
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ইন্টারনেটের ব্যবহার কম উৎপাদনশীল খাতে

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল

বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু হলে কত খরচ পড়বে

ইনস্টাগ্রামে লাইভস্ট্রিমিং নিষিদ্ধ হচ্ছে ১৬ বছরের নিচে, লাগবে পিতামাতার অনুমতি

এআই সফটওয়্যার ‘লামা ৪’ – এর দুটি নতুন মডেল উন্মোচন করল মেটা

প্রতি ঘণ্টায় ১০ লাখ ব্যবহারকারীর রেকর্ডে পৌঁছেছে ওপেনএআই

মোবাইল কোম্পানিগুলো নেটওয়ার্ক মনিটরিংয়ের নিয়ন্ত্রণ ফেরত পাচ্ছে
মাস্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই

‘ওপেনএআই বিক্রির জন্য নয়’ বলে ইলন মাস্ককে সাফ জানিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড)। গত ১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই-কে কিনে নিতে ৯৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রস্তাব করে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ীদের এক কনসোর্টিয়াম। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এই প্রস্তাবকে সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ করে দিয়েছে ওপেনএআই’র নন-প্রফিট (অ-লাভজনক) বোর্ড।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করেই মাস্কের প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরিয়ে দেয় ওপেনএআই। উক্ত পোস্টে ওপেনএআই তাঁদের বোর্ড চেয়ারম্যান ব্রেট টেলরকে উদ্ধৃত করে জানায় যে, মাস্কের প্রস্তাবকে তাঁরা ফিরিয়ে দিচ্ছে। মাস্কের এমন উদ্যোগকে প্রতিযোগিতা ব্যহত করার কৌশল হিসেবেই দেখছে স্যাম অল্টম্যানের প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে আবারও মাস্কের তরফ থেকে
এমন কোনো প্রস্তাব এলে বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত পোস্টে ওপেনএআই এও দাবি করে যে, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সম্ভাব্য যেকোনো পুনর্গঠন প্রক্রিয়া তাঁদের অ-লাভজনক অংশকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি এজিআই বা আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্সের সুবিধা সকলের কাছে পৌঁছানোর যে ব্রত নিয়ে তাঁরা যাত্রা শুরু করেছে তার বাস্তবায়নেই ভূমিকা রাখবে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত পরিবর্তন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, ওপেনএআই’কে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর হওয়া ঠেকাতে ইলন মাস্কের অব্যাহত প্রচেষ্টারই অংশ এবারের এই অধিগ্রহণের প্রস্তাব। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নন-প্রফিট (অ-লাভজনক) প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করা ওপেনএআই সাম্প্রতিক সময়ে বড় অংকের বিনিয়োগ উত্তোলনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের অ-লাভজনক অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনতে
চাচ্ছে। গত ডিসেম্বরেই ওপেনএআই তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে পরিবর্তন নিয়ে আসার মাধ্যমে একটি পাবলিক বেনিফিট কর্পোরেশন তৈরির পরিকল্পনার কথা জানায়। ইলন মাস্ক অবশ্য শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন। শুক্রবার ওপেনএআই’র বোর্ড মাস্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর এক বিবৃতিতে তাঁর আইনজীবী মার্ক টোবেরফ বলেন যে, ওপেনএআই তাঁদের লাভজনক (ফর-প্রফিট) অংশের নিয়ন্ত্রণ বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে রেখেছে। এর মাধ্যমে তাঁদের অ-লাভজনক (নন-প্রফিট) চ্যারিটি অংশের পরিবর্তে লাভবান হচ্ছে কতিপয় বোর্ড সদস্য। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠার সময় সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন ইলন মাস্কও, যেমনটা ছিলেন বর্তমান সিইও স্যাম অল্টম্যান। তবে ২০১৯ সালে ওপেনএআই ছেড়ে চলে যান মাস্ক। এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানের একটি অংশকে লাভজনক কাঠামোয় গড়ে
তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। উন্নত এআই গবেষণার জন্য মোটা অংকের বিনিয়োগ উত্তোলন-ই এর মূল কারণ। ইলন মাস্ক অবশ্য অভিযোগ করেন যে, অল্টম্যানের নেতৃত্বে ওপেনএআই তাঁদের মূল লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে, কারণ তাঁরা সাধারণ ব্যবহারকারীদের বৃহত্তর স্বার্থের চেয়ে মুনাফাকে বড় করে দেখছে। শুধু মুখে মুখে অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি তিনি। এই অভিযোগে মাস্ক গত আগস্টে ওপেনএআই, স্যাম অল্টম্যান এবং ওপেনএআই’তে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। মাস্কের একটাই লক্ষ্য, ওপেনএআই যাতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত না হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ওপেনএআই’র লাভজনক হওয়া নিয়ে মাস্ক এত চিন্তিত কেন। প্রযুক্তি জগতের অনেকেরই ধারণা মাস্ক আসলে চান না অধিক বিনিয়োগ পেয়ে ওপেনএআই তাঁদের এআই
গবেষণা কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করুক, আরও এগিয়ে যাক। কেননা মাস্ক তাঁর নিজের এআই স্টার্টআপ এক্সএআই নিয়ে যথেষ্ট উচ্চাভিলাষী। নিজের এআই উচ্চাভিলাষের পথে ওপেনএআই-কে তিনি বাধা হিসেবেই দেখছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। তথ্যসূত্র: রয়টার্স
এমন কোনো প্রস্তাব এলে বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত পোস্টে ওপেনএআই এও দাবি করে যে, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সম্ভাব্য যেকোনো পুনর্গঠন প্রক্রিয়া তাঁদের অ-লাভজনক অংশকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি এজিআই বা আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্সের সুবিধা সকলের কাছে পৌঁছানোর যে ব্রত নিয়ে তাঁরা যাত্রা শুরু করেছে তার বাস্তবায়নেই ভূমিকা রাখবে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত পরিবর্তন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, ওপেনএআই’কে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর হওয়া ঠেকাতে ইলন মাস্কের অব্যাহত প্রচেষ্টারই অংশ এবারের এই অধিগ্রহণের প্রস্তাব। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নন-প্রফিট (অ-লাভজনক) প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করা ওপেনএআই সাম্প্রতিক সময়ে বড় অংকের বিনিয়োগ উত্তোলনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের অ-লাভজনক অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনতে
চাচ্ছে। গত ডিসেম্বরেই ওপেনএআই তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে পরিবর্তন নিয়ে আসার মাধ্যমে একটি পাবলিক বেনিফিট কর্পোরেশন তৈরির পরিকল্পনার কথা জানায়। ইলন মাস্ক অবশ্য শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন। শুক্রবার ওপেনএআই’র বোর্ড মাস্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর এক বিবৃতিতে তাঁর আইনজীবী মার্ক টোবেরফ বলেন যে, ওপেনএআই তাঁদের লাভজনক (ফর-প্রফিট) অংশের নিয়ন্ত্রণ বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে রেখেছে। এর মাধ্যমে তাঁদের অ-লাভজনক (নন-প্রফিট) চ্যারিটি অংশের পরিবর্তে লাভবান হচ্ছে কতিপয় বোর্ড সদস্য। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠার সময় সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন ইলন মাস্কও, যেমনটা ছিলেন বর্তমান সিইও স্যাম অল্টম্যান। তবে ২০১৯ সালে ওপেনএআই ছেড়ে চলে যান মাস্ক। এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানের একটি অংশকে লাভজনক কাঠামোয় গড়ে
তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। উন্নত এআই গবেষণার জন্য মোটা অংকের বিনিয়োগ উত্তোলন-ই এর মূল কারণ। ইলন মাস্ক অবশ্য অভিযোগ করেন যে, অল্টম্যানের নেতৃত্বে ওপেনএআই তাঁদের মূল লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে, কারণ তাঁরা সাধারণ ব্যবহারকারীদের বৃহত্তর স্বার্থের চেয়ে মুনাফাকে বড় করে দেখছে। শুধু মুখে মুখে অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি তিনি। এই অভিযোগে মাস্ক গত আগস্টে ওপেনএআই, স্যাম অল্টম্যান এবং ওপেনএআই’তে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। মাস্কের একটাই লক্ষ্য, ওপেনএআই যাতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত না হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ওপেনএআই’র লাভজনক হওয়া নিয়ে মাস্ক এত চিন্তিত কেন। প্রযুক্তি জগতের অনেকেরই ধারণা মাস্ক আসলে চান না অধিক বিনিয়োগ পেয়ে ওপেনএআই তাঁদের এআই
গবেষণা কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করুক, আরও এগিয়ে যাক। কেননা মাস্ক তাঁর নিজের এআই স্টার্টআপ এক্সএআই নিয়ে যথেষ্ট উচ্চাভিলাষী। নিজের এআই উচ্চাভিলাষের পথে ওপেনএআই-কে তিনি বাধা হিসেবেই দেখছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। তথ্যসূত্র: রয়টার্স