ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা, ১ মে থেকে কার্যকর
পাঁচ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র মানবাধিকার প্রতিবেদনে
মেজর সিনহা হত্যার; দ্রুত মামলার শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে মায়ের আবেদন
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণের দুই প্রস্তাব অনুমোদন
ঢাকায় বায়ুদূষণ: একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি
২০২৪ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি
সাংবাদিকদের উপর সরকারের নিপীড়ন: নিরাপত্তার সংকট
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিতকরণের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া একের পর এক তাণ্ডব সরকার ও তাদের সমর্থক দলগুলোর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যে কৌশল অনুসরণ করা হয়েছে, তা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে সাংবাদিকদের উপর ন্যূনতম পেশাগত নিরাপত্তাও নেই। এই পরিস্থিতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণমাধ্যমের উপর আক্রমণ
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার এক ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে, যেখানে ২৯৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৬ শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার অধিকাংশই হত্যা মামলা। এর মধ্যে প্রায় ৭২ জন সাংবাদিক রাজধানী ঢাকায়
কর্মরত, এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। একাধিক সাংবাদিক খুন এবং অগণিত সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া, প্রায় ১৬৮ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে, এবং ৮৩ জন সাংবাদিকের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, বহু সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), নাগরিক টিভি, একাত্তর টিভি, ডিবিসি নিউজসহ বেশ কিছু টিভি চ্যানেল থেকে সাংবাদিকদের চাকরি চলে গেছে। শুধু রাজধানী নয়, দেশব্যাপী সাংবাদিকদের ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটছে। বিটিভি থেকে একযোগভাবে ৬৪টি জেলা প্রতিনিধি ছাঁটাই করা হয়েছে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিপজ্জনক একটি সংকেত। সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা
সংকটে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা একে একে সংকটে পড়ছে। সাংবাদিকদের উপর সরকারের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পেশাদারিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। আইসিটি মামলা, হত্যার হুমকি এবং চাকরিচ্যুতি মেনে নেওয়ার পরেও সাংবাদিকরা যদি তাদের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও আদর্শের প্রতি অনুগত থাকেন, তবে তারা কর্মক্ষেত্রে আরও বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। এই প্রেক্ষিতে সরকার সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, যাতে তারা সরকারের সমালোচনার সাহস না দেখায়। গণমাধ্যমের উন্নয়ন ব্যাহত যতই দেশে গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই নতুন বিনিয়োগ ও মিডিয়া হাউজের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সরকারের বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গণমাধ্যমের প্রতি নিপীড়নের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ এবং নতুন মিডিয়া হাউজের জন্য বাংলাদেশের বাজার আকর্ষণীয়
নয়। এর ফলে, দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে দেশব্যাপী জনগণের তথ্য প্রাপ্তির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের প্রতি এমন এক তাণ্ডব চালানো হচ্ছে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে বিপজ্জনক। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, হত্যার হুমকি, চাকরিচ্যুতি, আক্রমণ এবং ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যার কারণে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ঝুঁকিতে পড়ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য এই ধরনের নির্যাতন বন্ধ করা আবশ্যক, যাতে দেশের সাংবাদিকরা নির্ভয়ে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিয়ে যে সংকট চলছে, তা কোনোভাবেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষা
করার জন্য সরকারের উচিত, তাদের প্রতি এই ধরনের সহিংস আচরণ বন্ধ করা এবং সংবিধান অনুসারে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সাংবাদিকরা হলেন দেশের মূল শক্তি, তাদের নিরাপত্তা না থাকলে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজও টেকসই হতে পারে না।
কর্মরত, এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। একাধিক সাংবাদিক খুন এবং অগণিত সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া, প্রায় ১৬৮ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে, এবং ৮৩ জন সাংবাদিকের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, বহু সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), নাগরিক টিভি, একাত্তর টিভি, ডিবিসি নিউজসহ বেশ কিছু টিভি চ্যানেল থেকে সাংবাদিকদের চাকরি চলে গেছে। শুধু রাজধানী নয়, দেশব্যাপী সাংবাদিকদের ছাঁটাই ও চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটছে। বিটিভি থেকে একযোগভাবে ৬৪টি জেলা প্রতিনিধি ছাঁটাই করা হয়েছে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিপজ্জনক একটি সংকেত। সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা
সংকটে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা একে একে সংকটে পড়ছে। সাংবাদিকদের উপর সরকারের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পেশাদারিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। আইসিটি মামলা, হত্যার হুমকি এবং চাকরিচ্যুতি মেনে নেওয়ার পরেও সাংবাদিকরা যদি তাদের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও আদর্শের প্রতি অনুগত থাকেন, তবে তারা কর্মক্ষেত্রে আরও বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। এই প্রেক্ষিতে সরকার সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, যাতে তারা সরকারের সমালোচনার সাহস না দেখায়। গণমাধ্যমের উন্নয়ন ব্যাহত যতই দেশে গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই নতুন বিনিয়োগ ও মিডিয়া হাউজের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সরকারের বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গণমাধ্যমের প্রতি নিপীড়নের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ এবং নতুন মিডিয়া হাউজের জন্য বাংলাদেশের বাজার আকর্ষণীয়
নয়। এর ফলে, দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে দেশব্যাপী জনগণের তথ্য প্রাপ্তির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের প্রতি এমন এক তাণ্ডব চালানো হচ্ছে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে বিপজ্জনক। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, হত্যার হুমকি, চাকরিচ্যুতি, আক্রমণ এবং ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যার কারণে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ঝুঁকিতে পড়ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য এই ধরনের নির্যাতন বন্ধ করা আবশ্যক, যাতে দেশের সাংবাদিকরা নির্ভয়ে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিয়ে যে সংকট চলছে, তা কোনোভাবেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষা
করার জন্য সরকারের উচিত, তাদের প্রতি এই ধরনের সহিংস আচরণ বন্ধ করা এবং সংবিধান অনুসারে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সাংবাদিকরা হলেন দেশের মূল শক্তি, তাদের নিরাপত্তা না থাকলে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজও টেকসই হতে পারে না।