি’। ইসরাইলের দিবাস্বপ্ন গত ১৮ মাসের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন। তারপর দুই মাসের অবরোধ ও ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার পরও ইসরাইল এখনো সেই দিবাস্বপ্ন দেখেই চলেছে যে, হামাসও ‘ফাতাহ’র মতো’ হবে—অর্থ নেবে, বন্দি দেবে, অস্ত্র ছাড়বে। তবে হামাস কখনোই ফাতাহ হতে রাজি নয়। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি বারবার

বলে আসছে, তাদের দুটি মূল শর্ত রয়েছে। যে শর্তে তারা অনড়। তা হলো: ১) অস্ত্রত্যাগ নয়; ২) ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। তাদের প্রস্তাব ছিল—একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির। সব জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি এবং গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা অন্য দলগুলোর হাতে ছেড়ে দেওয়া। তবুও আত্মসমর্পণ নয়। নেতানিয়াহু: শান্তি-প্রচেষ্টার অন্তরায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি-প্রচেষ্টার বিষয়ে হিয়ার্স্ট যে বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন, তা হলো- এই সমস্যা সমাধানে প্রধান বাধা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেই। তিনি জানুয়ারিতে এক সমঝোতায় সই করে নিজেই তা ভেঙে দেন। জিম্মি মুক্তির দ্বিতীয় ধাপে না গিয়েই তিনি আবার যুদ্ধ শুরু করেন—কেবল নিজের জোট সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য। তিনি বলেন, যুদ্ধ এখন খাদ্যভিত্তিক অস্ত্র হয়ে গেছে—ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার

খাদ্য গুদামগুলো বোমা মেরে ধ্বংস করছে। তারা নিরীহ অসহায় গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।এতে ক্ষুধা-তৃষ্ণায়, রোগে-শোকে জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছে নারী ও শিশুরা। তবু হামাস পিছু হটছে না। ‘আত্মসমর্পণ’ মানে ‘জাতীয় আত্মঘাত’ ১৯৮২ সালে বৈরুতে অবরুদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনি সংগঠন ফাতাহ ক্ষমতা হারায় এবং তাদের তৎকালীন নেতা ইয়াসির আরাফাতকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তবে হামাস কখনোই সেই পথে হাঁটেনি। কেন? কারণ, গাজা এখন কেবল একটা ভূখণ্ডই নয়, ফিলিস্তিনিদের জন্য পবিত্র ভূমি হয়ে উঠেছে। এখানে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—প্রতিটি পরিবারই কাউকে না কাউকে হারিয়েছে। ফলে এই ভূমির প্রতিরোধ মানেই গোটা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ। ধর্ম, শৃঙ্খলা ও প্রতিরোধের জোট হামাস কেবল একটি সগঠন বা রাজনৈতিক দলই নয়,

এটি একটি ধর্মীয় আন্দোলন। তারা আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদেই এই আন্দোলন শুরু করেছিল। তাদের সেই দৃষ্টিভঙ্গিই আজ গোটা গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিস্তার লাভ করেছে। যেমন— ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিক রিফাত রাদওয়ান মৃত্যুর মুহূর্তে তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কারণ তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন না। এই অনুভূতি আজ হাজারো ফিলিস্তিনির মধ্যে বিরাজমান—যারা হয়তো হামাসের সদস্য নন, কিন্তু তারা তাদের সেই ধর্মীয় বিশ্বাস হারাননি। ‘জয়’ ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে হামাস জানে, তারা যদি অস্তিত্ব হারায়ও তবুও তারা একটি লক্ষ্য পূরণ করে ফেলেছে। তা হলো— ফিলিস্তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিকে আবারও বিশ্ব সংলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরিয়ে আনা। যেমন— মার্কিন জনগণের মধ্যেও ইসরাইলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বাড়ছে। পিউ গবেষণা অনুযায়ী,

৫৩ শতাংশ মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক এখন ইসরাইলকে বিশ্বের জন্য অস্বস্তিকর মনে করেন। এছাড়া ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় শক্তিগুলোও একে একে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে। যুদ্ধ কখনো চিরস্থায়ী হয় না ইসরাইলের যদি লক্ষ্য হয় ‘যুদ্ধেই সমাপ্তি’— সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের জন্যও সেই একই লক্ষ্য। তাই তো যুদ্ধ দিয়ে এই দ্বন্দ্ব কখনো মীমাংসা হবে না। নেতানিয়াহু যতই চাপে থাকুন না কেন, গাজায় যতই ধ্বংসলীলা চালানো হোক না কেন, হামাসের ‘না’ শব্দটি আজ একক দলের প্রতিরোধ নয়—এটি গোটা একটা জাতির অস্তিত্ব রক্ষার ঘোষণা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ধার দেওয়া টাকা চাওয়ায় মেয়েকে অপহরণ লিজ দলিলে গণভবন হস্তান্তর করল পূর্ত মন্ত্রণালয় ওষুধ কোম্পানির উপঢৌকনে সর্বনাশ হচ্ছে রোগীর গাজায় একদিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৮০, অনাহারে ১৪ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু তিন ঝুঁকিতে কমাচ্ছে না ডলারের দাম দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহত প্রিয়ার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা চাঁদা তুলে রিয়াদের পড়ার খরচ মেটাতেন স্থানীয়রা নারায়ণগ‌ঞ্জে রাতে আগুন, পুড়লো ২০ বসতঘর আগামী ৪ দিন কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার ঘোষণা ঢেউয়ের আঘাতে বিপর্যস্ত সেন্টমার্টিন, তছনছ হয়ে গেছে ১১ হোটেল-রিসোর্ট ৪৫০ যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টা উড়ে ফিরে এলো বিমান ১৪ হাজার কোটি টাকার উৎস জানতে রিমান্ডে ইউপি চেয়ারম্যান মালয়েশিয়ায় ১৫ বাংলাদেশি আটক সরাসরি চাঁদে আঘাত হানতে পারে গ্রহাণু, মহাজাগতিক বিস্ফোরণের শঙ্কা আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা সক্রিয় করবেন যেভাবে জাল সনদে সাবেক এমপির স্ত্রীকে নিয়োগ, অধ্যক্ষ হাজতে মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে