![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/ezgif-7ee3493576124f-67a6dd4a6154a.jpg)
সংলাপে বসতে নতুন প্রস্তাব সরকারের, পিটিআইয়ের অবস্থান অনিশ্চিত
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/market-67a6d3415ec41.jpg)
মার্কেট-কাঁচাবাজারে সন্ত্রাসীদের থাবা
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/1-2-67a6e2d966b29.jpg)
ছাত্রদের ওপর মোজাম্মেল বাহিনীর হামলা, গাজীপুরে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/Sohel-Taj-D32-67a6c1936f4c4.jpg)
ধানমন্ডি ৩২ এ ভাঙচুর নিয়ে যা বললেন সোহেল তাজ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/11-67a66cc36f730.jpg)
৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার দায় সরকার এড়াতে পারে না
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/rab-67a66b6a6033c.jpg)
র্যাব-১ এর প্রধান ফটকে অবস্থান ভুক্তভোগীদের
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/kader-gani-67a62199f1f2b.jpg)
সত্য বলার সাহসিকতাই সাংবাদিকতার মূলমন্ত্র: কাদের গনি চৌধুরী
বৈষম্যের মূলে অন্যায্য সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/12/untitled-11-1733600347.webp)
দেশের আয়-সম্পদবৈষম্য সৃষ্টির নেপথ্যে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপক কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা সংস্থা সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে অন্যায্য সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে, যা সময়ের সঙ্গে বিকশিত, রূপান্তরিত এবং আরও জোরালো হচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনে ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের জন্য এজেন্ডা’ শীর্ষক জনবক্তৃতায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এমন মত দেন। ‘সমতা, সুযোগ, স্বাধীনতা এবং মর্যাদা’ শিরোনামে চার দিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
রেহমান সোবহান বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন বিশ্বের দৃষ্টি কেড়েছে। বাংলাদেশে সুশাসনের
ঘাটতি যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা সম্প্রতি অর্থনীতির ওপর প্রকাশিত শ্বেতপত্রে তুলে ধরা হয়েছে। মূলত বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে। এর সঙ্গে শাসন ব্যবস্থা ও রেগুলেটরি ব্যবস্থার ব্যর্থতাও রয়েছে। সুশাসনের ঘাটতির কারণে অপর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, খেলাপি ঋণ ও ব্যাপক দুর্নীতির মতো ইস্যু সামাজিক-রাজনৈতিক ছত্রছায়া পেয়েছে। এসব কাঠামোগত সমস্যা রাষ্ট্রের ব্যর্থতার কারণে সৃষ্ট। গত সরকারের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেননি। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়নি। এখন এমন এক অবস্থা যে, থেরাপি দিয়ে কাজ হবে না; সার্জারি দরকার। রেহমান সোবহান বলেন, দেশের ক্ষমতা উচ্চমাত্রায় কেন্দ্রীভূত হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং এর আগে একসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়
ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোও অগণতান্ত্রিক। দলের প্রধানের কাছেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এলিটদের দখলে ছিল। এমন একটা রূপ পেয়েছিল, যেখানে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া উচ্চ লাভজনক হয়ে ওঠে। খুব সহজেই সংসদ সদস্য হতে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতে রাজি ছিলেন অনেকে। এ ব্যবস্থা রাজনীতির স্বরূপকেও প্রভাবিত করে। মূল রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক সংগঠন হয়ে পড়েছে, যেখানে সব ক্ষমতা দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাঠামোগত এ সমস্যা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রতিফলিত হয়েছে। সরকারেও ধীরে ধীরে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও ব্যবসায়ীদের তোষণের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। রাষ্ট্রের মুষ্টিমেয় ব্যক্তি উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করেছে। স্বজনতোষী পুঁজিবাদ
রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে ঢুকে যায়। সিপিডির চেয়ারম্যান বলেন, দেশে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি বেড়েছে। প্রশাসনে রাজনীতি ঢুকেছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনতা হারিয়েছে, আইন প্রয়োগের অস্ত্রের অবাধ ব্যবহার হয়েছে এবং সর্বোপরি সংসদীয় ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। সর্বশেষ তিনটি সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। সংসদ ছিল শুধু আইন প্রণয়ন করতে। অতিরিক্ত সময় কাটানোর সংসদ সদস্যদের কিছু না কিছু উপায় খুঁজে বের করার দরকার ছিল। তারা দুটি পথ বেছে নিয়েছিলেন। প্রথমত ব্যবসা, দ্বিতীয়ত নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় জমিদার হয়ে ওঠা। তারা স্থানীয় সরকারকে ঠিকমতো কাজ করতে দেয়নি। রেহমান সোবহান বলেন, সংসদ সদস্যরা ক্রমে স্থানীয় সরকারের এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজকে নিজেদের করে নিয়েছিলেন। এর ফলে উপজেলা
চেয়ারম্যানের সঙ্গে বড় রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। জমিদারি দখল করতে তারা একে অপরকে রক্ত ঝরাতেও দ্বিধা করতেন না। উপজেলা চেয়ারম্যান বুঝেছিলেন, যদি তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছাতে না পারেন, তবে তাঁর লাভ নেই। এই সমস্যা সংসদ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যবসায় অংশগ্রহণ করেন। দেশের প্রবীণ এ অর্থনীতিবিদ বরেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকার পরও সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু উন্নতি হয়েছে। দারিদ্র্যের হার কমেছে। পুষ্টি, শিশু মৃত্যুহার, বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের বছর, স্যানিটেশন, জ্বালানি, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, বাসস্থান ইত্যাদি সূচকেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে সমাজে ও
সম্পদের বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। বছরের পর বছর সমাজে অন্যায্য পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। বৈষম্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যেই উদ্ভব হয়েছে। আর্থিক খাতে সুশাসনের ঘাটতি বারবার একটি গোষ্ঠীকে ঋণ পুনঃতপশিলের সুযোগ দিয়েছে। খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় এক পর্যায়ে সরকারি ব্যাংকগুলোকে বাজেট থেকে মূলধন পুনর্গঠনে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কীভাবে খারাপ শাসন, অসম সমাজের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাস এবং মানব উন্নয়নে এত অগ্রগতি ঘটতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তিনি বলেন, গবেষকরা খানা জরিপের তথ্যের বাইরে গিয়ে বৈষম্য বিষয়ে গবেষণা না করায় প্রকৃত চিত্র উঠছে না। বৈষম্যের প্রকৃতি বুঝতে লক্ষণের বাইরে গিয়ে উৎসে তাকাতে হবে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে
দেশের সঠিক ও টেকসই উন্নয়ন হয়নি– এমন ইঙ্গিত করে রেহমান সোবহান বলেন, অনেকে হয়তো সত্তর ও আশির দশকে কোরিয়ার অভিজ্ঞতা ভুলে গেছেন। কোরিয়ান অর্থনীতির প্রধান কাঠামোগত পরিবর্তন আনে শ্রমঘন শিল্প থেকে অনেক উন্নত স্তরের শিল্পায়নে রূপান্তর করে। স্টিল ও পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়। অবশেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পোহাং স্টিল মিলটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং দক্ষ শিল্পে পরিণত হয়েছিল। সেই সময় এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্টিল করপোরেশনকে অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছিল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শিল্প ছিল এটি। সিঙ্গাপুর বা তাইওয়ানের উদাহরণও দেখা যেতে পারে। অথচ বাংলাদেশে শিল্প জাতীয়করণের কথা বললে, এখন কেউ এটা ভালো হবে বলে মত দেবে না। এ ক্ষেত্রে ভালো উদাহরণ নেই।
ঘাটতি যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা সম্প্রতি অর্থনীতির ওপর প্রকাশিত শ্বেতপত্রে তুলে ধরা হয়েছে। মূলত বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে। এর সঙ্গে শাসন ব্যবস্থা ও রেগুলেটরি ব্যবস্থার ব্যর্থতাও রয়েছে। সুশাসনের ঘাটতির কারণে অপর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, খেলাপি ঋণ ও ব্যাপক দুর্নীতির মতো ইস্যু সামাজিক-রাজনৈতিক ছত্রছায়া পেয়েছে। এসব কাঠামোগত সমস্যা রাষ্ট্রের ব্যর্থতার কারণে সৃষ্ট। গত সরকারের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেননি। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়নি। এখন এমন এক অবস্থা যে, থেরাপি দিয়ে কাজ হবে না; সার্জারি দরকার। রেহমান সোবহান বলেন, দেশের ক্ষমতা উচ্চমাত্রায় কেন্দ্রীভূত হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং এর আগে একসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়
ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোও অগণতান্ত্রিক। দলের প্রধানের কাছেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এলিটদের দখলে ছিল। এমন একটা রূপ পেয়েছিল, যেখানে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া উচ্চ লাভজনক হয়ে ওঠে। খুব সহজেই সংসদ সদস্য হতে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতে রাজি ছিলেন অনেকে। এ ব্যবস্থা রাজনীতির স্বরূপকেও প্রভাবিত করে। মূল রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক সংগঠন হয়ে পড়েছে, যেখানে সব ক্ষমতা দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাঠামোগত এ সমস্যা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রতিফলিত হয়েছে। সরকারেও ধীরে ধীরে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও ব্যবসায়ীদের তোষণের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। রাষ্ট্রের মুষ্টিমেয় ব্যক্তি উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করেছে। স্বজনতোষী পুঁজিবাদ
রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে ঢুকে যায়। সিপিডির চেয়ারম্যান বলেন, দেশে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি বেড়েছে। প্রশাসনে রাজনীতি ঢুকেছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনতা হারিয়েছে, আইন প্রয়োগের অস্ত্রের অবাধ ব্যবহার হয়েছে এবং সর্বোপরি সংসদীয় ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। সর্বশেষ তিনটি সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। সংসদ ছিল শুধু আইন প্রণয়ন করতে। অতিরিক্ত সময় কাটানোর সংসদ সদস্যদের কিছু না কিছু উপায় খুঁজে বের করার দরকার ছিল। তারা দুটি পথ বেছে নিয়েছিলেন। প্রথমত ব্যবসা, দ্বিতীয়ত নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় জমিদার হয়ে ওঠা। তারা স্থানীয় সরকারকে ঠিকমতো কাজ করতে দেয়নি। রেহমান সোবহান বলেন, সংসদ সদস্যরা ক্রমে স্থানীয় সরকারের এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজকে নিজেদের করে নিয়েছিলেন। এর ফলে উপজেলা
চেয়ারম্যানের সঙ্গে বড় রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। জমিদারি দখল করতে তারা একে অপরকে রক্ত ঝরাতেও দ্বিধা করতেন না। উপজেলা চেয়ারম্যান বুঝেছিলেন, যদি তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছাতে না পারেন, তবে তাঁর লাভ নেই। এই সমস্যা সংসদ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যবসায় অংশগ্রহণ করেন। দেশের প্রবীণ এ অর্থনীতিবিদ বরেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকার পরও সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু উন্নতি হয়েছে। দারিদ্র্যের হার কমেছে। পুষ্টি, শিশু মৃত্যুহার, বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের বছর, স্যানিটেশন, জ্বালানি, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, বাসস্থান ইত্যাদি সূচকেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে সমাজে ও
সম্পদের বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। বছরের পর বছর সমাজে অন্যায্য পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। বৈষম্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যেই উদ্ভব হয়েছে। আর্থিক খাতে সুশাসনের ঘাটতি বারবার একটি গোষ্ঠীকে ঋণ পুনঃতপশিলের সুযোগ দিয়েছে। খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় এক পর্যায়ে সরকারি ব্যাংকগুলোকে বাজেট থেকে মূলধন পুনর্গঠনে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কীভাবে খারাপ শাসন, অসম সমাজের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাস এবং মানব উন্নয়নে এত অগ্রগতি ঘটতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তিনি বলেন, গবেষকরা খানা জরিপের তথ্যের বাইরে গিয়ে বৈষম্য বিষয়ে গবেষণা না করায় প্রকৃত চিত্র উঠছে না। বৈষম্যের প্রকৃতি বুঝতে লক্ষণের বাইরে গিয়ে উৎসে তাকাতে হবে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে
দেশের সঠিক ও টেকসই উন্নয়ন হয়নি– এমন ইঙ্গিত করে রেহমান সোবহান বলেন, অনেকে হয়তো সত্তর ও আশির দশকে কোরিয়ার অভিজ্ঞতা ভুলে গেছেন। কোরিয়ান অর্থনীতির প্রধান কাঠামোগত পরিবর্তন আনে শ্রমঘন শিল্প থেকে অনেক উন্নত স্তরের শিল্পায়নে রূপান্তর করে। স্টিল ও পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়। অবশেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পোহাং স্টিল মিলটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং দক্ষ শিল্পে পরিণত হয়েছিল। সেই সময় এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্টিল করপোরেশনকে অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছিল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শিল্প ছিল এটি। সিঙ্গাপুর বা তাইওয়ানের উদাহরণও দেখা যেতে পারে। অথচ বাংলাদেশে শিল্প জাতীয়করণের কথা বললে, এখন কেউ এটা ভালো হবে বলে মত দেবে না। এ ক্ষেত্রে ভালো উদাহরণ নেই।