ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
চীনে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভাইরাস, বাড়ছে উদ্বেগ-শঙ্কা
জার্মানিতে আতশবাজিতে মৃত্যু বন্ধে হাজারো মানুষের আবেদন
ব্রহ্মপুত্র নদে ‘বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ’ নির্মাণ করছে চীন, এখন কী করবে ভারত?
কাশ্মিরে ভারতীয় তিন সেনা নিহত
ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা, মাস্কের স্টারলিংকের ব্যবহার মণিপুরে
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর
আলজাজিরার প্রতিবেদন: ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে বাংলাদেশি রোগীরা
রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ : ইউক্রেন ও ইউরোপের নতুন বাস্তবতা
ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেল। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের জাতীয় তেল-গ্যাস কোম্পানি নাফটোগাজ ও রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি গাজপ্রমের চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপে এই গ্যাস সরবরাহ হতো। তবে গতকাল (১ জানুয়ারি) পাঁচ বছরের মেয়াদী সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে, এবং ইউক্রেন নতুন চুক্তি নবায়ন করতে রাজি না হওয়ায় এই সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত ১৯ ডিসেম্বর বলেন, যদি যুদ্ধ শেষ না হয় এবং মস্কো তাদের পাওনা অর্থ পরিশোধ স্থগিত রাখে, তবে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের অনুমতির বিষয়টি বিবেচনায় আসতে পারে। তার মন্তব্যের ঠিক এক সপ্তাহ পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান,
‘চলতি বছরে নতুন চুক্তি করার মতো সময় নেই।’ রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়। একসময় ইউরোপের প্রয়োজনীয় গ্যাসের ৩৫ শতাংশ সরবরাহ করলেও তা এখন নেমে এসেছে মাত্র ৮ শতাংশে। ইউক্রেন দিয়ে গত বছর ইউরোপে রাশিয়া মাত্র ১,৪০০ কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করেছে, যা আগের বছরের ৬,৫০০ কিউবিক মিটারের তুলনায় অনেক কম। রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ফলে ইউরোপের বাজারটি এখন নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মতো দেশগুলোর দখলে। ইউক্রেনের পাইপলাইন দিয়ে আগে অস্ট্রিয়া ও স্লোভাকিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন এসব দেশের গ্যাস সরবরাহকারীরা নতুন বিকল্প খুঁজে নিয়েছে। স্লোভাকিয়ার প্রধান গ্যাস আমদানিকারক
প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। অস্ট্রিয়াও তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে। রাশিয়া প্রতিবছর মলদোভার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় প্রায় দুই কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করত। এটি সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হতো, যা মলদোভার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বিক্রি হতো। তবে বকেয়া পরিশোধ না করায় গাজপ্রম গতকাল থেকে এই সরবরাহ বন্ধ করেছে। মলদোভার প্রধানমন্ত্রী ডরিন রিসেন গাজপ্রমের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, আমরা অন্যান্য দেশ থেকে গ্যাস আমদানির ব্যবস্থা করেছি। একইসঙ্গে দেশটি গ্যাস ব্যবহারে ৩০ শতাংশ কৃচ্ছ্রতা নীতির কথা ঘোষণা করেছে। ইউরোপের ভবিষ্যৎ ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করায় ইউক্রেনের কোনো ক্ষতি হবে
না, কারণ তারা রাশিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে না। অন্যদিকে, ইইউ এখন রাশিয়াবিহীন বিকল্পের ওপর নির্ভরশীল হতে শুরু করেছে, যা এই মহাদেশের জ্বালানি ভবিষ্যতের দিশা নতুন করে নির্ধারণ করছে।
‘চলতি বছরে নতুন চুক্তি করার মতো সময় নেই।’ রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়। একসময় ইউরোপের প্রয়োজনীয় গ্যাসের ৩৫ শতাংশ সরবরাহ করলেও তা এখন নেমে এসেছে মাত্র ৮ শতাংশে। ইউক্রেন দিয়ে গত বছর ইউরোপে রাশিয়া মাত্র ১,৪০০ কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করেছে, যা আগের বছরের ৬,৫০০ কিউবিক মিটারের তুলনায় অনেক কম। রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ফলে ইউরোপের বাজারটি এখন নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মতো দেশগুলোর দখলে। ইউক্রেনের পাইপলাইন দিয়ে আগে অস্ট্রিয়া ও স্লোভাকিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন এসব দেশের গ্যাস সরবরাহকারীরা নতুন বিকল্প খুঁজে নিয়েছে। স্লোভাকিয়ার প্রধান গ্যাস আমদানিকারক
প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। অস্ট্রিয়াও তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে। রাশিয়া প্রতিবছর মলদোভার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় প্রায় দুই কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করত। এটি সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হতো, যা মলদোভার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বিক্রি হতো। তবে বকেয়া পরিশোধ না করায় গাজপ্রম গতকাল থেকে এই সরবরাহ বন্ধ করেছে। মলদোভার প্রধানমন্ত্রী ডরিন রিসেন গাজপ্রমের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, আমরা অন্যান্য দেশ থেকে গ্যাস আমদানির ব্যবস্থা করেছি। একইসঙ্গে দেশটি গ্যাস ব্যবহারে ৩০ শতাংশ কৃচ্ছ্রতা নীতির কথা ঘোষণা করেছে। ইউরোপের ভবিষ্যৎ ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করায় ইউক্রেনের কোনো ক্ষতি হবে
না, কারণ তারা রাশিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে না। অন্যদিকে, ইইউ এখন রাশিয়াবিহীন বিকল্পের ওপর নির্ভরশীল হতে শুরু করেছে, যা এই মহাদেশের জ্বালানি ভবিষ্যতের দিশা নতুন করে নির্ধারণ করছে।