
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
যে শুদ্ধ রাজনীতির বয়ান দেয় জামায়াত-শিবির, তারা কি তা আদৌ ধারণ করে?

এ এস এম শরীফুল হাসান
দুর্নীতিবিরোধী যে শুদ্ধ রাজনীতির বয়ান দিচ্ছে এখন যুদ্ধাপরাধী জামায়াত আর তাদের গুপ্ত সংগঠন ছাত্রশিবির, তারা কি সেটা আসলেই ধারণ করে? আমার উত্তর হচ্ছে না।
হতে পারে জামায়াত-শিবির অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছ্বল একটি সংগঠন। ব্যাংক, হাসপাতাল, ব্যবসা-বাণিজ্যে তাদের অনেক বিনিয়োগ। ইয়ানত তথা বায়তুল মালের নামে শত শত কোটি টাকা আদায় করে, সেই টাকায় দলের খরচ চালায়। দলের সকল সদস্যের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক চাঁদা তোলে, আর চাকরি দিয়ে নিজেরাই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে।
কিন্তু তাই বলে কি তারা সৎ? আবারও আমার উত্তর হচ্ছে- না।
যে দল গুপ্ত রাজনীতি করে, দলীয় আদর্শ ও ব্যক্তিগত মতাদর্শ গোপন করে সাধারণের ভেতরে মিশে যায়, তারা কোনো অবস্থাতেই সৎ
রাজনীতিবিদ না। ৫ই আগস্টের পর তাদের কিছু সদস্য প্রকাশ্যে এলেও বাকিরা এখনও দলীয় পদ-পদবি, পরিচয় গোপন করে সর্বত্র বিরাজমান। জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের সাথে জঙ্গি সংগঠনের “স্লিপার সেল”-এর কোনো পার্থক্য নেই। যে দলের কর্মীরা নিজেদের মতাদর্শ গোপন করে মুমিন সেজে সমাজে দাপুট দেখায়, আপনার প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে দলীয় স্বার্থে সেই তথ্য ব্যবহার করে, তাকে কোন অবস্থাতেই বিশ্বাস করা যায় না। আমি তাদের সৎ রাজনীতিবিদ মনে করি না। তারা নিজ দলকে গ্রহণযোগ্য করতে ইসলামের নাম বিক্রি করে, তারা ব্যক্তির ধর্মীয় মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে নিজেদের রাজনৈতিক দলে টেনে নেয়। বলার চেষ্টা করে- জামায়াতে ইসলামী “আল্লাহর দল”, ইসলামের শরিয়া
মেনে চলা দল, জামায়াত করলে বেহেশতে যেতে পারবে, জামায়াতকে ভোট দেওয়ার অর্থ বেহেশতের একটা স্থান বরাদ্দ পাওয়া, একমাত্র জামায়াতে ইসলামীই ঈমানদারের দল… ইত্যাদি। এসব বলে যারা নিজেদের রাজনৈতিক দলকে ইসলামের সমার্থক করে তুলেছে, তারা কোন অবস্থাতেই সৎ নয়। যে দলের কর্মীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নিজেদের মতামত গোপন করে, পরিস্থিতি অনুকূল পেলে বলার চেষ্টা করে রাজাকার গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, সাঈদিরা ইসলামের বড় বড় আলেম, তাদের শত্রুতা করে মেরে ফেলেছে ইসলামবিরোধীরা, তারা আসলে ফুলের মতো নিষ্পাপ ছিল। যারা এসব বলে, সেই দলের কর্মীরা কোন অবস্থাতেই সৎ নয়। যে দল মুখে নীতি-নৈতিকতার সবক দেয়, সে দলের নেতাকর্মীদেরই বিভিন্ন অনৈতিক ঘটনায় আটক
হতে দেখা যায় অহরহ। চারিত্রিক স্খলন, অসদুপায় অবলম্বন, দুর্নীতি-অনিয়ম, পরকীয়া, সমকামিতা, বলাৎকার, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে হেন কোনো অপকর্ম নেই, যাতে তাদের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার ঘটনা ধরা পড়েনি। তবে যখনই কেউ ধরা পড়ে, তখনই দায়সারাভাবে জানানো হয়, ব্যক্তির দায় দলের নয়। অথচ একই ঘটনা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ক্ষেত্রে ঘটলে পুরো দলের ওপর দায় চাপানো হয়। এমন একটি দ্বিচারী দল এবং তাদের কর্মীদের সৎ বলা যায়? মোটেই নয়। যে দলের কর্মীরা একবিংশ শতাব্দিতে এসে উন্নয়ন-প্রগতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলে অন্যদের, নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন এর বিপরীত মেরুতে; তারা ইসলামী সাম্রাজ্যবাদে বিশ্বাসী, ইসলামকে ব্যবহার করে তারা রাজনীতিতে। অথচ তারা কোনো
অবস্থাতেই শুদ্ধ রাজনীতির ধারক-বাহক নয়। মূল্যবোধহীন যে দলে দেশাত্মবোধের স্থান ধর্মীয় বিশ্বাসের চেয়ে অনেক নিচে, সেই দল কোন আবস্থাতেই সৎ নয়। যে দলের কর্মীরা নিজেদের সন্তানের জন্য যুগোপযোগী শিক্ষা চায়, কিন্তু অন্যের সন্তানের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা চায়, তারা কোন অবস্থাতেই সৎ নয়। সর্বপোরি যে দল আর দলের কর্মীরা আবুল আ’লা মওদুদী’র ভাবাদর্শে পরিচালিত, অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর জনগণকে নিজেদের আজ্ঞাবহ-গোলাম এবং নিকৃষ্ট ভাবে, তারা কোন অবস্থাতেই দেশ ও দশের জন্য মঙ্গলকর কিছু বয়ে আনতে পারে না, তাদের শাসনামলের ইতিহাসও তা সাক্ষ্য দেয়। মানুষ হত্যার নৃশংসতা শেখাতে যারা সাংগঠনিকভাবে প্রশিক্ষণ নেয়, প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে সর্বোচ্চ নৃশংসতা ঘটায়, এমনটা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব নয়। এক
