সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-১ – ইউ এস বাংলা নিউজ




সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-১

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৪ 38 ভিউ
সম্রাট আকবরের মৃত্যু হলো। মুঘল নিয়মে ক্ষমতায় বসলেন তার জ্যেষ্ঠপুত্র শাহজাদা সেলিম। পুরো নাম মির্জা নূরউদ্দিন বেগ মোহাম্মদ খান সেলিম জাহাঙ্গীর। ১৬০৫ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার সময় তিনি ‘নূরউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাদশাহ গাজী’ উপাধি গ্রহণ করেন। এ কারণে ক্ষমতায় আসার পর যুবরাজ সেলিম জাহাঙ্গীর নামেই অধিক পরিচিত হন। অল্প বয়সেই ফারসি, তুর্কি ও হিন্দি ভাষা এবং গণিত, ইতিহাস, ভূগোলসহ নানা বিষয়ে পাঠগ্রহণ করেন। যোগ্য শিক্ষকদের পরিচর্যায় শাহজাদা সেলিম বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হন। কাব্যপ্রতিভা প্রস্ফুটিত হয় কৈশোরেই। সামরিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা তাকে আগামীর সম্রাট হিসেবেই হাজির করেছিলো। ১৫৮১ সালে তার নেতৃত্বে কাবুল অভিযান সাফল্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। বিচারিক ও সাংস্কৃতিক সাংগঠনিকতায়

তার দক্ষতার পরীক্ষাও নেওয়া হলো। বিচার বিভাগ ও রাজকীয় উৎসবের কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। বিবেচনা ও বুদ্ধিমত্তা এবং নেতৃত্বগুণ প্রদর্শন করেন তিনি। ১৫৭৭ সালে দশ হাজারী মনসব লাভ করেন। ১৫৮৫ সালে লাভ করেন ১২ হাজারী মনসব। আকবরের ছিলো তিন সন্তান; সেলিম, মুরাদ ও দানিয়েল। সেলিম সবার বড়। যোগ্য হলেও আয়েশী ছিলেন তিনি। বেয়াড়া আচরণ ছিলো তার মধ্যে। ফলে আবুল ফজলের মতো দরবারি প-িতরা তার প্রতি ছিলেন রুষ্ট। মুরাদ ছিলেন অধিক মাত্রায় পানাসক্ত। মারা যান অতিরিক্ত মদপানের কারণে। আকবরের সুদৃষ্টি ছিলো ছোট ছেলে দানিয়েলের প্রতি, যা সেলিমকে ধন্দে ফেলে দেয়। সিংহাসন ছোট ভাইয়ের হাতে চলে যাবার শঙ্কা দেখা দেয় তার মনে।

এই শঙ্কা নিয়ে পিতার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইলেন না সেলিম। আকবরের জীবদ্দশাতেই তিনি বিদ্রোহের জন্য তৈরি হলেন। আকবর যখন দাক্ষিণাত্যে ব্যস্ত, ক্লান্ত, সেলিম তখন এলাহাবাদে উড়িয়ে দিলেন স্বাধীন রাষ্ট্রের পতাকা। নিজ নামে চালু করলেন মুদ্রা। বিতরণ করতে থাকলেন জায়গীর। তার মোকাবেলায় বৃদ্ধ আকবরকে পেরেশান থাকতে হয় ১৬০১ থেকে ১৬০৪ সাল পর্যন্ত। সেলিমের বিদ্রোহ দমনের নানা চেষ্টা অব্যাহত থাকে। মানসিংহ চেষ্টা করেন সেলিমের পুত্র খসরুকে আকবরের উত্তরাধিকারী নির্বাচনের জন্য। সেটা সেলিমকে বিচলিত করে। পিতার কাছে আত্মসমর্পণই তার নিয়তি হয়ে উঠে। তিনি আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আকবর কি তাকে রেহাই দেবেন? রেহাই দিতে হলো নিয়তির চাপে। দানিয়েল অল্পবয়সে মারা গেলেন। শোকে কাতর ও বিপন্ন

সম্রাট সেলিমকে বুকে নিলেন। ক্ষমা করে দিলেন। এরপর মাত্র কিছু দিন। আকবর নিরাময়হীন অসুখে শয্যাশায়ী হলেন। ১৬০৫ সালের ২৫ অক্টোবর মারা গেলেন তিনি। এর আগে সেলিমকেই তিনি পরবর্তী মুঘল সম্রাট হিসেবে নিশ্চিত করলেন। সেলিম সম্রাট হয়ে রাজ্য বিস্তারের নীতি গ্রহণ করলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর! ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ, ভিসি বাসভবন ঘেরাও ফের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বাজারে দখলকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা ব্যাপক সংঘর্ষের পর বরিশালে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা দেশে ফিরে বিমানবন্দরেই আটক সাদ্দাম স্ত্রীর নির্যাতনে অতীষ্ঠ স্বামীর আত্মহত্যা ডিপসিক কী, কেন এটি বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজার ধসের কারণ? ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখান ফিলিস্তিন-মিশর-জর্ডানের ফ্রান্সকে হারিয়ে পেস্ট্রি বিশ্বকাপ জিতলো জাপান মিথিলার নতুন পরিচয় অতিথিদের সঙ্গে স্ত্রীদের সঙ্গমে উৎসাহ দেন স্বামীরা! জয়পুরহাটে নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করতে খেলার মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুর কর্মবিরতি প্রত্যাহার, ট্রেন চলাচল শুরু মনোনয়ন লড়াইয়ে বিএনপির হাফ ডজন প্রার্থী মন্ত্রী-এমপিদের বালাখানা এখন ভূতের আস্তানা দশ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ফাইল চাপা রেলের সুজন আসলে কুজন: কামিয়েছেন দুহাতে টাকা