আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ – ইউ এস বাংলা নিউজ




আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৫৩ 85 ভিউ
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পরোয়ানার বেশির ভাগ আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ পর্যন্ত ১০৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতারে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানাতে বলেন আদালত। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। পাশাপাশি অসহযোগিতার বিষয়টি প্রসিকিউশনকে আবেদন আকারে দিতে বলেন। এছাড়া এদিন তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ও এসি তানজিল আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে ইমাম হাসান তাইম হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের দিন ধার্য ছিল। তবে প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়ায় প্রসিকিউশনের পক্ষে দুই মাসের সময়ের আবেদন করা হয়। এ মামলার অন্যতম আসামি পুলিশের ওয়ারী জোনের তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার তানজিল আহমেদ ও যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান তাইম হত্যাকাণ্ডের ওয়ারেন্টভুক্ত চার আসামি গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে প্রসিকিউশনের কাছে জানতে চান। এ সময় প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ জানান, এ মামলায় ৬ আসামির মধ্যে দুজন গ্রেফতার হয়েছেন। তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এজন্য সময়ের আরজি জানান তিনি। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদনের অগ্রগতি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন এবং

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে সুলতান মাহমুদ বলেন, এ মামলার ভিকটিম ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আমাদের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, পরোয়ানা জারির পর আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার কাছে তিনি গিয়ে সহযোগিতা পাননি। এ বক্তব্য শুনে ট্রাইব্যুনালসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বলেন। ট্রাইব্যুনাল এ সময় দুই মাস সময় দিয়ে বলেন, যদি এ সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামি গ্রেফতার না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। কোনো সমস্যা থাকলে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করতে হবে। প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘একজন আসামিকে (পুলিশের কর্মকর্তা) গ্রেফতার করতে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো

সহযোগিতা করেননি। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামিকে কে ধরবে? তাহলে কিভাবে বিচার হবে? যারা কাজ করবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ট্রাইব্যুনালকে আবেদন আকারে জানান। সরকারকে জানান। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, কী তদন্ত হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারকে বলেন, ব্যবস্থা নিতে। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ১০৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এর মধ্যে কতজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে? এ সময় প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ৩৫ জন। এরপর এ বিচারপতি বলেন, এত বড় একটি ঘটনা। প্রায় ২ হাজার মানুষ মারা গেছে। সেখানে মাত্র ৩৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। শুনানি নিয়ে ট্রাইব্যুনাল কী

কারণে আসামি গ্রেফতার হচ্ছে না, তার কারণ উলে­খ করে প্রসিকিউশনকে একটি আবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উপদেষ্টা মাহফুজের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ: অস্ট্রেলিয়ায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন তদন্তাধীন! জুলাইয়ের ২৬ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ৯ ব্যাংকে শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যাংককে পাঁচজনকে গুলি করে হামলাকারীর আত্মহত্যা ওয়েবসাইটে জাল নথি তুলে ৬৭ কোটির কর ফাঁকি ভয়ের দেয়ালে আটকে গেছে শৈশব চলতি সপ্তাহে ‘নির্বাচনের তারিখ’ রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এনসিপিতে কোনো পদ নেই, তবুও পদত্যাগের ঘোষণা নিলা ইসরাফিলের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। ‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’ চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে কণ্ঠশিল্পী রাতুল আর নেই সারাদেশে ইসির ৭১ কর্মকর্তা বদলি ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা