বুদ্ধের শিক্ষা ও বিশ্বমানবতা – U.S. Bangla News




বুদ্ধের শিক্ষা ও বিশ্বমানবতা

ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স:-
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৩ | ১১:১৭
আজ মহান বুদ্ধপূর্ণিমা। দিনটি মানব বিশ্বের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ও বরণীয় দিন। বৌদ্ধ বিশ্বে আজ থেকে ২৫৬৭ বুদ্ধবর্ষ শুরু হলো। দিনটি বিশ্বমানবতার জন্যও এক মহান তিথি। ৬২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কপিলাবাস্তুর লুম্বীনি উদ্যানে এমনই এক শুভ তিথিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়। ৫৮৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন গয়ার বোধিবৃক্ষ মূলে এবং ৫৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন কুশিনগরের মল্লদের শালবনে। বুদ্ধজীবনের এ তিনটি বিশেষ ঘটনা বুদ্ধপূর্ণিমার বিশেষত্ব বহন করে। বুদ্ধপূর্ণিমা শুধু কোনো জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় কিংবা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয়, এটি সমগ্র বিশ্বের মুক্তিকামী ও মানবতাবাদী সব মানুষের জন্য। তাই জাতিসংঘও এ মহান বুদ্ধপূর্ণিমাকে গুরুত্ব দিয়েছে অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে। সুতরাং আজ বিশ্ববাসীসহ বাংলাদেশের

বৌদ্ধরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ মহান তিথি পালন করতে যাচ্ছে। বুদ্ধের জন্ম ও ধর্ম প্রচারের মধ্য দিয়েই পৃথিবীর বুকে এমন একটি সর্বজনীন ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার বাণী ছিল আদিতে কল্যাণ, মধ্যে কল্যাণ এবং অন্তে কল্যাণ; যা সম্পূর্ণ অহিংস ও মানবতাবাদী। সর্ব জীব ও সর্ব মানুষের সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধর্ম। অতএব, বিশ্বের সব জীবের মুক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এ ধর্মে এবং সব মানুষের মানবিক মূল্যবোধ ও অধিকারের সুযোগও দেওয়া হয়েছে। এ জন্যই মহামানব বুদ্ধের বাণীগুলো চিরন্তন, শাশ্বত এবং মানবিক আবেদনে পরিপূর্ণ। গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা হলো বিশ্ব মানবতার এবং ইহজাগতিক পারমার্থিক জীবনের। বৌদ্ধমতে, শীল সমাধি প্রজ্ঞাময় জীবনের মধ্য দিয়েই একজন

মানুষের সর্বোত্তম জীবন গড়ে ওঠে, যেখানে তিনি হন সত্য, সুন্দর ও নীতিবান এবং মানবজীবনের সর্বোচ্চ দুঃখ মুক্তিমার্গ লাভ করতে সক্ষম হন। তাই শীল সমাধি প্রজ্ঞা সাধনাই বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান ব্রত। অন্যদিকে মানুষের নৈতিক ও চারিত্রিক সাধনার বিষয়টিকে বৌদ্ধ ধর্ম বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। বৌদ্ধমতে, শীলময় জীবন, সমাধি এবং প্রজ্ঞাময় জীবনই মানুষকে সৎ পথে পরিচালিত করে এবং বিশ্ব মানবতাকে আলোকিত করতে পারে। তাই বৌদ্ধশাস্ত্র বলে, যে মানুষ যত বেশি শীলাচারণসম্পন্ন, সমাধিপরায়ণ ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন, তিনি তত বেশি জীবনে সুখী, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসবাস করতে পারেন এবং বিশ্ব মানবতার সেবা দিতে পারেন। তাই বৌদ্ধ জীবন পদ্ধতিতে এবং বৌদ্ধ মানস গঠনের লক্ষ্যে প্রথমে পঞ্চশীল বা

পঞ্চনীতির কথা বলা হয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তি তার জীবনের প্রথম থেকেই এই সৎগুণ চর্চার মাধ্যমে তার জীবনকে আদর্শায়িত করতে পারেন। এ পঞ্চনীতিতে ব্যক্তি শুধু নিজেই যে নীতিপরায়ণ হয় তা নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের অন্যকেও নীতিবোধে উদ্বুদ্ধ করে। এ জন্যই আমাদের ব্যবহারিক জীবনের সব পর্যায়ে বৌদ্ধ পঞ্চনীতির শিক্ষা সার্থকভাবে অনুশীলন করা উচিত। বৌদ্ধ পঞ্চনীতিতে বলা হচ্ছে-১. কোনো ধরনের প্রাণীকে বধ কিংবা আঘাত না করা, ২. কোনো ধরনের চৌর্যবৃত্তি না করা, ৩. কোনো ধরনের কামাচার কিংবা অবৈধ ব্যভিচার না করা, ৪. কোনো ধরনের মিথ্যা না বলা এবং সর্বশেষ ৫. কোনো ধরনের নেশা বা মাদকদ্রব্য সেবন না করা। এখন নিজকে প্রশ্ন করুন, এ

