ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ড. ইউনুস দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে কূটনৈতিক দৌড়ঝাপ
এবার বাংলাদেশ পুলিশকে পুলিশিং শেখাতে আসছে পাকিস্তান
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা বার্তা
২০১৭ সালে মৃত ব্যক্তিও মামলার আসামি! ফেসবুকে ছেলের স্ট্যাটাস
‘সাজানো নির্বাচনের’ লক্ষ্যেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এখনই কার্যকর হচ্ছে না: জয়
“আমার কোনো অভিভাবক নেই, তোমরাই আমার অভিভাবক” – জেনারেল ওয়াকার
হেফাজত আমির: জামায়াত সাহাবাদের দুষমন, মওদুদীর ইসলাম আর আমাদের ইসলাম এক নয়
মসজিদের শহর ঢাকা থেকে লাশের শহরের অভিমুখে যাত্রা
ঢাকায় চৌদ্দ মাসে সাড়ে চারশো খুন। এই সংখ্যাটা শুনলে যে কারো গা শিউরে ওঠার কথা। কিন্তু ড. ইউনূস আর তার অবৈধ সরকারের কাছে এটা বোধহয় শুধুই পরিসংখ্যান। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে পরিকল্পিত দাঙ্গার মাধ্যমে একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কাছ থেকে আর কীই বা আশা করা যায়?
ক্যু করে ক্ষমতা দখলের পরপরই শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের পদ্ধতিগত ভাঙচুর। থানা থেকে পাঁচ হাজার ৭৫০টা আগ্নেয়াস্ত্র লুট হলো। কারাগার থেকে ছাড়া পেল সন্ত্রাসী আর জঙ্গিরা। এখন দেড় হাজারের বেশি অস্ত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে অপরাধীদের হাতে। এই অস্ত্র উদ্ধারের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে তাদের? নাকি ইচ্ছা করেই রাখা হয়েছে রাস্তায়, যাতে মানুষ আতঙ্কে
থাকে, যাতে প্রতিবাদের গলা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া যায়? জুলাইয়ের ‘গণঅভ্যুত্থান’ নামের সেই সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের পর এই বছরের জুলাই মাসেই ঢাকায় হয়েছে সবচেয়ে বেশি খুন – পঁচাত্তরটা। কাকতালীয়? মোটেই না। এটা ছিল ভয় দেখানোর, দমিয়ে রাখার একটা পদ্ধতি। যখন রাষ্ট্রের বৈধতা থাকে না, যখন জনগণের রায় থাকে না পিছনে, তখন শাসকদের বাঁচার একটাই রাস্তা – ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা। ইউনূস সরকার ঠিক সেটাই করছে। এই সরকারের আসার পেছনে বিদেশি শক্তির অর্থায়ন আর ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সহায়তার কথা এখন আর গোপন নেই। সামরিক বাহিনীর একাংশের সমর্থনে এরা ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু যেহেতু কোনো নির্বাচনে জিতে আসেনি, তাই জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কোনো বালাই নেই। একজন সুদখোর
মহাজনকে দিয়ে দেশ চালানোর এটাই পরিণতি। এরা শাসন করে না, ব্যবসা করে। আর সেই ব্যবসায় সবচেয়ে লাভজনক পণ্য হলো মানুষের ভয় আর নিরাপত্তাহীনতা। তথাকথিত ‘অ-সরকার’ – নামটাই বলে দেয় এদের আসল পরিচয়। এরা সরকার নয়, এরা দখলদার। আর দখলদারদের কাজই হলো যা কিছু আছে সব লুটপাট করা, যা কিছু দাঁড়িয়ে আছে সব ভেঙে ফেলা। পুলিশ বাহিনী ভেঙে পড়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। নেই বললে ভুল হবে – আসলে চাইলেই যে তারা পারতো না, তা নয়। কিন্তু রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির অভাবে, আর বলা ভালো রাজনৈতিক বৈধতার অভাবে, কোনো শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস তাদের নেই। ফলাফল? প্রকাশ্য দিবালোকে হার্ডওয়্যারের দোকানে ঢুকে মাথায়
গুলি করে খুন। সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছে খুনিরা, কারণ তারা জানে কিছু হবে না। গণপিটুনিতে ১৪ মাসে ২১৬ জন মারা গেছে। গণপিটুনি! সভ্যতার একুশ শতকে একটা দেশে মানুষ পিটিয়ে মারা হচ্ছে, আর রাষ্ট্র তাকিয়ে দেখছে। কারণ যারা ক্ষমতায় আছে, তারা নিজেরাই তো এসেছে সহিংসতার রাস্তা দিয়ে। লাশ বিকৃত করার ঘটনা বাড়ছে। ডাস্টবিনে, নদীতে, ড্রেনে মিলছে লাশ। এই যে নৃশংসতার মাত্রা, এটা একদিনে তৈরি হয়নি। যখন রাষ্ট্র নিজেই বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় আসে, যখন সংবিধান ভেঙে একটা সরকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তখন দেশের সাধারণ অপরাধীরাও সাহস পায়। তারাও বুঝে যায় যে আইনের শাসন বলে আর কিছু নেই। যে দেশে ক্যু করে
