ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আবারও বাংলাদেশি জেলে অপহৃত: সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ?
দুর্নীতি দমন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাদ দিয়েই খসড়া অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ
বিদ্যুৎ আমদানির বিল পরিশোধে সহজীকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ শিথিল
ভারতের সাথে আন্তঃদেশীয় রেলসেবা পুনরায় চালু করতে উদগ্রীব ‘দিল্লির দাসত্ব’ বিরোধী ইউনূস সরকার
নির্বাচন থেকে দল নিষিদ্ধ হওয়ায় গণ-ভোটার বর্জনের হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার || সরকার উৎখাত করতে গিয়ে নিহতের ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
ড. ইউনূসের ম্যাজিকেল আমলে বন্ধ হয়েছে ২৫৮টি তৈরি পোশাক কারখানা, কর্মহীন লাখো শ্রমিক
রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা: নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকলে বিপুল সংখ্যক ভোটার নির্বাচন বর্জন করবেন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হলে দলটির কোটি কোটি সমর্থক ভোট বর্জন করবেন।
নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা এই মন্তব্য করেন রয়টার্সকে দেওয়া ইমেইল সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। গত বছরের ৫ই আগস্টের পর এটিই তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার।
৭৮ বছর বয়সী এই রাষ্ট্রনায়ক জানান, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে গঠিত কোনো সরকারের অধীনে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন না। তিনি আপাতত ভারতেই থাকার পরিকল্পনা করছেন।
গত নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত ষড়যন্ত্র ও সহিংসতার মুখে বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। সেই সুযোগে ক্ষমতায় বসে যান ড. ইউনূস। তার অসাংবিধানিক অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে
শেখ হাসিনার অবর্তমানে ক্ষমতা আঁকড়ে আছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছে। “আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুধু অন্যায় নয়, এটি অসাংবিধানিক এবং আইনত অবৈধ,” বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “পরবর্তী সরকারের নির্বাচনী বৈধতা থাকতে হবে। কোটি কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকলে তারা ভোট দেবে না। কার্যকর স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা চাইলে এই কোটি কোটি মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।” বাংলাদেশে ১২ কোটি ৬০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কয়েক দফা দেশ শাসন করেছে। আসন্ন নির্বাচনে তাই আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত থাকলে বিএনপিকে এগিয়ে রাখছেন কেউ কেউ। গত মে মাসে ইউনূস সরকারের নির্বাচন
কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে। এর আগে ইউনূস-সরকার জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি ও দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’ তদন্তের অভিযোগ তুলে সব ধরনের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। “আমরা আওয়ামী লীগের ভোটারদের অন্য দলকে সমর্থন করতে বলছি না,” বলেন শেখ হাসিনা। “আমরা এখনো আশা করছি, তাদের (ইউনূস সরকারের) বোধোদয় হবে এবং আমরা নিজেরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারব।” রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা তাদের জানাননি, তিনি কিংবা তাঁর পক্ষ থেকে কেউ ইউনূস সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে কি না। এ বিষয়ে ইউনূসের মুখপাত্রের কাছে মন্তব্য চাওয়া হলে সেখান থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো জবাব মেলেনি। শেখ হাসিনা তাঁর দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও অভাবনীয় উত্তরণের জন্য
বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত একজন নেতা। যদিও ইউনূস সরকার ও তার সমর্থকরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধী মত দমনের অভিযোগ করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালে টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচনে জয়ী হন। বিএনপি সেই নির্বাচন স্বেচ্ছায় বর্জন করেছিল। সম্প্রতি ড. ইউনূসের তথাকথিত আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শেষ করেছে। গত বছর শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে সৃষ্ট সহিংসতা শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। এতে সংঘবদ্ধ দাঙ্গাবাজদের অনেকেই হতাহত হন বিভিন্ন বিভিন্ন কারণে। সেই হতাহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে দায়ী করে মামলা করা হয় ট্রাইব্যুনালে। যার রায় দেওয়ার কথা ১৩ই
