ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ডিপি ওয়ার্ল্ড দায়িত্ব নেয়ার আগেই বন্দরে কন্টেইনারের হ্যান্ডলিং চার্জ বাড়লো প্রায় ২৩ হাজার টাকা
আওয়ামী লীগ নেতা লিটনের ব্যবসা-টেন্ডারে ভাগ চান এনসিপি নেত্রী মিশমা, ফোনালাপ ফাঁস
অর্থনীতিতে স্থবিরতা, বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা
অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক চাপ: ভেঙে পড়ছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, চোখে অন্ধকার সাধারণ মানুষের
বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ
ইউনূস শাসনামল: গুমের পরে লাশ হয়ে ফিরলেন আরও এক মুক্তিযোদ্ধা
ড. ইউনূসের সৌদি আরব সফর বাতিলের নেপথ্যে শেখ হাসিনার ছায়া?
আইডিএমসি ও আইওএম: আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর সহিংসতা, বাড়িছাড়া লাখো নেতাকর্মী
গত বছর নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতে জোটবদ্ধ দাঙ্গাবাজদের সহিংসতার মুখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ঘরছাড়া হন। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, রাজনৈতিক সহিংসতা, সংঘাত ও নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশে ১ লাখ ৫৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
তবে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরো বেশি এবং নির্যাতনের মাত্রা আরও ভয়াবহ বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তাদের শারিরিক নির্যাতন, খুন, জখম ও আগুনে ঘরবাড়ি ও সম্পদ পুড়িয়ে দিলেও তারা কোনও বিচার পাচ্ছেন না। এমনকি দখলদার ইউনূস সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীদের যেন বাড়িভাড়া না দেওয়া হয় মাইকিং করে প্রচার করছে পুলিশ। জারি করছে প্রজ্ঞাপনও।
যা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বাড়িভাড়া না দেওয়ার নির্দেশনা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গত বছরের আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়, দোকান ও ব্যবসা লুট করা হয়, অনেককে পিটিয়ে, কুপিয়ে, গুলি করে হত্যা করা হয়। দলীয় সূত্র জানায়, এসব হামলায় অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন নিরীহ, অরাজনৈতিক মানুষ যারা কেবল আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তাদেরকেও ইউনূস সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে নির্যাতন করা হয়। তাদের সম্পদ লুণ্ঠন ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অনেক ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতিতেই এসব সহিংসতার
ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা কোনো বিচার তো পাননি, উল্টো তারা আটক হয়েছেন, মব হামলার শিকার হয়েছেন, গ্রেপ্তার ও কারাবরণ করছেন। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতার সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের শতাধিক কার্যালয়, প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মীর ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালানো হয়। অনেক পরিবার আজও আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে এই হিসাব খণ্ডিত বলে জানা গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। প্রতিটি ঘটনার রেকর্ড রয়েছে সংগঠনের কাছে, দায়িত্বশীলরা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ৫ই আগস্টের পর রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ‘যে আন্দোলনটি জনগণের দাবি থেকে শুরু হয়েছিল, তা
ক্রমে প্রতিশোধমূলক সহিংসতায় রূপ নেয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি আক্রমণের শিকার হন,’ বলেন তিনি। আইডিএমসি ও আইওএম জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে অন্তত ২ হাজার ৮০০ জনের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাকিরা দেশেই অবস্থান করছেন নাকি দেশ ছেড়ে গেছেন অথবা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এদের বড় অংশই আওয়ামী লীগ–সমর্থিত পরিবার, যারা হামলা–লুটপাটের ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। তারা এখনো আত্মগোপনে আছেন। প্রায়ই আত্মগোপন থেকে বেরুলে মবের শিকার হচ্ছেন তারা। সরকার উৎখাত পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে দেশজুড়ে যেভাবে আওয়ামী লীগ–সমর্থিতদের ঘরবাড়ি, দোকান, এমনকি ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, তা ছিল সংগঠিত ও পরিকল্পিত। অনেক
এলাকায় গোষ্ঠীগত মব তৈরি করে সম্পদ লুট করা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়। এটি গণহত্যার সংজ্ঞার আওতায় পড়ে বলে জানান মানবাধিকার কর্মীরা। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলার সময় দুষ্কৃতকারীরা কখনো উগ্রবাদী জঙ্গি স্লোগান, কখনো ইনকিলাব কিংবা জুলাইয়ের নামে স্লোগান দিতে দিতে নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়, লুটতরাজ চালায় এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটায়। প্রকাশ্যেই এসব ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা যায় না। বিশ্লেষকদের মতে, এই সহিংসতায় শুধু রাজনৈতিকভাবে নয়, সামাজিকভাবেও একটি গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো এখনো নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে কর্মহীন, অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার
শর্তে বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর তথ্যের মধ্যে নির্দলীয় বিশ্লেষণ থাকলেও, মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশ ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ–সমর্থক। ‘আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছি যাতে এই বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো পুনর্বাসন ও সুরক্ষার আওতায় আসতে পারেন,’ বলেন তিনি। গত বছরের ৫ই আগস্টের পর যে সহিংসতা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তাতে আওয়ামী লীগের বহু নিরীহ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবার ঘরছাড়া, সম্পদহারা ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আন্দোলনের নামে সংঘটিত এই সহিংসতা এখন একটি বড় মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে। এই ক্ষতি ও ক্ষত পোষানোর নয় বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।
যা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বাড়িভাড়া না দেওয়ার নির্দেশনা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গত বছরের আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়, দোকান ও ব্যবসা লুট করা হয়, অনেককে পিটিয়ে, কুপিয়ে, গুলি করে হত্যা করা হয়। দলীয় সূত্র জানায়, এসব হামলায় অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন নিরীহ, অরাজনৈতিক মানুষ যারা কেবল আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তাদেরকেও ইউনূস সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে নির্যাতন করা হয়। তাদের সম্পদ লুণ্ঠন ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অনেক ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতিতেই এসব সহিংসতার
ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা কোনো বিচার তো পাননি, উল্টো তারা আটক হয়েছেন, মব হামলার শিকার হয়েছেন, গ্রেপ্তার ও কারাবরণ করছেন। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতার সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের শতাধিক কার্যালয়, প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মীর ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালানো হয়। অনেক পরিবার আজও আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে এই হিসাব খণ্ডিত বলে জানা গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। প্রতিটি ঘটনার রেকর্ড রয়েছে সংগঠনের কাছে, দায়িত্বশীলরা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ৫ই আগস্টের পর রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ‘যে আন্দোলনটি জনগণের দাবি থেকে শুরু হয়েছিল, তা
ক্রমে প্রতিশোধমূলক সহিংসতায় রূপ নেয়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি আক্রমণের শিকার হন,’ বলেন তিনি। আইডিএমসি ও আইওএম জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে অন্তত ২ হাজার ৮০০ জনের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাকিরা দেশেই অবস্থান করছেন নাকি দেশ ছেড়ে গেছেন অথবা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এদের বড় অংশই আওয়ামী লীগ–সমর্থিত পরিবার, যারা হামলা–লুটপাটের ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। তারা এখনো আত্মগোপনে আছেন। প্রায়ই আত্মগোপন থেকে বেরুলে মবের শিকার হচ্ছেন তারা। সরকার উৎখাত পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে দেশজুড়ে যেভাবে আওয়ামী লীগ–সমর্থিতদের ঘরবাড়ি, দোকান, এমনকি ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, তা ছিল সংগঠিত ও পরিকল্পিত। অনেক
এলাকায় গোষ্ঠীগত মব তৈরি করে সম্পদ লুট করা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়। এটি গণহত্যার সংজ্ঞার আওতায় পড়ে বলে জানান মানবাধিকার কর্মীরা। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলার সময় দুষ্কৃতকারীরা কখনো উগ্রবাদী জঙ্গি স্লোগান, কখনো ইনকিলাব কিংবা জুলাইয়ের নামে স্লোগান দিতে দিতে নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়, লুটতরাজ চালায় এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটায়। প্রকাশ্যেই এসব ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা যায় না। বিশ্লেষকদের মতে, এই সহিংসতায় শুধু রাজনৈতিকভাবে নয়, সামাজিকভাবেও একটি গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো এখনো নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে কর্মহীন, অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার
শর্তে বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর তথ্যের মধ্যে নির্দলীয় বিশ্লেষণ থাকলেও, মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশ ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ–সমর্থক। ‘আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছি যাতে এই বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো পুনর্বাসন ও সুরক্ষার আওতায় আসতে পারেন,’ বলেন তিনি। গত বছরের ৫ই আগস্টের পর যে সহিংসতা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তাতে আওয়ামী লীগের বহু নিরীহ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবার ঘরছাড়া, সম্পদহারা ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আন্দোলনের নামে সংঘটিত এই সহিংসতা এখন একটি বড় মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে। এই ক্ষতি ও ক্ষত পোষানোর নয় বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।



