হিন্দু বোর্ডে মুসলিম নেই, ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দু কেন? – ইউ এস বাংলা নিউজ




হিন্দু বোর্ডে মুসলিম নেই, ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দু কেন?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:০৩ 9 ভিউ
ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কঠিন কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিরুদ্ধে ৭৩টি পিটিশনের শুনানি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ ‘ওয়াক্ফ বাই ইউজার’ ও কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্য নিয়োগের বিষয়ে সরকারের জবাব চেয়েছেন। আদালতে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, ‘হিন্দু দেবোত্তর বোর্ডের সদস্য হিসেবে কোনো মুসলিমকে সদস্য হতে দেবে সরকার? খোলাখুলি বলুন। যদি না দেয়, তবে ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দু কেন?’ তিনি আরও বলেন, এই আইন নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে

দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় বা দানের কাজে ব্যবহৃত সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে গণ্য হয়। এসব সম্পত্তির কাগজপত্র না থাকলেও ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ আইনে মুসলমানদের বলে গণ্য হয়। তবে নতুন আইনে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ বা সরকারি জমি অর্থাৎ কাগজপত্র আছে এমন জমিতে এটি প্রযোজ্য হবে না। পিটিশন আবেদনকারীদের পক্ষে কপিল সিবাল নামে এক আইনজীবী বলেন, ওয়াকফ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কয়েক হাজার বছর আগে ওয়াকফ তৈরি হলেও এখন কাগজপত্র চাওয়া হচ্ছে। এটি বড় সমস্যা ও সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে। তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াকফ বোর্ডে জেলা প্রশাসককে রাখা হয়েছে। তিনি সরকারের অংশ। তিনি ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা অসাংবিধানিক হবে।’ পিটিশন আবেদনকারীদের

আরেক আইনজীবী অভিষেক সিংভি জানান, ভারতের আট লাখ ওয়াকফ সম্পত্তির মধ্যে চার লাখই ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’। এটা অনেক পুরনো ও এসব সম্পত্তির ক্ষেত্রে কারও কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। নতুন আইনে এসব সম্পত্তির বৈধ কাগজ চাওয়া হবে। আর কেউ কাগজ দিতে না পারলে তাতে রাষ্ট্রের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, দিল্লি হাইকোর্টও ওয়াকফ জমির ওপর তৈরি। অর্থাৎ সব ওয়াকফ বাই ইউজার বা ব্যবহারভিত্তিক ওয়াকফ ভুল নয়। এই জমি ওয়াকফ সম্পত্তির অংশ, এই জমির কোনো কাগজপত্র নেই। যেহেতু আদালত এই জমি ব্যবহার করছে, সেহেতু আদালত এই জমির মালিক।’ ১৩, ১৪ বা ১৫ শতাব্দীতে তৈরি মসজিদের কাগজপত্র পাওয়া অসম্ভব

বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ আরএসএস প্রচারকরা বিয়ে করেন না, সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও ‘ফিক্সিং হলে ক্রিকেটার তৈরি হবে না’ – উদ্বেগ বিসিবি সভাপতির আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রলোভনে পড়ে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ, ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্রে প্রাণ গেল বাংলাদেশির ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান নাহিদকে নিয়ে জিম্বাবুয়ের খোঁচা, জবাবে যা বললেন শান্ত ‘দাগি’ শুধু একটি সিনেমাই নয়, একটি অভিজ্ঞতা: মেহজাবীন হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট বলছে, চীন থেকে ছড়িয়েছে কোভিড শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গ্রেফতার কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ‘প্রচারকরা’ কেন বিয়ে করতে পারেন না? আজকের খেলা: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ আফগানিস্তানে পরিত্যক্ত মার্কিন অস্ত্র এখন জঙ্গিদের হাতে গাজার যুদ্ধাহত শিশুর ছবি বিশ্বসেরা জোট সরকারে থাকছেন না বিলাওয়াল আসাদকে সিরিয়ায় প্রত্যার্পণে রাশিয়ার অস্বীকৃতি টানা ৫ দিন বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস