ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ভূমধ্যসাগর উপকূলে ২০ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ট্রেস করা সম্ভব না হলেও চেষ্টা চলছে : ডিবিপ্রধান
সীমান্ত চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাবে বাংলাদেশ, আশা ভারতের
দেশের কোথাও সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই: এম এ আজিজ
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ভেঙ্গে ফেলা হয় ভাষা সৈনিকের নামের তোরণ
১৮ বছরেই এরা এমপি মন্ত্রী হতে চায়, এরা এতো জ্ঞানী?- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান রংপুরে গ্রেফতার
সেই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে: ফারুকী
বইমেলায় যেন ‘উসকানিমূলক কথা বা লেখা’ সম্বলিত বই প্রকাশ না হয়, সেজন্য আগে বাংলা একাডেমি কর্তৃক বইয়ের পাণ্ডুলিপি অনুমোদন করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম।
শুক্রবার সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এবার বাংলা একাডেমিকে সাজেস্ট (পরামর্শ দেওয়া) করছি, আগামীতে নতুন যে বইগুলো প্রকাশিত হবে, তার পাণ্ডুলিপি আগেই যেন বাংলা একাডেমিতে জমা দেওয়া হয়। তারা এটা যাচাই-বাছাই করবে, পড়ে দেখবে যে এমন কোনো বিষয়বস্তু না হয়, যেটা আমাদের সোশ্যাল লাইফকে ডিজরাপ্ট করে, আমাদের কমিউনাল হারমোনিকে ডিজরাপ্ট করে, আমাদের দেশদ্রোহী কোনো বক্তব্য বা প্রকাশনা বা সরকারকে ডিস্টাবিলাইজ (অস্থির) করে—এ রকম কোনো ধরনের প্রকাশনা
যেন মেলায় না আসে।’ পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আশা করি আগামী বছর থেকে এটা আমরা করাইতে পারব বাংলা একাডেমিকে দিয়ে যে বই প্রকাশের আগে পাণ্ডুলিপি তাদের দিতে হবে। তারা অনুমতি দিলেই সেটা শুধু প্রকাশ হবে।’ এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা একটা সমন্বয় সভা করেছিলাম, সেখানে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা ছিলেন। তাদের আমরা রিকোয়েস্ট (অনুরোধ) করেছি, এ রকম কোনো বই যেন মেলায় না আসে, যেখানে উসকানিমূলক কথা বা লেখা আছে। এটা যেন ওনারা স্ক্যানিং করেন, ভেটিং করে স্টলে উপস্থাপন করেন। আমি আশা করি, তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।’ তাদের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই লেখক-পাঠকমহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি
হয়। কেউ কেউ এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, যা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শনিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের স্পিরিটের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই স্পিরিটের অন্যতম (ভিত্তি) হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ফলে বই ছাপার আগে পুলিশ বা অন্য কারো সেটা নিরীক্ষা করার প্রশ্নই আসে না।’ এরপরই সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে ফারুকী যোগ করেন, ‘যে পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এটা গতকাল থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সব রকম বিভ্রান্তি দূর করার জন্য বলে রাখা ভালো- বই
প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশীপের প্রশ্নই আসে না। সরকার মত প্রকাশ এবং লেখার স্বাধীনতায় পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যেন মেলায় না আসে।’ পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আশা করি আগামী বছর থেকে এটা আমরা করাইতে পারব বাংলা একাডেমিকে দিয়ে যে বই প্রকাশের আগে পাণ্ডুলিপি তাদের দিতে হবে। তারা অনুমতি দিলেই সেটা শুধু প্রকাশ হবে।’ এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা একটা সমন্বয় সভা করেছিলাম, সেখানে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা ছিলেন। তাদের আমরা রিকোয়েস্ট (অনুরোধ) করেছি, এ রকম কোনো বই যেন মেলায় না আসে, যেখানে উসকানিমূলক কথা বা লেখা আছে। এটা যেন ওনারা স্ক্যানিং করেন, ভেটিং করে স্টলে উপস্থাপন করেন। আমি আশা করি, তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।’ তাদের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই লেখক-পাঠকমহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি
হয়। কেউ কেউ এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, যা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শনিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের স্পিরিটের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই স্পিরিটের অন্যতম (ভিত্তি) হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ফলে বই ছাপার আগে পুলিশ বা অন্য কারো সেটা নিরীক্ষা করার প্রশ্নই আসে না।’ এরপরই সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে ফারুকী যোগ করেন, ‘যে পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এটা গতকাল থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সব রকম বিভ্রান্তি দূর করার জন্য বলে রাখা ভালো- বই
প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশীপের প্রশ্নই আসে না। সরকার মত প্রকাশ এবং লেখার স্বাধীনতায় পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’