পটুয়াখালী হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন – ইউ এস বাংলা নিউজ




পটুয়াখালী হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:১৫ 34 ভিউ
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি রাজনৈতিক সহিংসতাজনিত হত্যা মামলায় ২৩ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এনামুল করিম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবুল কাশেমের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২৭), আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে তোফায়েল সরদার (৩৯), জালাল সরদারের ছেলে মো. শামীম সরদার (৩৫), সেকান্দার সরদারের ছেলে এলমাছ সরদার (৩৪), গেদু সরদারের ছেলে মো. সোহরাব সরদার (৪৭), আব্দুর কাদের মল্লিকের ছেলে মো. নাঈম মল্লিক (৫৭), আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৪২), জয়নাল সরদারের ছেলে মুসা সরদার (৩২) ও সামসু

সরদার (৩৪), চারু সরদারের ছেলে মাওলা সরদার (৩৯) ও ইউসুফ সরদার (৩৭), সামসুল হকের ছেলে ফরিদ আহম্মেদ (৬১), আ. খালেকের ছেলে জসিম সরদার (৪১), ছোবহান হাওলাদারের ছেলে বাবলু (৪৫)। বাকিরা হলেন- মো. কাদের তালুকদারের ছেলে মো. ডালিম তালুকদার (৩১), মৃত হাসেম আলী সিকদারের ছেলে মো. ফিরোজ সিকদার (৪৩), হারুন গাজীর ছেলে হাসান গাজী (৩২), মৃত গেদু সরদারের ছেলে সেকান্দার সরদার (৫৭), মাতাহার মাস্টারের ছেলে মো. জামাল (৩৫), চুন্নু মিয়ার ছেলে শামীম হাওলাদার (২৮), আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুল (৫২), ছত্তার সরদারের ছেলে মন্টু সরদার (৩৫) এবং শিরু সরদারের ছেলে মো. দুলাল সরদার ওরফে ভয় (৪৫)। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই বাউফল উপজেলার

কালিশুরী ইউনিয়নের বাসিন্দা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিকের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। ওই হামলায় সোহেলের বাবা আব্দুল ওহাব মল্লিক গুরুতর আহত হন। পরদিন ২১ মার্চ তিনি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিক বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালে মামলার চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সাত বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করলেন। মামলার বাদী সাইদুর রহমান সোহেল বলেন, আমার বাবা হত্যার দীর্ঘদিন পর আমরা

ন্যায়বিচার পেলাম। বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। এখন আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মো. ফরিদ হোসেন বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, কোনো অপরাধীই আইনের হাত থেকে রেহাই পায় না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি। তবে আসামিদের পরিবার এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেন, এই রায় একপেশে ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। প্রকৃত অপরাধীরা আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
২২ বছরের সংসার ভাঙল জনপ্রিয় অভিনেত্রীর এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল বাংলাদেশিদের জন্য মিসরের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা নেই যে কারণে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ৮ কর্মকর্তা নিবন্ধন আবেদন: সব দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে ‘ফেল’ ৫৫৬ কোটি ব্যয়ে এক কার্গো এলএনজি কিনছে সরকার সিরিয়া ও লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু সুদানে আরএসএফ-র হামলায় নিহত ৩০০ বিটকয়েনের ইতিহাসে রেকর্ড দাম যুদ্ধবিরতিতে আস্থা নেই, নতুন করে প্রস্তুত ইরান সরকার মাতারবাড়ীতে পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স করবে দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৩ জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ ‘খেলা ছাড়ার সময় এখনো আসেনি’ ক্লাব বিশ্বকাপকে কি সফল বলা যায়? সৌদিতে বিদেশিদের জন্য নতুন নির্দেশনা মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৫ চরমপন্থিদের হাতে খুন, জেলে বসে পরিকল্পনা!