
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আজারবাইজানের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে গ্যাস আনবে ইরান

আরও ২৯২ যুদ্ধবন্দি বিনিময় করল রাশিয়া-ইউক্রেন

রাশিয়ার নাকচ, যা বললেন ‘নাছোড়বান্দা’ জেলেনস্কি

ভয়ংকর ক্লাস্টার ক্ষেপণাস্ত্রে বিপর্যস্ত ইসরাইল, কিভাবে পেল ইয়েমেন?

ধেয়ে আসছে বছরের অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘কাজিকি’

ধেয়ে আসছে বছরের অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘কাজিকি’

আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতি ইরানে
এলিট শ্রেণির টাকায় যুদ্ধ চালাচ্ছে রাশিয়া

রাশিয়ার যুদ্ধ কেবল প্রেসিডেন্টের আদেশ বা সেনা অভিযানের মধ্যেই এখন সীমাবদ্ধ নয়। এর পেছনে রয়েছে অর্থ এবং ক্ষমতার অদৃশ্য হাত। মূলত এ যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে দেশের প্রভাবশালী ধনী ও শিল্পপতিদের অর্থায়নেই। যারা যুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে উপার্জন করছেন বিপুল মুনাফা। যুদ্ধের ক্ষতি সাধারণ মানুষের কাঁধে, অথচ লাভ যাচ্ছে উচ্চপদস্থদের ঝুলিতে। এপি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হওয়ার বড় বাধা হলো আর্থিক স্বার্থ। যা সামরিক শিল্প ও যুদ্ধকালীন অর্থনীতির পুনর্গঠন থেকেই গড়ে উঠেছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে মূলত দেশের অভিজাত ও শক্তিশালী শ্রেণির অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণেই। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ায় বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে। তারা বিদেশি সম্পদ, যেমন কারখানা, জমি বা কোম্পানি সস্তায় কিনছে।
পাশাপাশি নতুন শিল্প ও ব্যবসা খাতে বিনিয়োগ করছে। ইউরোপের বাজারে যে বিশৃঙ্খলা বা সরবরাহের ব্যাঘাত তৈরি হয়েছে, সেই সুযোগও ব্যবহার করে উচ্চ মুনাফা তুলেছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো পশ্চিমা দেশগুলোর অনিশ্চয়তা ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগে বিলম্ব। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর কঠোর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়া রাশিয়াকে সময় দিয়েছিল নতুন বাণিজ্যিক পথ তৈরি করতে। আজ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়ার রপ্তানি আয় ২০১৫ সালের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ যুদ্ধেও রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংস হয়নি, বরং অভিযোজিত হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ধীরগতিতে এসেছে। এদিকে এই যুদ্ধ বন্ধে বারবার হুংকার ছাড়লেও ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। যিনি ছয়টি যুদ্ধ শেষ করার দাবি
করেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন, তিনি এখনো তা কেন করতে পারছেন না?- এমন প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে। তবে এর পেছনে ক্রেমলিনের প্রভাব বিস্তারের মনোবৃত্তি আর সীমাহীন আকাঙ্ক্ষাকেই কারণ হিসাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই পুতিনের কৌশলগত লক্ষ্য ছিল শুধু ইউক্রেনীয় ভূমি দখল নয়, বরং রাশিয়াকে বৈশ্বিক শক্তি এবং ইউরোপে এক প্রভাবশালী আধিপত্য হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ বিষয়টা রাশিয়ার জন্য ততটাও সহজ নয়। তাই শেষ অবলম্বন হিসেবে সামরিক শক্তি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বাড়ানোর দিকেই ঝুঁকছে রাশিয়া।
পাশাপাশি নতুন শিল্প ও ব্যবসা খাতে বিনিয়োগ করছে। ইউরোপের বাজারে যে বিশৃঙ্খলা বা সরবরাহের ব্যাঘাত তৈরি হয়েছে, সেই সুযোগও ব্যবহার করে উচ্চ মুনাফা তুলেছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো পশ্চিমা দেশগুলোর অনিশ্চয়তা ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগে বিলম্ব। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর কঠোর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়া রাশিয়াকে সময় দিয়েছিল নতুন বাণিজ্যিক পথ তৈরি করতে। আজ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়ার রপ্তানি আয় ২০১৫ সালের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ যুদ্ধেও রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংস হয়নি, বরং অভিযোজিত হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ধীরগতিতে এসেছে। এদিকে এই যুদ্ধ বন্ধে বারবার হুংকার ছাড়লেও ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। যিনি ছয়টি যুদ্ধ শেষ করার দাবি
করেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন, তিনি এখনো তা কেন করতে পারছেন না?- এমন প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে। তবে এর পেছনে ক্রেমলিনের প্রভাব বিস্তারের মনোবৃত্তি আর সীমাহীন আকাঙ্ক্ষাকেই কারণ হিসাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই পুতিনের কৌশলগত লক্ষ্য ছিল শুধু ইউক্রেনীয় ভূমি দখল নয়, বরং রাশিয়াকে বৈশ্বিক শক্তি এবং ইউরোপে এক প্রভাবশালী আধিপত্য হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ বিষয়টা রাশিয়ার জন্য ততটাও সহজ নয়। তাই শেষ অবলম্বন হিসেবে সামরিক শক্তি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বাড়ানোর দিকেই ঝুঁকছে রাশিয়া।