আবরার ফাহাদকে নিয়ে ছোট ভাইয়ের হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস – ইউ এস বাংলা নিউজ




আবরার ফাহাদকে নিয়ে ছোট ভাইয়ের হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:২৬ 19 ভিউ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ প্রকৌশলী বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়। আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ফেসবুকে একটি মর্মস্পর্শী স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি লেখেন, ২০১৯ সালের আজ অর্থাৎ ৬ অক্টোবর ভাইয়া ঢাকাতে যায়। ২৬ সেপ্টেম্বরে কুষ্টিয়াতে আসার পরই ইলিশ আর ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে দুটি পোস্ট দিয়েছিল। সেদিন আম্মু নিজে ভাইয়াকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসছিল। এরপর মাত্র ১৩-১৪ ঘণ্টার মধ্যে ওকে

তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। আর ২০ ঘণ্টা পরই বাসায় আসে মৃত্যুর সংবাদ। সেদিন সকালে যাওয়ার আগে ৯টার দিকে আম্মু আমাকে ডেকেছিল। ‘ভাইয়া চলে যাচ্ছে, ওঠ’। কিন্তু ভাইয়া বলে, ‘না থাক, অনেক রাতে ঘুমাইছে ঘুমাতে দাও। আমি চলে গেলাম। তুই বেশিদিন থাকিস না, তাড়াতাড়ি ঢাকা চলে আসিস’। যাওয়ার আগের রাতে আম্মুকে ভাইয়া বলেছিল, ‘আম্মু অনেক ছারপোকা কামড়ায়। পিঠে একটু হাত বুলিয়ে দাও তো। কোনো দাগ হয়ে গেছে নাকি? আচ্ছা, তোমার কাছে কি এমন কোনো ওষুধ আছে, যা লাগালে আর কামড়াবে না আমাকে’। প্রসঙ্গেত, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ও গ্যাস চুক্তির বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস

দেন আবরার। ওই দিনই শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে আসামিরা সভা করে বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরারকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। স্ট্যাটাসটি দেওয়ার সময় তিনি কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। পর দিন (৬ অক্টোবর) বিকালে তিনি বাড়ি থেকে বুয়েটের হলে ফেরেন। হলে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মাথায় রাত ৮টার দিকে আবরারসহ দ্বিতীয় বর্ষের সাত-আটজন ছাত্রকে শেরেবাংলা হলের দোতলার ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাত-আটজন নেতা। তারা আবরার ফাহাদের মোবাইল নিয়ে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ঘেঁটে দেখেন। এ সময় আবরার শিবিরের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ আনা হয়। আবরার এসব অস্বীকার করলে শুরু হয় স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর চতুর্থ

বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আসেন। তারা আরেক দফা পেটান আবরারকে। মার খেয়ে একপর্যায়ে আবরার অচেতন হয়ে পড়লে কোলে করে মুন্নার কক্ষে (২০০৫ নং) নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় অচেতন আবরারকে নিয়ে যান তারা। অচেতন আবরারের চিকিৎসার জন্য হল প্রভোস্ট ও চিকিৎসককে খবর দেয় ছাত্রলীগের সেসব কর্মী। কিন্তু এরই মধ্যে প্রাণ হারান আবরার। চিকিৎসক এসে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার গৃহযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলায় ৩৫ জন আহত ইসির ব্রিফিংয়ের আগে নামানো হলো শেখ মুজিবের ছবি ইউক্রেনকে শ্মশানে পরিণত করতে চায় পুতিন মোহাম্মদপুরে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটে ভোগান্তি চরমে চার বিসিএস থেকে ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ বান্দরবানে ৩ কেএনএ সদস্য নিহত, অস্ত্র উদ্ধার পবিপ্রবিতে রাতভর র‍্যাগিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৭ অটোরিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবারো সড়ক অবরোধ মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৭, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ঐক্যকে রাখতে হবে ইস্পাত কঠিন অটুট : জামায়াত আমির রাশিয়ার ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র কতটা বিধ্বংসী? হলিউডের দুই ছবি বাংলাদেশের পর্দায় বাংলাদেশ সফরে আসার পরিকল্পনা ব্রিটিশ রাজার গ্যাসের জন্য ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছি