ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা
ইউনূস সরকারের আমলে বাড়ছে অপরাধ, বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতাঃ অক্টোবরে ৫% বৃদ্ধি
১০ই নভেম্বর, শহিদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
ইউনুস সরকারের মুখপাত্রের মন্তব্যে ক্ষোভ — ক্ষমা চাইতে বললেন প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া
সরকারি সফরে পাকিস্তান গিয়ে অতিরিক্ত দিন অবস্থান, আলোচনায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র।
‘আসতেছি আমি… বিচার করব’! বললেন শেখ হাসিনা, এক ঘণ্টা ধরে শুনলেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের কথা
বাংলাদেশে ফিরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগের বিচার করবেন তিনি। সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাসই দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনার একটি পর্যায়ে তিনি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।”
গত বছরের অগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমাজমাধ্যমের পাতায় তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়। সোমবার রাতেও সে রকম একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সমাজমাধ্যমের পাতায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা
শোনেন আওয়ামী লীগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।” ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগের সরকারের আমলের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টানেন হাসিনা। নিজের বক্তৃতার একটি বড় অংশ জুড়ে আক্রমণ শানান সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে। আওয়ামী লীগের নেত্রীর দাবি, “আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে
এমন ব্যবহার করিনি। কিন্তু ইউনূস (করছে) ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য।” ইউনূসকে ‘সুদখোর’ এবং ‘মানবতাবিরোধী’ বলেও আক্রমণ শানান তিনি। গোটা বক্তৃতায় বার বার আসে ‘বিচারে’র কথা। হাসিনা বলেন, “যাঁরা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাঁদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। সেটি আমরা করবই। শহিদ পরিবারদের বলব, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন।” বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’-এর মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান-সহ অন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। বস্তুত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ দৃশ্যত কোণঠাসা। এ দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস জানিয়েছিলেন,
চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও এই ধরনের ঝটিকা মিছিল ঘটেছে। বাংলাদেশে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলছে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ওই ঝটিকা মিছিলটি হয়েছিল ঢাকায়।
শোনেন আওয়ামী লীগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।” ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগের সরকারের আমলের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টানেন হাসিনা। নিজের বক্তৃতার একটি বড় অংশ জুড়ে আক্রমণ শানান সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে। আওয়ামী লীগের নেত্রীর দাবি, “আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে
এমন ব্যবহার করিনি। কিন্তু ইউনূস (করছে) ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য।” ইউনূসকে ‘সুদখোর’ এবং ‘মানবতাবিরোধী’ বলেও আক্রমণ শানান তিনি। গোটা বক্তৃতায় বার বার আসে ‘বিচারে’র কথা। হাসিনা বলেন, “যাঁরা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাঁদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। সেটি আমরা করবই। শহিদ পরিবারদের বলব, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন।” বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’-এর মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান-সহ অন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। বস্তুত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ দৃশ্যত কোণঠাসা। এ দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস জানিয়েছিলেন,
চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও এই ধরনের ঝটিকা মিছিল ঘটেছে। বাংলাদেশে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলছে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ওই ঝটিকা মিছিলটি হয়েছিল ঢাকায়।