নভেম্বর। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ই জুলাই থেকে ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত ১,৪০০ জন পর্যন্ত নিহত হয়েছে। যদিও রয়টার্সের এই প্রতিবেদনে এই নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় ৫ই আগস্ট পর্যন্ত। প্রকৃতপক্ষে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরবর্তী ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। যা ড. ইউনূসের শাসনামলের দায় বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত। শেখ হাসিনা তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই মামলাগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসাপরায়ণতার বহিঃপ্রকাশ। ক্যাঙ্গারু কোর্টে (প্রহসনের বিচারকার্য) এসব নিয়ে মামলা করার অর্থ হচ্ছে অপরাধী এবং রায় পূর্ব নির্ধারিত। আমাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নোটিশই দেওয়া হয়নি কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি।” বঙ্গবন্ধু কন্যা আশাবাদী, আওয়ামী
লীগ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরবে—সরকারে বা বিরোধী দলে। এ জন্য তার পরিবারের নেতৃত্ব প্রয়োজন নেই। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ গত বছর রয়টার্সকে বলেছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম চাইলে তিনি দলের নেতৃত্ব নিতে পারেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, “এটি আমার বা আমার পরিবারের ব্যাপার নয়। সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় ফিরতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে না।” ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে তাঁর পিতা- বাঙালি জাতির স্বাধীকারের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেস মুজিব, ভাই- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ, ভাইদের স্ত্রী, শিশু ও পরিবার-স্বজনসহ ২৮ জনকে হত্যা করা হয়। যা বিশ্বের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন নৃশংসতা।
সেসময় তিনি ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বিদেশ সফরে ছিলেন। পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তাঁদের দুই বোনকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন এবং তাঁরা দিল্লিতে বসবাস করেন। শেখ হাসিনা ৬ বছর দিল্লিতে থাকার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং আওয়ামী লীগকে পুনঃগঠন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে যান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে দৃঢ়তার সাথে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে। শেখ হাসিনার ওপর বিএনপি, জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী এ পর্যন্ত প্রাণনাশের উদ্দেশে ২১ বার সংঘটিত হামলা চালায়। বারবার দলীয় নেতাকর্মীদের সুরক্ষা বলয়ে তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তবুও তিনি সতর্কতার সাথে জীবনযাপন করেছেন দেশে। গত বছর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্যেই বলেছেন, তারা যদি শেখ হাসিনার দেশত্যাগে বাধা দিতে পারত, তবে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখত। মূলত এসব জানতেন বলেই সামরিক উড়োজাহাজের মাধ্যমে তাঁকে ভারতে নিরাপদে রেখে আসা হয়। কয়েক মাস আগে রয়টার্স সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে দিল্লির লোধি গার্ডেনে হাঁটতে দেখেন, তাঁর সাথে দুজন নিরাপত্তাকর্মী সঙ্গে ছিলেন। তিনি এসময় ভারতীয় সাধারণ নাগরিকদের অভিবাদনের জবাব দেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায়। “আমি দেশে ফিরতে চাই, যদি সেখানে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত বৈধ সরকার থাকে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়,” বলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগে থেকেই সরকারবিরোধী সহিংসতায় এবং ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর চরম প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়। যার ফলে শত শত নেতাকর্মী নিহত হন, কারাগারেও হত্যা করা হয় অনেক নেতাকে।
শেখ হাসিনার অবর্তমানে ক্ষমতা আঁকড়ে আছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছে। “আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুধু অন্যায় নয়, এটি অসাংবিধানিক এবং আইনত অবৈধ,” বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “পরবর্তী সরকারের নির্বাচনী বৈধতা থাকতে হবে। কোটি কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকলে তারা ভোট দেবে না। কার্যকর স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা চাইলে এই কোটি কোটি মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।” বাংলাদেশে ১২ কোটি ৬০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কয়েক দফা দেশ শাসন করেছে। আসন্ন নির্বাচনে তাই আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত থাকলে বিএনপিকে এগিয়ে রাখছেন কেউ কেউ। গত মে মাসে ইউনূস সরকারের নির্বাচন
কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে। এর আগে ইউনূস-সরকার জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি ও দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’ তদন্তের অভিযোগ তুলে সব ধরনের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। “আমরা আওয়ামী লীগের ভোটারদের অন্য দলকে সমর্থন করতে বলছি না,” বলেন শেখ হাসিনা। “আমরা এখনো আশা করছি, তাদের (ইউনূস সরকারের) বোধোদয় হবে এবং আমরা নিজেরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারব।” রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা তাদের জানাননি, তিনি কিংবা তাঁর পক্ষ থেকে কেউ ইউনূস সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে কি না। এ বিষয়ে ইউনূসের মুখপাত্রের কাছে মন্তব্য চাওয়া হলে সেখান থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো জবাব মেলেনি। শেখ হাসিনা তাঁর দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও অভাবনীয় উত্তরণের জন্য
বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত একজন নেতা। যদিও ইউনূস সরকার ও তার সমর্থকরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধী মত দমনের অভিযোগ করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালে টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচনে জয়ী হন। বিএনপি সেই নির্বাচন স্বেচ্ছায় বর্জন করেছিল। সম্প্রতি ড. ইউনূসের তথাকথিত আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শেষ করেছে। গত বছর শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে সৃষ্ট সহিংসতা শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। এতে সংঘবদ্ধ দাঙ্গাবাজদের অনেকেই হতাহত হন বিভিন্ন বিভিন্ন কারণে। সেই হতাহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে দায়ী করে মামলা করা হয় ট্রাইব্যুনালে। যার রায় দেওয়ার কথা ১৩ই
নভেম্বর। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ই জুলাই থেকে ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত ১,৪০০ জন পর্যন্ত নিহত হয়েছে। যদিও রয়টার্সের এই প্রতিবেদনে এই নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় ৫ই আগস্ট পর্যন্ত। প্রকৃতপক্ষে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরবর্তী ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। যা ড. ইউনূসের শাসনামলের দায় বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত। শেখ হাসিনা তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই মামলাগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসাপরায়ণতার বহিঃপ্রকাশ। ক্যাঙ্গারু কোর্টে (প্রহসনের বিচারকার্য) এসব নিয়ে মামলা করার অর্থ হচ্ছে অপরাধী এবং রায় পূর্ব নির্ধারিত। আমাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নোটিশই দেওয়া হয়নি কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি।” বঙ্গবন্ধু কন্যা আশাবাদী, আওয়ামী
লীগ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরবে—সরকারে বা বিরোধী দলে। এ জন্য তার পরিবারের নেতৃত্ব প্রয়োজন নেই। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ গত বছর রয়টার্সকে বলেছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম চাইলে তিনি দলের নেতৃত্ব নিতে পারেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, “এটি আমার বা আমার পরিবারের ব্যাপার নয়। সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় ফিরতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে না।” ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে তাঁর পিতা- বাঙালি জাতির স্বাধীকারের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেস মুজিব, ভাই- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ, ভাইদের স্ত্রী, শিশু ও পরিবার-স্বজনসহ ২৮ জনকে হত্যা করা হয়। যা বিশ্বের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন নৃশংসতা।
সেসময় তিনি ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বিদেশ সফরে ছিলেন। পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তাঁদের দুই বোনকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন এবং তাঁরা দিল্লিতে বসবাস করেন। শেখ হাসিনা ৬ বছর দিল্লিতে থাকার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং আওয়ামী লীগকে পুনঃগঠন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে যান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে দৃঢ়তার সাথে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে। শেখ হাসিনার ওপর বিএনপি, জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী এ পর্যন্ত প্রাণনাশের উদ্দেশে ২১ বার সংঘটিত হামলা চালায়। বারবার দলীয় নেতাকর্মীদের সুরক্ষা বলয়ে তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তবুও তিনি সতর্কতার সাথে জীবনযাপন করেছেন দেশে। গত বছর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্যেই বলেছেন, তারা যদি শেখ হাসিনার দেশত্যাগে বাধা দিতে পারত, তবে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখত। মূলত এসব জানতেন বলেই সামরিক উড়োজাহাজের মাধ্যমে তাঁকে ভারতে নিরাপদে রেখে আসা হয়। কয়েক মাস আগে রয়টার্স সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে দিল্লির লোধি গার্ডেনে হাঁটতে দেখেন, তাঁর সাথে দুজন নিরাপত্তাকর্মী সঙ্গে ছিলেন। তিনি এসময় ভারতীয় সাধারণ নাগরিকদের অভিবাদনের জবাব দেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায়। “আমি দেশে ফিরতে চাই, যদি সেখানে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত বৈধ সরকার থাকে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়,” বলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগে থেকেই সরকারবিরোধী সহিংসতায় এবং ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর চরম প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়। যার ফলে শত শত নেতাকর্মী নিহত হন, কারাগারেও হত্যা করা হয় অনেক নেতাকে।



