ইরান-ইসরায়েল বন্ধু থেকে যেভাবে চরম শত্রু হয়ে উঠল – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৪ জুন, ২০২৫
     ১১:৩২ অপরাহ্ণ

ইরান-ইসরায়েল বন্ধু থেকে যেভাবে চরম শত্রু হয়ে উঠল

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ জুন, ২০২৫ | ১১:৩২ 83 ভিউ
আজকের দিনে ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের কট্টর শত্রু হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এক সময় এই দুই দেশের মধ্যে ছিল গভীর কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক বন্ধুত্ব, এমনকি সামরিক সহযোগিতাও। ইতিহাস বলছে, একসময় ইরান ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর তুরস্কের পরে দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ১৯৫০ সালে ইরান রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দেয়। তখন ইরানে শাসন করছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। তার আমলেই ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয় দেশ একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস স্থাপন করে এবং নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক সফর ও সহযোগিতা চালু হয়। ইরান তখন ইসরায়েলকে নিয়মিতভাবে তেল সরবরাহ করত। ১৯৫৭ সালে যখন ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সাভাক’ প্রতিষ্ঠিত হয়,

তখন একে সহায়তা করেছিল ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। মূলত মার্কিন সমর্থন নিশ্চিত করতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখায় মনোযোগী হয় ইরান। তবে জনগণের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ছিল আগেও। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতারা এবং বামপন্থিরা ইসরায়েলকে ‘অধিকারহীন একটি দখলদার রাষ্ট্র’ হিসেবে বিবেচনা করতেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের অবস্থান ছিল কঠোরভাবে ইসরায়েলবিরোধী। এই জনবিচ্ছিন্ন সম্পর্কের অবসান ঘটে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে। আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, নতুন সরকার প্রথমেই ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তেহরানে ইসরায়েলের দূতাবাসকে রূপান্তরিত করা হয় ফিলিস্তিন দূতাবাসে। সেই থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে ইরান। এরপর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে যায়। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি

এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে। জবাবে ইসরায়েল একে একে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করতে শুরু করে বলে অভিযোগ ওঠে। আজকের দিনে এসে দুই দেশের বৈরিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে যুদ্ধ একটি বাস্তব সম্ভাবনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুত্ব থেকে চরম শত্রুতে রূপান্তরের এই যাত্রা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে একটি দৃষ্টান্তমূলক মোড়লিপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সনিক টিউনার কুয়াশার দাপটে বাড়ছে শীতের অনুভূতি আন্দোলনের মুখে দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ডিনের প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এনএসআই’র ১৩ কর্মকর্তার সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে দুদক দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা হয়নি: জয়সওয়াল ফয়সাল ও সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য ৬ শান্তিরক্ষীর অশ্রুসজল বিদায় পারাপারের সময় ফেরি থেকে পড়ে নদীতে ডুবল ৫ যান, ৩ জনের মৃত্যু মহাখালীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন আহত ছায়ানটে হামলা: ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ৪০০ বছর পর চিঠি বিলি বন্ধ করছে ড্যানিশ পোস্ট অফিস দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুক হামলা, নিহত ১০ নজিরবিহীন অস্ত্র বিক্রি করেছে ইসরায়েল, শীর্ষ ক্রেতা কারা চুম্বন বিতর্কে রাকেশ বললেন, এসব হাস্যকর অবয়ব থেকেই নির্ধারণ হবে রোগীর চিকিৎসা শীতে খসখসে হাত পায়ের যত্ন নেবেন যেভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউবে কথা বলবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরেই হাদিকে সরিয়েছে’— মির্জা আব্বাসের দিকে ইঙ্গিত জামায়াত আমিরের ভিডিও প্রমাণ: ময়মনসিংহে গণপিটুনিতে নিহত হিন্দু যুবক পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন, কারখানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি