লিবিয়ায় পাচারের শিকার আব্দুস সালামকে উদ্ধার করল পিবিআই – ইউ এস বাংলা নিউজ




লিবিয়ায় পাচারের শিকার আব্দুস সালামকে উদ্ধার করল পিবিআই

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৫:১১ 146 ভিউ
লিবিয়ায় পাচারের শিকার সৈয়দ আব্দুস সালাম নামে যশোরের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দেশে ফেরার পর রোববার যশোরের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনালে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। সৈয়দ আব্দুস সালাম (৪২) বাঘারপাড়া উপজেলার খলসি গ্রামের মৃত সৈয়দ তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, সৈয়দ আবদুস সালামকে পাচারের মামলাটি আদালতের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে পারেন ভিকটিম সৈয়দ আবদুস সালাম লিবিয়াতে আটক আছে। তখন বিদেশে থাকা মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য আসামি নওয়াব আলী সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করা হয়। এরপর নওয়াব আলী ভিকটিম সালামের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার ভিডিও কলের

মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেয়। নওয়াব আলী ভিকটিম সালামকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পিবিআই যশোরের সার্বিক প্রচেষ্টায় ভিকটিম সালাম দেশে ফেরত আসে। ভিকটিমকে জবানবন্দি প্রদান করার জন্য রোববার আদালতে পাঠানো হয়। তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সৈয়দ আব্দুস সালাম (৪২) পেশায় একজন কৃষক। পারিবারিক সচ্ছলতার জন্য তিনি বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভিকটিমের প্রতিবেশী আসামি নওয়াব আলী বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমকে রোমানিয়ায় পাঠাতে পারবে বলে জানায়। তখন ভিকটিম তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে রোমানিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে নওয়াব আলী ভিকটিমকে জানায় তাকে রোমানিয়াতে না ইতালি পাঠাতে পারবে। তখন তার কথামতো ভিকটিমের সঙ্গে আসামি নওয়াব

আলীর চার লাখ টাকার চুক্তি হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিয়ে আসামি নওয়াব আলী ভিকটিমকে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ ঢাকা বিমানবন্দরে দিয়ে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে দুই দিন অবস্থান করার পর মিসরে পাঁচ ঘণ্টা বিরতির পর লিবিয়া নিয়ে একটি বাসায় ভিতর আটক রাখে। সেখান থেকে ২০ থেকে ২২ দিন পর নওয়াব আলী ভিকটিমকে ইতালি পাঠানোর জন্য অপরিচিত কিছু লোকের কাছে পাঠায়। তখন তারা ভিকটিমকে আসামি নাদিম ও আসামি হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। ভিকটিম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পরবর্তীতে আসামিরা ভিকটিমকে একটি অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখে। ভিকটিমকে আটক রেখে আসামিরা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে

থাকে। ভিকটিমকে নির্যাতন করে তার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১৫ লাখ টাকা আদায় করে। এরপরও তারা ভিকটিমকে মুক্ত করে দেয়নি। তখন তার পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে ভিকটিম কোনো মানবপাচার চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। তাকে উদ্ধারের জন্য ২০২৪ সালের ২ মে আদালতে মানবপাচার মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয় পিবিআইকে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শুধু ঘুম পায়? মধ্যরাতে ঢাবি-ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ট্রাম্প না পেলেও শান্তির নোবেল ‘আমেরিকার স্বার্থে’ আরেকটি ‘নাকবা’: গাজা পুনর্গঠনে লেগে যাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সংঘাত ‘আপাতত’ স্থগিত মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের সূচনা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ৩ কৌশল মসজিদে ঢুকেই তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব উচ্চমূল্যের চাপে মধ্যবিত্ত হয়ে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত নূতন-কাজলকে পেছনে ফেললেন আলিয়া! উপদেষ্টারা আখের গুছিয়ে ফেলেছেন কিন্তু শিক্ষকের বেলায় টাকা নেই: সামান্তা সোমবার থেকে শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৫৩ প্রথমবার বাংলাদেশে আসছেন জাকির নায়েক পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত স্থগিতের ঘোষণা দিলেন আফগান মন্ত্রী আফগানিস্তানের ২০০ জনের বেশি সৈন্য ও যোদ্ধা নিহতের দাবি পাকিস্তানের পাকিস্তানের ২৫ সীমান্তপোস্ট দখল ও ৫৮ সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের ৬টি ফিল্মফেয়ার, অনন্য উচ্চতায় আলিয়া ভাট মাউশি ভেঙে হচ্ছে দুই অধিদপ্তর বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষ মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন