অন্তঃসত্ত্বাদের ঈদযাত্রায় সতর্কতা – ইউ এস বাংলা নিউজ




অন্তঃসত্ত্বাদের ঈদযাত্রায় সতর্কতা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩ জুন, ২০২৫ | ১০:০৮ 45 ভিউ
ঈদের ছুটিতে সবাই চায় নগরজীবন থেকে মুক্ত হয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে। এমনকি অনেক অন্তঃসত্ত্বা ঈদে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন। তবে এই যাত্রা যদি দীর্ঘমেয়াদি ও সময়সাপেক্ষ হয়, তাহলে সেটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই যেসব অন্তঃসত্ত্বা ঈদযাত্রার চিন্তা করছেন, তাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। যাত্রা করার উপযুক্ত সময়: গর্ভাবস্থায় চার থেকে সাত মাস পর্যন্ত যাত্রা করা সাধারণত নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস যে কোনো ধরনের দূরের বা কাছের যাত্রা না করাই শ্রেয়। একইভাবে গর্ভাবস্থায় সপ্তম মাসের মধ্যে দূরের যাত্রায় না যাওয়া শ্রেয়। এ সময়টাতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে।

যে কোনো সময় প্রসব ব্যথা উঠতে পারে অথবা অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। দূরের যাত্রায় করণীয়: দূরের যাত্রার ক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে অন্তঃসত্ত্বারা যেন সর্বোচ্চ আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারেন। যানবাহনের ক্ষেত্রে বাসের তুলনায় ট্রেন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। যাত্রার সময় যদি দীর্ঘ হয়, তাহলে অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য শোয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয়। যাত্রাপথে অন্তঃসত্ত্বারা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শুকনা খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল খাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। একটানা ছয় থেকে সাত ঘণ্টার জার্নি এড়িয়ে চলা ভালো। যাত্রা দীর্ঘ সময়ের হলে পুরো সময় বসে না থেকে সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যে হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে।

চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বাচ্চার নাড়াচাড়া যেন পর্যাপ্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনো ধরনের বাইরের খোলা খাবার পরিহার করতে হবে। যাত্রাপথে ঘরের তৈরি খাবার সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। গাড়িতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সিটবেল্ট সঠিকভাবে বাঁধতে হবে। তবে সিটবেল্ট যেন পেটের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হব। অতিরিক্ত ঝাঁকুনি লাগতে পারে, এমন যানবাহনে ভ্রমণ করা উচিত নয়। ভ্রমণের সময় একাধিকবার বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে, বিষয়টি মাথায় রেখে যানবাহন নির্বাচন করতে হবে। ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে। সর্বোপরি, মা এবং শিশু যেন সুস্থ থাকে, সে বিষয়ে

পরিবারের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। ডা. সানিয়া সুলতানা গাইনি বিশেষজ্ঞ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চেম্বার: আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
স্বাধীনতা দিবস শুধু উদযাপন নয়, দায়িত্বও মনে করিয়ে দেয়: আফ্রিদি নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে ঢাবি থেকে পৃথক হলো অধিভুক্ত ৭ কলেজ ‘ট্রাম্প পুতিন বৈঠকে জেলেনস্কির উপস্থিতি প্রয়োজন নেই’ ‘গুরুতর’ দুই অভিযোগে বরখাস্ত গণপূর্তের দেবতোষ দেব দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩ ওসিকে ‘ল্যাংটা করে তাড়িয়ে’ দেওয়ার হুমকি দিয়ে পদ হারালেন বিএনপি নেতা অস্ত্র বের করলেই গুলি: সিএমপি কমিশনার জামায়াত-এনসিপির শর্তের চাপে বিএনপি, নির্বাচন নিয়ে নতুন শঙ্কা ‘আমাকে বাঁচাও’ লিখে প্রেমিকার মেসেজ, এরপরই মিলল মরদেহ মালয়েশিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৭৮৯৬ অভিবাসী, বাংলাদেশি ১১৩৬ ‘ট্রাম্প পুতিন বৈঠকে জেলেনস্কির উপস্থিতি প্রয়োজন নেই’ বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের মানহানি মামলার হুমকি মেলানিয়ার বাংলাদেশে নিজের বিচার নিয়ে টিউলিপের প্রতিক্রিয়া সেনাপ্রধানের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট, আইএসপিআরের সতর্কবার্তা যে রিপোর্ট ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় বিসিবি সভাপতি ফারুকের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগের প্রতিবাদ সম্পাদক পরিষদের বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে উয়েফা সুপার কাপে ইসরায়েল পুড়ছে রেকর্ড তাপমাত্রায় নাটকীয় কামব্যাকের পর টাইব্রেকারে পিএসজির সুপার কাপ জয়