কথায় তারা হচ্ছে মিষ্টি কথা বলা সীমার, যাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ। পরিচিতি: সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
রাজনীতিবিদ না। ৫ই আগস্টের পর তাদের কিছু সদস্য প্রকাশ্যে এলেও বাকিরা এখনও দলীয় পদ-পদবি, পরিচয় গোপন করে সর্বত্র বিরাজমান। জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের সাথে জঙ্গি সংগঠনের “স্লিপার সেল”-এর কোনো পার্থক্য নেই। যে দলের কর্মীরা নিজেদের মতাদর্শ গোপন করে মুমিন সেজে সমাজে দাপুট দেখায়, আপনার প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে দলীয় স্বার্থে সেই তথ্য ব্যবহার করে, তাকে কোন অবস্থাতেই বিশ্বাস করা যায় না। আমি তাদের সৎ রাজনীতিবিদ মনে করি না। তারা নিজ দলকে গ্রহণযোগ্য করতে ইসলামের নাম বিক্রি করে, তারা ব্যক্তির ধর্মীয় মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে নিজেদের রাজনৈতিক দলে টেনে নেয়। বলার চেষ্টা করে- জামায়াতে ইসলামী “আল্লাহর দল”, ইসলামের শরিয়া
মেনে চলা দল, জামায়াত করলে বেহেশতে যেতে পারবে, জামায়াতকে ভোট দেওয়ার অর্থ বেহেশতের একটা স্থান বরাদ্দ পাওয়া, একমাত্র জামায়াতে ইসলামীই ঈমানদারের দল… ইত্যাদি। এসব বলে যারা নিজেদের রাজনৈতিক দলকে ইসলামের সমার্থক করে তুলেছে, তারা কোন অবস্থাতেই সৎ নয়। যে দলের কর্মীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নিজেদের মতামত গোপন করে, পরিস্থিতি অনুকূল পেলে বলার চেষ্টা করে রাজাকার গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, সাঈদিরা ইসলামের বড় বড় আলেম, তাদের শত্রুতা করে মেরে ফেলেছে ইসলামবিরোধীরা, তারা আসলে ফুলের মতো নিষ্পাপ ছিল। যারা এসব বলে, সেই দলের কর্মীরা কোন অবস্থাতেই সৎ নয়। যে দল মুখে নীতি-নৈতিকতার সবক দেয়, সে দলের নেতাকর্মীদেরই বিভিন্ন অনৈতিক ঘটনায় আটক
হতে দেখা যায় অহরহ। চারিত্রিক স্খলন, অসদুপায় অবলম্বন, দুর্নীতি-অনিয়ম, পরকীয়া, সমকামিতা, বলাৎকার, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে হেন কোনো অপকর্ম নেই, যাতে তাদের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার ঘটনা ধরা পড়েনি। তবে যখনই কেউ ধরা পড়ে, তখনই দায়সারাভাবে জানানো হয়, ব্যক্তির দায় দলের নয়। অথচ একই ঘটনা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ক্ষেত্রে ঘটলে পুরো দলের ওপর দায় চাপানো হয়। এমন একটি দ্বিচারী দল এবং তাদের কর্মীদের সৎ বলা যায়? মোটেই নয়। যে দলের কর্মীরা একবিংশ শতাব্দিতে এসে উন্নয়ন-প্রগতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলে অন্যদের, নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন এর বিপরীত মেরুতে; তারা ইসলামী সাম্রাজ্যবাদে বিশ্বাসী, ইসলামকে ব্যবহার করে তারা রাজনীতিতে। অথচ তারা কোনো
অবস্থাতেই শুদ্ধ রাজনীতির ধারক-বাহক নয়। মূল্যবোধহীন যে দলে দেশাত্মবোধের স্থান ধর্মীয় বিশ্বাসের চেয়ে অনেক নিচে, সেই দল কোন আবস্থাতেই সৎ নয়। যে দলের কর্মীরা নিজেদের সন্তানের জন্য যুগোপযোগী শিক্ষা চায়, কিন্তু অন্যের সন্তানের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা চায়, তারা কোন অবস্থাতেই সৎ নয়। সর্বপোরি যে দল আর দলের কর্মীরা আবুল আ’লা মওদুদী’র ভাবাদর্শে পরিচালিত, অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর জনগণকে নিজেদের আজ্ঞাবহ-গোলাম এবং নিকৃষ্ট ভাবে, তারা কোন অবস্থাতেই দেশ ও দশের জন্য মঙ্গলকর কিছু বয়ে আনতে পারে না, তাদের শাসনামলের ইতিহাসও তা সাক্ষ্য দেয়। মানুষ হত্যার নৃশংসতা শেখাতে যারা সাংগঠনিকভাবে প্রশিক্ষণ নেয়, প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে সর্বোচ্চ নৃশংসতা ঘটায়, এমনটা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব নয়। এক
কথায় তারা হচ্ছে মিষ্টি কথা বলা সীমার, যাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ। পরিচিতি: সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী