সামরিক শিল্প গঠনের নতুন পথে বাংলাদেশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




সামরিক শিল্প গঠনের নতুন পথে বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩৭ 5 ভিউ
নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় সমরাস্ত্র উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (BOF)। সেনাবাহিনীকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতা আনতে ট্যাংকসহ আধুনিক সমরাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বর্তমানে দেশের একমাত্র সমরাস্ত্র কারখানা বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (BOF), যা গাজীপুরে অবস্থিত। এর নিকটেই রয়েছে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস। যুদ্ধকালীন সময়ে গোলাবারুদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে BOF গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র বুলেট ও কিছু সামরিক যন্ত্রাংশ উৎপাদনে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রতিরক্ষা খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ট্যাংক উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ

সামরিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। কারণ, পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি দেশই নিজস্ব প্রযুক্তিতে ট্যাংক তৈরি করতে সক্ষম। বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রায় ৩৫০টি ট্যাংক পরিচালনা করছে। তবে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ (Maintenance & Overhaul) সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে দেশেই ট্যাংক তৈরি করার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের একার পক্ষে ট্যাংক উৎপাদন সম্ভব নয়, তাই ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। দুইটি সম্ভাব্য পদ্ধতিতে ট্যাংক উৎপাদন করা হতে পারে— ১. বিদেশি প্রযুক্তি গ্রহণ: কোনো নির্দিষ্ট দেশের লাইসেন্স ও প্রযুক্তি নিয়ে ট্যাংক তৈরি করা হতে পারে।মসম্ভাব্য প্রযুক্তি সরবরাহকারী দেশ হতে পারে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া বা চীন। ২. দেশীয়ভাবে উন্নত মানের ট্যাংক উৎপাদন: বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করে নিজস্ব ডিজাইনে ট্যাংক তৈরি

করা হবে। এতে ইতালি ও ফ্রান্সের উন্নত সামরিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করার সুযোগ থাকবে, যা তুরস্কের সামরিক শিল্পেও ব্যবহৃত হয়েছে। সেনাবাহিনীর লক্ষ্য দেশীয় চাহিদার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ সমরাস্ত্র নিজেরাই তৈরি করা। বর্তমানে একটি মাত্র কারখানায় এত বড় পরিসরে সমরাস্ত্র উৎপাদন সম্ভব নয়, তাই বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে আরও উন্নত হবে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থা ও প্রতিরক্ষা চাহিদা বিবেচনায় এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী ট্যাংক উৎপাদনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো দেয়নি। তবে সামরিক শিল্পের সম্প্রসারণ পরিকল্পনার আওতায় ভবিষ্যতে আরও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তৈরির বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এই উদ্যোগ সফল হলে বাংলাদেশের

প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির সুযোগও তৈরি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জেনিফার অ্যানিস্টনের ফিটনেস ঠিক রাখার গোপন রহস্য! বাংলাদেশি ২০টি মরদেহ ভেসে এলো আফ্রিকার উপকূলে! সামরিক শিল্প গঠনের নতুন পথে বাংলাদেশ ঘোড়ার গাড়িতে বর সাজিয়ে সংবর্ধনা, মীরসরাইয়ে স্কুল পিয়নের রাজকীয় বিদায় সংস্কার যতবেশি দীর্ঘায়িত হবে, দেশ ততবেশি সংকটে পড়বে: তারেক রহমান টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ, বহু মুসল্লি আহত ‘ফুলকপি’ প্রতীকে নতুন দল নজিরবিহীন সম্পর্কের পথে বাংলাদেশ-পাকিস্তান! নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় গড়িমসি করা স্বাভাবিক বিষয় নয়: রিজভী আওয়ামীলীগের দাপট চলছেই; এবার পুলিশের কাছ থেকে নেতাকে ছিনতাই! ভারত-আওয়ামীলীগের বাসর চলছে, ওখানে আপনারা ঢুকবেন না: পিনাকি আমিশার ফোন নম্বর কী নামে সেভ করেছেন হৃতিক? শ্রদ্ধা কাপূর থেকে সুহানা খান: এই সপ্তাহের হটেস্ট মেকআপ ট্রেন্ডস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সামরিক প্রস্তুতির পরিকল্পনা ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ইরানের নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন, উদ্বেগে পশ্চিমারা হানিয়া আমিরের সৌন্দর্যের রহস্য জানা গেল ধনকুবেরের ক্ষমতার দাপট ও ক্ষুধিত চোখ বিপিএলে টাকা না পেয়ে হোটেলে আটকা পড়েছেন বিদেশিরা সাবেক দুই এমপিসহ ৬ জনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ‘ঐশ্বরিক সাহায্যেই যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল পরাজিত হয়েছে’