রাজনৈতিক কনটেন্টের বিষয়ে মেটার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি – ইউ এস বাংলা নিউজ




রাজনৈতিক কনটেন্টের বিষয়ে মেটার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:০২ 84 ভিউ
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি একটি বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলির রাজনৈতিক কনটেন্ট প্রকাশ এবং ফ্যাক্টচেকিং প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। মেটা এখন থেকে রাজনৈতিক বিষয়গুলিতে আরও বেশি স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুযোগ প্রদান করবে, যা বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বিতর্ক উত্থাপন করতে পারে। জাকারবার্গ ঘোষণা দিয়েছেন যে, মেটা এখন থেকে ফ্যাক্টচেকারদের পরিবর্তে কমিউনিটি নোট ব্যবহার করবে। এই পদক্ষেপটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডে রাজনৈতিক কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি নোটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা রাজনৈতিক কনটেন্টে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবেন, এবং এটি এক্স (সাবেক টুইটার) এর একটি পরিচিত ফিচার। এটি মেটার জন্য

একটি বড় পরিবর্তন, কারণ পূর্বে ফ্যাক্টচেকিং প্রক্রিয়ায় তৃতীয় পক্ষের সংগঠনগুলো কর্তৃত্ব রাখত। জাকারবার্গ মেটার ফ্যাক্টচেকারদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, ফ্যাক্টচেকিং পদ্ধতি রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ছিল এবং এর ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে আস্থা নষ্ট হয়েছে। এজন্য তিনি মেটার প্রশাসনিক কর্মীদের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে টেক্সাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেখানে রাজনৈতিক পক্ষপাত নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা কম বলে তিনি মনে করেন। মেটার নতুন নীতির মাধ্যমে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। যেখানে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল কমানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক কনটেন্টের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে, যা ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হতে পারে। জাকারবার্গ জানিয়েছে, মেটা এখন থেকে অভিবাসন, লিঙ্গের মত বিষয়গুলিতে বিধিনিষেধ কমাবে এবং সরকারের চাপ মোকাবেলায় আরও সক্রিয়

ভূমিকা পালন করবে। এমন পরিবর্তনগুলো বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের রাজনৈতিক আলোচনা এবং মতামত প্রকাশের মুক্ততা বাড়াবে, তবে এর সঙ্গেই কিছু খারাপ কনটেন্টের উত্থানও হতে পারে। মেটা অবশ্য নিশ্চিত করেছে যে, তারা দায়িত্বশীলভাবে কনটেন্টের পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে, বিশেষত মাদক, সন্ত্রাস এবং শিশু নির্যাতনের মতো বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নীতিতে পরিবর্তন এনে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মোড় দিতে পারে। তবে, এই পরিবর্তনের ফলে কি ধরনের সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে, তা পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ভোট নিয়ে ধোঁয়াশা কেটেছে নতুন মেরুকরণের আভাস ঢাকার আকাশ মেঘলা থাকবে বিয়ের ঋণেও গলার কাঁটা উচ্চসুদ টেক্সাসের বন্যা এলাকা পরিদর্শনে ট্রাম্প, সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমের পক্ষে সাফাই বর্ষাকালে অসুখ থেকে সুস্থ থাকার উপায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে: প্রণয় ভার্মা মমতাকে কাশ্মীরে যাওয়ার আমন্ত্রণ ওমরের মোদির ‘হিন্দি রাজনীতি’তে ক্ষুব্ধ মারাঠিরা নাসা ছাড়ছেন ২ হাজারের বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ‘আপনি কি দিনশেষে এটাই ভাবেন’ তিনবার এগিয়েও ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের ওয়েব ব্রাউজার আনছে ওপেনএআই, চ্যালেঞ্জের মুখে গুগল ক্রোম ইরানে ‘জোরালো হামলার’ হুমকি ইসরায়েলের প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে ইতালির ইতিহাস পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যা : অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪ পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যায় ছাত্রদল সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত