ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
এনটিসিবি ভবনের সামনে হামলার ঘটনায় মামলা
সীমান্ত ইস্যুতে বিজিবির কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে বিএসএফ
আমরা বেশি দিন নাই, চোরদেরকে আর নির্বাচিত করবেন না: ব্রিগে. শাখাওয়াত
বিজেপির হুমকির আর ১ দিন বাকি, ২০ তারিখ বাংলাদেশে কি ঘটাতে চাইছে ভারত?
সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জুলকারনাইন সায়েরের
এসএসএফ ডিজিকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট বানোয়াট
বায়ুদূষণে বছরে দেশে ১ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু
ভারতের সেনাপ্রধান কর্তৃক বাংলাদেশকে হামলার হুমকির সর্বশেষ যা জানা গেল
সম্প্রতি, ‘বাংলাদেশকে যেকোনো সময় হামলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান’ শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশকে হামলার হুমকি দিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বরং, গত ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার এলে সার্বিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় কিংবা বাংলাদেশি কোনো গণমাধ্যমে ভারতের সেনাপ্রধানের এমন কোনো মন্তব্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে দেশিয় মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো’র অনলাইন সংস্করণে গত ১৩ জানুয়ারি ‘সার্বিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার এলে: ভারতের সেনাপ্রধান’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন
খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেনা দিবস পালনের আগে গত ১৩ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলে পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সার্বিক সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন সে দেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার (কৌশলগত অংশীদার)। কোনো ধরনের শত্রুতা দুই দেশের জন্যই ক্ষতিকর। তাতে কারও স্বার্থ চরিতার্থ হবে না। ভারতের সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী। আমাদের দুই দেশকেই একসঙ্গে বাস করতে হবে। পরস্পরকে জানতে ও বুঝতে হবে। কোনো ধরনের শত্রুতা কারও পক্ষে ভালো নয়।’ তিনি বলেন,
‘দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক একেবারে ঠিক রয়েছে। কিন্তু দুই দেশের সার্বিক সম্পর্কের কথা যদি বলেন তাহলে বলব, নির্বাচিত সরকার এলেই তা স্বাভাবিক হবে।’ বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। গত আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় সর্বদা তাঁরা যোগাযোগের মধ্যে ছিলেন। এমনকি গত ২৪ নভেম্বরও তাঁদের দুজনের মধ্যে ভিডিও মারফত আলোচনা হয়েছে। তাঁরা সব সময় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখেছেন। এখনো সেই যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এছাড়াও, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়টি শুধু পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ভারতের সেনাপ্রধান। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই তা
আবার শুরু হবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ জানুয়ারি ‘নির্বাচিত সরকার এলেই বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে: ভারতের সেনাপ্রধান’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখিত তথ্য থেকেও ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী কর্তৃক বাংলাদেশকে হুমকি প্রদানের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, ভারতীয় গণমাধ্যম The Times of India এর ওয়েবসাইটে গত ১৪ জানুয়ারি ‘Army chief general Upendra Dwivedi says Dhaka strategically’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও এবিষয়ে একই তথ্য জানা যায়। সুতরাং, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশকে যেকোনো সময় হামলার হুমকি দিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেনা দিবস পালনের আগে গত ১৩ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলে পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সার্বিক সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন সে দেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার (কৌশলগত অংশীদার)। কোনো ধরনের শত্রুতা দুই দেশের জন্যই ক্ষতিকর। তাতে কারও স্বার্থ চরিতার্থ হবে না। ভারতের সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী। আমাদের দুই দেশকেই একসঙ্গে বাস করতে হবে। পরস্পরকে জানতে ও বুঝতে হবে। কোনো ধরনের শত্রুতা কারও পক্ষে ভালো নয়।’ তিনি বলেন,
‘দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক একেবারে ঠিক রয়েছে। কিন্তু দুই দেশের সার্বিক সম্পর্কের কথা যদি বলেন তাহলে বলব, নির্বাচিত সরকার এলেই তা স্বাভাবিক হবে।’ বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। গত আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় সর্বদা তাঁরা যোগাযোগের মধ্যে ছিলেন। এমনকি গত ২৪ নভেম্বরও তাঁদের দুজনের মধ্যে ভিডিও মারফত আলোচনা হয়েছে। তাঁরা সব সময় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখেছেন। এখনো সেই যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এছাড়াও, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়টি শুধু পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ভারতের সেনাপ্রধান। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই তা
আবার শুরু হবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ জানুয়ারি ‘নির্বাচিত সরকার এলেই বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে: ভারতের সেনাপ্রধান’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখিত তথ্য থেকেও ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী কর্তৃক বাংলাদেশকে হুমকি প্রদানের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, ভারতীয় গণমাধ্যম The Times of India এর ওয়েবসাইটে গত ১৪ জানুয়ারি ‘Army chief general Upendra Dwivedi says Dhaka strategically’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও এবিষয়ে একই তথ্য জানা যায়। সুতরাং, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশকে যেকোনো সময় হামলার হুমকি দিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।