অন্তঃসত্ত্বাদের ঈদযাত্রায় সতর্কতা – ইউ এস বাংলা নিউজ




অন্তঃসত্ত্বাদের ঈদযাত্রায় সতর্কতা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩ জুন, ২০২৫ | ১০:০৮ 36 ভিউ
ঈদের ছুটিতে সবাই চায় নগরজীবন থেকে মুক্ত হয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে। এমনকি অনেক অন্তঃসত্ত্বা ঈদে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন। তবে এই যাত্রা যদি দীর্ঘমেয়াদি ও সময়সাপেক্ষ হয়, তাহলে সেটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই যেসব অন্তঃসত্ত্বা ঈদযাত্রার চিন্তা করছেন, তাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। যাত্রা করার উপযুক্ত সময়: গর্ভাবস্থায় চার থেকে সাত মাস পর্যন্ত যাত্রা করা সাধারণত নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস যে কোনো ধরনের দূরের বা কাছের যাত্রা না করাই শ্রেয়। একইভাবে গর্ভাবস্থায় সপ্তম মাসের মধ্যে দূরের যাত্রায় না যাওয়া শ্রেয়। এ সময়টাতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে।

যে কোনো সময় প্রসব ব্যথা উঠতে পারে অথবা অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। দূরের যাত্রায় করণীয়: দূরের যাত্রার ক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে অন্তঃসত্ত্বারা যেন সর্বোচ্চ আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারেন। যানবাহনের ক্ষেত্রে বাসের তুলনায় ট্রেন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। যাত্রার সময় যদি দীর্ঘ হয়, তাহলে অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য শোয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয়। যাত্রাপথে অন্তঃসত্ত্বারা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শুকনা খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল খাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। একটানা ছয় থেকে সাত ঘণ্টার জার্নি এড়িয়ে চলা ভালো। যাত্রা দীর্ঘ সময়ের হলে পুরো সময় বসে না থেকে সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যে হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে।

চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বাচ্চার নাড়াচাড়া যেন পর্যাপ্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনো ধরনের বাইরের খোলা খাবার পরিহার করতে হবে। যাত্রাপথে ঘরের তৈরি খাবার সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। গাড়িতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সিটবেল্ট সঠিকভাবে বাঁধতে হবে। তবে সিটবেল্ট যেন পেটের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হব। অতিরিক্ত ঝাঁকুনি লাগতে পারে, এমন যানবাহনে ভ্রমণ করা উচিত নয়। ভ্রমণের সময় একাধিকবার বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে, বিষয়টি মাথায় রেখে যানবাহন নির্বাচন করতে হবে। ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে। সর্বোপরি, মা এবং শিশু যেন সুস্থ থাকে, সে বিষয়ে

পরিবারের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। ডা. সানিয়া সুলতানা গাইনি বিশেষজ্ঞ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চেম্বার: আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ঢাকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা অসহায়! বিধ্বস্তের আগে কন্ট্রোল রুমে কী বলেছিলেন পাইলট তৌকির মধ্যপ্রাচ্য : বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র টঙ্গীতে ৪ ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি বিভিন্ন বিলে অবাধে পোনাসহ মাছ নিধন জাপানের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য চুক্তির দাবি ট্রাম্পের ভারতে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজে আগুন চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির সোমবার মাইলস্টোনে ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনা নিয়ে যা বলছে আইএসপিআর স্কুলে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কিছু ঘটনা স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা কি এবারই প্রথম? তারকাবিহীন ‘সাইয়ারা’ জ্বরে ভারত, ৩ দিনে হলো কত আয় বাসায় ফিরেছেন ফরিদা পারভীন টিকটকে ভাইরাল ‘পার্ল ইয়াররিং থিওরি’ আসলে কী, জানেন? নিউইয়র্কে ‘আমরা মুজিব’র পুনর্মিলনী সমাবেশ গোপালগঞ্জে সৃষ্টি হলো ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের শর্তে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে, সমালোচনার ঝড় সচিবালয়ের সামনে লাঠিপেটায় আহত ৪৩ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের চিকিৎসাসহ সকল ধরনের সহায়তার প্রস্তাব ভারতের আই ডোন্ট কেয়ার ইয়োর প্রোপাগান্ডা, আই ডোন্ট গিভ আ ফাক টু ইয়োর ফ্রেমড ন্যারেটিভ