সীমান্তে পরিচয়পত্রহীন ৯৬ জনকে পুশইন – ইউ এস বাংলা নিউজ




সীমান্তে পরিচয়পত্রহীন ৯৬ জনকে পুশইন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ মে, ২০২৫ | ১০:৫৩ 7 ভিউ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা এবং পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ৬৬ জনকে ‘পুশইন’ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর থেকে তাদের পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত হয়ে ৩০ জনকে পুশইন করার তথ্য পাওয়া গেছে। যাদের পুশইন করা হয়েছে তাদের কাছে কোনো দেশের পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র নেই। বিজিবির সূত্র বলছে, তাদের নাগরিকত্ব ও পরিচয় বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া শেষে প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারত থেকে বাংলা ভাষাভাষী যাদের অবৈধভাবে পুশইন করা হয়েছে তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এরই মধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই ধরনের পুশইনের ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানানো

হয়েছে। বিএসএফের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়। যদি তারা ভারতীয় নাগরিক বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বিজিবির পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান বলেছেন, ভারত থেকে এভাবে পুশইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়। আমরা এরই মধ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন তিনি। নাগরিকদের পুশইন করার বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিটি কেস আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের

নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের আমরা গ্রহণ করব। তবে এটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় হতে হবে। এভাবে পুশইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমরা এটা নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরে মাটিরাঙা উপজেলার ৪০ বিজিবি জোনের আওতাধীন শান্তিপুর বিওপির আওতাধীন দক্ষিণ শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ৩ পরিবারের ২৭ জন, পানছড়ি উপজেলার রূপসেনপাড়া বিওপি এলাকা দিয়ে ২৪, বিটিলা বিওপি এলাকা দিয়ে ৬ এবং মাটিরাঙার তাইন্দং দিয়ে আরও ৯ জনসহ ৬৬ জনকে ভারত থেকে পুশইন করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও

বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। সীমান্তের একটি সূত্র বলছে, পুশইন অনেককে প্রথমে গুজরাট থেকে ফ্লাইটে সীমান্তে নিয়ে আসা হয়। এরপর বিএসএফ ওপার থেকে এপারে পুশইন করে। আরও অনেককে পুশইন করতে গুজরাট ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে আসা হয়। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, মাটিরাঙা ও পানছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে পুশইন করা ব্যক্তিরা বিজিবির অধীনে রয়েছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। এদিকে ভারত থেকে কুড়িগ্রামে অনুপ্রবেশ করা ৩৫ রোহিঙ্গাসহ ৪৪ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল সকালে জেলার রৌমারী থেকে ২১ রোহিঙ্গা ও ৯ বাংলাদেশি এবং ভূরুঙ্গামারী থেকে ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। তাদের

মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছে। গতকাল ভোরে রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভাওয়ারকুরি সীমান্তে দিয়ে তাদের ফেরত পাঠায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ঘোরাঘুরির সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান জানান, ভোররাতে রৌমারী বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ৩০ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এদের মধ্যে ২২ জন রোহিঙ্গা। আটককৃতদের পরিচয় যাছাই করছে বিজিবি। কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হক জানান, ভূরুঙ্গামারীর ভাওয়ালকুরি সীমান্ত এলাকায় ৮ নারী শিশুসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা। চার বাংলাদেশি আটক ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তে ভারতের

অভ্যন্তরে ৪ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিএসএফ। ভোরে সীমান্ত পিলার ৩৭৪/১-এস থেকে প্রায় ২০০ গজ ভারতের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন– রানীশংকৈল উপজেলার ঢোলপুকুর জগদল গ্রামের মৃত বশির উদ্দীনের ছেলে মো. আলম (৪৫), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বেলপুকুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে মো. মিস্টার (৩০), মোড়লহাট জিয়াবাড়ী এলাকার আব্দুল হকের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩০) এবং একই এলাকার আনসারুল ইসলামের ছেলে শামীম (২৩)। ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহমেদ বলেন, মাদকদ্রব্যসহ ৪ বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ। তাদের ফিরিয়ে আনতে এ বিষয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছি। পতাকা বৈঠকের পর বিস্তারিত জানা যাবে। সীমান্তবর্তী জেলায় পুলিশ সতর্ক বাংলাদেশের সঙ্গে

ভারতের ৩২টি এবং মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি সীমান্ত জেলা রয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি ড. বাহারুল আলম। গতকাল রাতে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ বলেন, কোনো দু্র্বৃত্ত যাতে সীমান্তের ওপার থেকে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। সীমান্তবর্তী যেসব থানা রয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পুতিন কি ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পকে নিয়ে খেলছেন? বেনজীরের মেয়ে তাহসিনের দুবাইয়ের ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ চট্টগ্রামে হচ্ছে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল, এটি দেশের অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’ দ্রুত নির্বাচন দিলে দেশ রক্ষা পাবে: দুদু কী অভিমানে বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গেল: এএসপি পলাশের মায়ের আহাজারি মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামানো যাবে কিভাবে, জানালেন গভর্নর ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির উপায় খুঁজছে ইউক্রেন ও মিত্ররা থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৫ জনের ঈদে সংবাদপত্রে ৪ দিন ছুটি ও অনলাইনকর্মীদের আর্থিক প্রণোদনা দাবি কাশ্মীরের উরি সীমান্তে উত্তেজনা: নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানীয়রা লাহোরের মার্কিন কনস্যুলেট কর্মীদের ‘নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের’ নির্দেশ আজ সকালেও লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ, ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত: আল-জাজিরা বেড়েছে বিমানের জ্বালানি ব্যয়, লাগছে বাড়তি সময় ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সর্বাত্মক যুদ্ধ ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চিতি ঘাটতি বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন সীমান্তে পরিচয়পত্রহীন ৯৬ জনকে পুশইন সচিবালয় সংযুক্ত পরিষদের আজ প্রতিবাদ সভা ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত খুবই ভয়াবহ, তারা থামুক: ট্রাম্প প্রতিবেশী দেশগুলোয় বড় প্রভাবের শঙ্কা