রমজানজুড়ে সরব ছিলেন ক্রেতারা – ইউ এস বাংলা নিউজ




রমজানজুড়ে সরব ছিলেন ক্রেতারা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৩৫ 43 ভিউ
রমজানজুড়ে জমজমাট ছিল দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক। প্রথম রমজান থেকে শপিংমলে সরব ছিলেন ক্রেতারা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে শপিংমল থেকে বাহারি পোশাকসহ নানাপণ্য কিনেছেন তারা। মাসজুড়ে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ও বেচাবিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি শপিংমলের বিক্রেতারাও। আগত ক্রেতারা যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা করে ফ্রিজ, স্মার্ট এলইডি টিভি, গুগল টিভি, ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াই ফাই কানেকশন সংবলিত ডিজিটাল ডিসপ্লে, ইলেকট্রিক কেতলিসহ প্রায় ১৩০০ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতার কোটি টাকার এসব পুরস্কার জেতার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে দেশের স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপ। শনিবার যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা যায়, শেষ সময়েও কেনাকাটায়

ব্যস্ত ছিলেন ক্রেতারা। ঈদে বাড়ি ফেরার আগে পছন্দের পোশাক সংগ্রহ করতে দেখা গেছে তাদের। নারী ও শিশুদের পছন্দের পোশাক সংগ্রহ করেছেন তারা। বিশেষ করে গাউন, সারারা, পাকিস্তানি থ্রিপিস, হিল্লি বুটিং, অরগাঞ্জা, কটন নেট, দিল্লি বুটিকস, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ও আগানুরে বেশি নজর ছিল ক্রেতাদের। শিশুদের লেহেঙ্গা, ফ্রক, পার্টি ফ্রক, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, কাবলি, টুপি, কেজুয়াল ফ্রক, ওয়েস্টার্ন ও প্যান্টে ছিল বেশি আকর্ষণ। পছন্দের পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে জুতা, গহনা, কানের দুল, চুড়ি, মালা ও ব্যাগ সংগ্রহ করেছেন তারা। এছাড়া কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল, পারফিউমসহ নানা প্রসাধনী পণ্য সংগ্রহ করেছেন যমুনায় আসা ক্রেতাসাধারণ। অল্প সময়ে ও একই ছাদের নিচে পছন্দের সবকিছু পেয়ে খুশি তারা। শনিবার

ফিউচার পার্কে দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন হাউজ মেট্রো ও হুরের শোরুমে ছিল ক্রেতার ভিড়। মেট্রো ফ্যাশনে এবারের ঈদ ঘিরে নতুনভাবে ১৫-২০ ডিজাইনের পোশাক আনা হয়েছে। এরমধ্যে-সারারা-গারার, বেনারসি থ্রিপিস, লং গাউন, কটি থ্রিপিস, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন টুপিস, কাপ্তান টুপিস, আফগান টুপিস, কটি স্কার্টসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক প্রদর্শন করা হয়েছে। ক্রেতারা এর সবই পছন্দ করছে। রমজানের শুরু থেকেই যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদ কেনাকাটায় কোটি টাকার আকর্ষণীয় পুরস্কার দিয়েছে যমুনা গ্রুপ। এই শপিংমলে কেনাকাটা করে ফ্রিজ, স্মার্ট এলইডি টিভি, গুগল টিভি, ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াই ফাই কানেকশন সংবলিত ডিজিটাল ডিসপ্লে, ইলেকট্রিক কেতলিসহ প্রায় ১৩০০ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ক্রেতারা। শপিংমলের যে কোনো শোরুম থেকে

সর্বনিম্ন ২০০০ টাকার কেনাকাটা করে কোটি টাকার এসব পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তারা। এই ক্যাম্পেইন চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। আগত ক্রেতারা কেনাকাটার পর যেন সহজে উপহার পেতে পারেন- সেজন্য শপিংমলের সেন্টার কোর্টে গিফটের পৃথক বুথ করা হয়েছে। সেখানে থাকা কিউআর কোড ও www.jamunaeid.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পণ্য ক্রয়ের তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা উপহার জিতলে বুথ থেকে তা সংগ্রহ করতে পারছেন। যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা করে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ক্রেতারা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জামায়াত-শিবির এনসিপি প্রতিরোধে গোপালগঞ্জে গৃহবধূ-বৃদ্ধা-কিশোরীরাও রাজপথে এপিসিতে চড়ে গোপালগঞ্জে জনরোষ থেকে পালিয়ে বাঁচলেন এনসিপি নেতারা ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ বৈমানিক নিহত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি পলাতক ৮ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন তদন্ত কমিশনের তিন সদস্য গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে নিহত ২১ ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।