নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান – ইউ এস বাংলা নিউজ




নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ জুলাই, ২০২৫ | ৯:৩৬ 24 ভিউ
১৯৮৭ সালে শেনজেনের একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্টে কয়েকটি টেলিফোন সুইচ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল হুয়াওয়ে। উদ্যোক্তা রেন ঝেংফেইর লক্ষ্য ছিল স্বনির্ভরতা। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকা পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি একসময় ইউরোপের টেলিকম বাজারেও আধিপত্য বিস্তার করে। এদিকে ২০১৯ সালে হুয়াওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫জি নেটওয়ার্ক সরবরাহকারীদের একটি হয়ে ওঠে। সে সময়ই প্রতিষ্ঠানটি স্মার্টফোনের বাজারেও উঠে আসে শীর্ষে। হাইসিলিকন নামে নিজেদের ডিজাইন করা চিপ দিয়ে তারা তৈরি করতে থাকে নিজস্ব ডিভাইস। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে কালো তালিকাভুক্ত করে। ফলে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে হুয়াওয়ের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে ২০২০ সালে। সে সময় তাইওয়ানের টিএসএমসির মতো চিপ নির্মাতারাও

তাদের কাছে চিপ বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এতে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন ব্যবসা বিপর্যস্ত হয়। ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তা পণ্যের আয় অর্ধেকে নেমে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। কিন্তু এখানেই গল্প শেষ হয়নি। একই সময় হুয়াওয়ে চালু করে ‘অ্যাসেন্ড ৯১০’ নামের এআই চিপ, যা এনভিডিয়ার বিকল্প হিসেবে চীনে দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা পায়। পরে আসে এর আরো উন্নত সংস্করণ—৯১০বি ও ৯১০সি। এগুলো ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে ‘ক্লাউডম্যাট্রিক্স ৩৮৪’ নামের বিশাল তথ্যপ্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা, যেটি ৩৮৪টি চিপ একত্রে ব্যবহার করে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এনভিডিয়ার অত্যাধুনিক জিবি২০০ এনভিএল৭২-এর চেয়েও কার্যকর। একই সঙ্গে হুয়াওয়ে তৈরি করেছে নিজস্ব ‘ক্যান’ সফটওয়্যার, যা এনভিডিয়ার কোডার বিকল্প। যদিও এখনো এ সফটওয়্যার

অন্য প্লাটফর্মের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। গুগলের জেমিনি বা ওপেনএআইয়ের জিপিটি-৪-এর মতো সাধারণ এআই নয়, হুয়াওয়ের লক্ষ্য নির্দিষ্ট খাতে বাস্তবভিত্তিক ব্যবহার। ২০২৩ সালেই তারা ‘পাংগু’ নামে একটি এআই মডেল চালু করেছে। এটি এরই মধ্যে শিল্প, চিকিৎসা, আর্থিক, সরকারি ও গাড়ি খাতে ব্যবহার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০টিরও বেশি খাতে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। এক প্রকল্পে হুয়াওয়ে টিম কয়লাখনিতে কয়েক মাস অবস্থান করে, যেখানে তারা চালু করেছে ৫জি ও এআইচালিত ১০০টির বেশি স্বয়ংক্রিয় ট্রাক। এদিকে নিজেদের ‘পাংগু’ মডেল ওপেন সোর্স করার ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে। এর মাধ্যমে অ্যাসেন্ড চিপভিত্তিক এআই ইকোসিস্টেমকে আরো বিস্তৃত করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। হুয়াওয়ের খনিজ ও জ্বালানি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা জ্যাক চেন জানিয়েছেন, এ

প্রযুক্তি শুধু চীন নয়, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায়ও বাস্তবায়নযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা কিংবা প্রতিযোগিতা কিছুই থামাতে পারেনি হুয়াওয়েকে। বরং আমেরিকার কড়াকড়িই যেন প্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের প্রযুক্তিতে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে বাধ্য করেছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষক পল ট্রিওলো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাই হুয়াওয়ের এআই খাতে নতুন করে ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।বিশ্বের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে এখন আর শুধু আমেরিকা আর ইউরোপ নেই। চীনের হুয়াওয়ে সে যাত্রায় নিজের জায়গা ঠিকই করে নিচ্ছে।’ —সিএনবিসি অবলম্বনে

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জুলাইয়ের ২৬ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ৯ ব্যাংকে শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যাংককে পাঁচজনকে গুলি করে হামলাকারীর আত্মহত্যা ওয়েবসাইটে জাল নথি তুলে ৬৭ কোটির কর ফাঁকি ভয়ের দেয়ালে আটকে গেছে শৈশব চলতি সপ্তাহে ‘নির্বাচনের তারিখ’ রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এনসিপিতে কোনো পদ নেই, তবুও পদত্যাগের ঘোষণা নিলা ইসরাফিলের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। ‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’ চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে কণ্ঠশিল্পী রাতুল আর নেই সারাদেশে ইসির ৭১ কর্মকর্তা বদলি ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা গ্রিসজুড়ে ভয়াবহ দাবানল