ক্ষমতা নেওয়া যায়, সেই দেশে খুন করে পার পাওয়াটা কী এমন কঠিন? ইউনূস সরকারের কাছে প্রশ্ন: যে পাঁচ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে, তার দায় কার? যে দেড় হাজার অস্ত্র এখনো রাস্তায় ঘুরছে, সেগুলো উদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রতি মাসে তেত্রিশটা খুন হচ্ছে রাজধানীতে, এই ব্যর্থতার দায়ভার কে নেবে? নাকি ইউনূস ভাবছেন তার নোবেল পুরস্কারই যথেষ্ট রেফারেন্স, আর কোনো জবাবদিহিতা লাগবে না? এই সরকার নির্বাচিত নয়, তাই তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই দেশ চালানোর। তারা যতই ‘সংস্কার’ এর কথা বলুক না কেন, বাস্তবতা হলো দেশ এখন আরও অসংস্কারিত, আরও বিশৃঙ্খল, আরও রক্তাক্ত। প্রতিদিন যানবাহনে আগুন, রাস্তায় ককটেল, প্রকাশ্যে গুলি করে খুন –
এই হলো তাদের ‘নতুন বাংলাদেশ’? আসলে যা হচ্ছে তা পরিষ্কার। একটা দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে রাখা হচ্ছে। কারণ যতদিন মানুষ ভয়ে থাকবে, যতদিন প্রতিদিন লাশের খবরে ব্যস্ত থাকবে, ততদিন প্রশ্ন করার সময় পাবে না – কোন অধিকারে এই সরকার ক্ষমতায় আছে? ভয় আর নিরাপত্তাহীনতা হলো অবৈধ শাসকদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ইউনূস সরকার সেই হাতিয়ারটাই ব্যবহার করছে পুরোমাত্রায়। বাংলাদেশকে লাশের দেশ বানানোর একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা চলছে বলেই মনে হয়। না হলে একটা সরকার এতটা নিষ্ক্রিয় থাকে কীভাবে? ১৪ মাসে ৪৫৬ খুন, আর সরকারের তরফ থেকে শুধু পরিসংখ্যান! কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেই, কোনো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই, কোনো স্পষ্ট নীতি নেই। আছে শুধু একটা অবৈধ,
অক্ষম, অযোগ্য সরকার, যারা বিদেশি প্রভুদের নির্দেশে চলে, জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থনে টিকে আছে, আর সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় ক্ষমতায় বসে আছে। যে দেশে নির্বাচিত সরকার না থাকে, সে দেশে আইনের শাসন থাকে না। যে দেশে আইনের শাসন থাকে না, সে দেশে মানুষের জীবনের দাম থাকে না। আর যে দেশে মানুষের জীবনের দাম নেই, সেই দেশ আর দেশ থাকে না – হয়ে যায় একটা খোলা জবাইখানা। ইউনূস আর তার দখলদার সরকার ঠিক সেই জবাইখানাটাই তৈরি করেছে বাংলাদেশে।
থাকে, যাতে প্রতিবাদের গলা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া যায়? জুলাইয়ের ‘গণঅভ্যুত্থান’ নামের সেই সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের পর এই বছরের জুলাই মাসেই ঢাকায় হয়েছে সবচেয়ে বেশি খুন – পঁচাত্তরটা। কাকতালীয়? মোটেই না। এটা ছিল ভয় দেখানোর, দমিয়ে রাখার একটা পদ্ধতি। যখন রাষ্ট্রের বৈধতা থাকে না, যখন জনগণের রায় থাকে না পিছনে, তখন শাসকদের বাঁচার একটাই রাস্তা – ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা। ইউনূস সরকার ঠিক সেটাই করছে। এই সরকারের আসার পেছনে বিদেশি শক্তির অর্থায়ন আর ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সহায়তার কথা এখন আর গোপন নেই। সামরিক বাহিনীর একাংশের সমর্থনে এরা ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু যেহেতু কোনো নির্বাচনে জিতে আসেনি, তাই জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কোনো বালাই নেই। একজন সুদখোর
মহাজনকে দিয়ে দেশ চালানোর এটাই পরিণতি। এরা শাসন করে না, ব্যবসা করে। আর সেই ব্যবসায় সবচেয়ে লাভজনক পণ্য হলো মানুষের ভয় আর নিরাপত্তাহীনতা। তথাকথিত ‘অ-সরকার’ – নামটাই বলে দেয় এদের আসল পরিচয়। এরা সরকার নয়, এরা দখলদার। আর দখলদারদের কাজই হলো যা কিছু আছে সব লুটপাট করা, যা কিছু দাঁড়িয়ে আছে সব ভেঙে ফেলা। পুলিশ বাহিনী ভেঙে পড়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। নেই বললে ভুল হবে – আসলে চাইলেই যে তারা পারতো না, তা নয়। কিন্তু রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির অভাবে, আর বলা ভালো রাজনৈতিক বৈধতার অভাবে, কোনো শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস তাদের নেই। ফলাফল? প্রকাশ্য দিবালোকে হার্ডওয়্যারের দোকানে ঢুকে মাথায়
গুলি করে খুন। সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছে খুনিরা, কারণ তারা জানে কিছু হবে না। গণপিটুনিতে ১৪ মাসে ২১৬ জন মারা গেছে। গণপিটুনি! সভ্যতার একুশ শতকে একটা দেশে মানুষ পিটিয়ে মারা হচ্ছে, আর রাষ্ট্র তাকিয়ে দেখছে। কারণ যারা ক্ষমতায় আছে, তারা নিজেরাই তো এসেছে সহিংসতার রাস্তা দিয়ে। লাশ বিকৃত করার ঘটনা বাড়ছে। ডাস্টবিনে, নদীতে, ড্রেনে মিলছে লাশ। এই যে নৃশংসতার মাত্রা, এটা একদিনে তৈরি হয়নি। যখন রাষ্ট্র নিজেই বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় আসে, যখন সংবিধান ভেঙে একটা সরকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তখন দেশের সাধারণ অপরাধীরাও সাহস পায়। তারাও বুঝে যায় যে আইনের শাসন বলে আর কিছু নেই। যে দেশে ক্যু করে
ক্ষমতা নেওয়া যায়, সেই দেশে খুন করে পার পাওয়াটা কী এমন কঠিন? ইউনূস সরকারের কাছে প্রশ্ন: যে পাঁচ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে, তার দায় কার? যে দেড় হাজার অস্ত্র এখনো রাস্তায় ঘুরছে, সেগুলো উদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রতি মাসে তেত্রিশটা খুন হচ্ছে রাজধানীতে, এই ব্যর্থতার দায়ভার কে নেবে? নাকি ইউনূস ভাবছেন তার নোবেল পুরস্কারই যথেষ্ট রেফারেন্স, আর কোনো জবাবদিহিতা লাগবে না? এই সরকার নির্বাচিত নয়, তাই তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই দেশ চালানোর। তারা যতই ‘সংস্কার’ এর কথা বলুক না কেন, বাস্তবতা হলো দেশ এখন আরও অসংস্কারিত, আরও বিশৃঙ্খল, আরও রক্তাক্ত। প্রতিদিন যানবাহনে আগুন, রাস্তায় ককটেল, প্রকাশ্যে গুলি করে খুন –
এই হলো তাদের ‘নতুন বাংলাদেশ’? আসলে যা হচ্ছে তা পরিষ্কার। একটা দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে রাখা হচ্ছে। কারণ যতদিন মানুষ ভয়ে থাকবে, যতদিন প্রতিদিন লাশের খবরে ব্যস্ত থাকবে, ততদিন প্রশ্ন করার সময় পাবে না – কোন অধিকারে এই সরকার ক্ষমতায় আছে? ভয় আর নিরাপত্তাহীনতা হলো অবৈধ শাসকদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ইউনূস সরকার সেই হাতিয়ারটাই ব্যবহার করছে পুরোমাত্রায়। বাংলাদেশকে লাশের দেশ বানানোর একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা চলছে বলেই মনে হয়। না হলে একটা সরকার এতটা নিষ্ক্রিয় থাকে কীভাবে? ১৪ মাসে ৪৫৬ খুন, আর সরকারের তরফ থেকে শুধু পরিসংখ্যান! কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেই, কোনো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই, কোনো স্পষ্ট নীতি নেই। আছে শুধু একটা অবৈধ,
অক্ষম, অযোগ্য সরকার, যারা বিদেশি প্রভুদের নির্দেশে চলে, জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থনে টিকে আছে, আর সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় ক্ষমতায় বসে আছে। যে দেশে নির্বাচিত সরকার না থাকে, সে দেশে আইনের শাসন থাকে না। যে দেশে আইনের শাসন থাকে না, সে দেশে মানুষের জীবনের দাম থাকে না। আর যে দেশে মানুষের জীবনের দাম নেই, সেই দেশ আর দেশ থাকে না – হয়ে যায় একটা খোলা জবাইখানা। ইউনূস আর তার দখলদার সরকার ঠিক সেই জবাইখানাটাই তৈরি করেছে বাংলাদেশে।