নীতিগুলো যদি আমি এবং আমরা সবাই পালন করি, তাহলে কখনো কি আমরা অন্যের ক্ষতির কারণ হতে পারি? আমরা কি কখনো জীবনে সহিংসতা, যুদ্ধ কিংবা কোনো ধরনের আঘাত বা সংঘাত করতে পারি? আমরা কি পারি অনৈতিক, অসামাজিক ও অমানবিক কাজ করতে? শীল পালনের গুরুত্বকে তাই বুদ্ধ সবিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। জীবনের সব ক্ষেত্রে এ পাঁচটি নীতি অনুশীলন করলে ‘শ্রেষ্ঠ জীবন’ গঠন করা যায়-যেখানে কোনো ধরনের পাপাচার ও অকল্যাণ থাকবে না। আবার সৎ জীবন গঠন ও সৎ জীবন পরিচালনার জন্য বৌদ্ধ ধর্মে আটটি বিশুদ্ধ পথের কথা বলা হয়েছে, যাকে বৌদ্ধ পরিভাষায় বলা হয় ‘আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ’; যেমন-সৎ দৃষ্টি, সৎ বাক্য, সৎ কর্ম, সৎ জীবিকা,

সৎ সংকল্প, সৎ প্রচেষ্টা, সৎ স্মৃতি এবং সৎ সমাধি। এগুলো ব্যক্তির ব্যবহারিক ও পারিবারিক জীবনে যেমন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তেমনি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও এর প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক। এর প্রতিটি নীতি দিয়েই যদি আমাদের জীবন গঠন করা যায়, তাহলে আমরা কখনো পারি না সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা বিশ্বের কোনো ধরনের ক্ষতি বা সংঘাত সৃষ্টি করতে। বৌদ্ধ মতে, সামাজিক অস্থিরতা ও অসাম্য কখনো সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে পারে না। মানুষ সততার সঙ্গে চেষ্টা করলে তা দূর করতে পারে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান তৈরি করতে পারে। হিংসার ব্যবহারে প্রতিহিংসা ও সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর অবস্থা

তৈরি হয়, যা পরে ধংসাত্মক যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্ম দেয়। তাই বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্ম জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অহিংসা ও বিশ্ব মানবতার কথা বলেছেন। বৌদ্ধ মতে ‘আত্মশক্তি’ জীবনের এক পরম সম্পদ। মানবজীবনে এ শক্তি উদ্বোধনের জন্য প্রত্যেক মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মানে ভূষিত করেছে। মানুষ হিসাবে আমি যেমন শ্রেষ্ঠ, আত্মশক্তিতেও আমি শ্রেষ্ঠ। সুতরাং আমি যদি উত্তম হই, সর্বশ্রেষ্ঠ হই, তাহলে আমার প্রতিটি কর্ম ও চিন্তাও হবে উত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ। কারণ উত্তম মানুষ কখনো অধম কাজ করতে পারে না। শাস্ত্র বলছে, ‘হীনধম্ম ন সেবেয়্য, পমাদেন ন সংবসে, মিচ্ছাদিটইঠং ন সেবেয্য ন সিয়া লোকবন্ধনো।’ অর্থাৎ কখনো হীন আচরণ করো না, প্রমত্ত হয়োনা। এ জন্য ধর্মপদে বলা হয়েছে

‘কায়িক সংযম সাধুকর, বাচনিক সংযম সাধুকর, আর মানসিক সংযম সাধুকর; যিনি ত্রিবিধ দ্বারে সংযত তিনিই সর্বোত্তম সাধুকর।’ কী অসাধারণ বাণী বৌদ্ধ ধর্মের! এগুলো নিয়ে চিন্তা করলে সমাজের প্রত্যেক মানুষ হবে সৎ, সুন্দর ও নীতিবান। নীতিবান জীবনই একজন ব্যক্তির আদর্শ জীবন ও মহৎ জীবন। তাই বুদ্ধ বলেছেন, মন সব ধর্মের ঊর্ধ্বে। প্রদুষ্ট মনে কেউ যদি কিছু বলে বা করে তখন দুঃখের উৎপত্তি হয়, আর ভালো মনে কিছু বললে বা করলে সুখ ছায়ার মতো তার অনুগামী হয়। ‘ধর্ম’ হলো মানবজাতির সামগ্রিক কল্যাণের জন্য একটি উপাদানবিশেষ, যেখানে মানুষের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ, মঙ্গল ও সুখ-শান্তি বিদ্যমান। ধর্ম মানুষের নীতিবোধ ও আদর্শকে গড়ে তোলে। এ জন্যই ধর্মের

সঙ্গে ব্যক্তির, পরিবার ও সমাজের সম্পর্ক গভীর ও অবিচ্ছেদ্য। সুতরাং যেসব কর্মে ন্যায়-নীতি বা সদাচার থাকবে, তাকে বলা হয় সধর্ম। আর যেসব কর্মে এ গুণাবলির অভাব সেটি হলো ‘অধর্ম’। অতএব, মানুষ যদি জীবনাচরণে, কর্মে ও চিন্তায় এবং জ্ঞান ও মননশীলতায় বড় না হয়, তাহলে সে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে না। এ জন্যই বৌদ্ধ ধর্মে শীলাচার জীবন এবং নৈতিকতার কথা বারবার বলা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্ম শুধু আধ্যাত্ম সাধনার জন্য মুক্তি বা নির্বাণ লাভের কথা বলেনি, বরং এতে জীবনের সব ক্ষেত্রে মন্দ বা অসৎ প্রবণতা থেকে মুক্তি এবং জীবনের সব কার্যকলাপে সৎ, নির্লোভ, নির্মোহ এবং বিত্ত-বৈভবে অনাসক্ত ও তৃষ্ণাবিমুক্ত নির্বাণ লাভের কথা বলা হয়েছে। মহামতি গৌতম বুদ্ধ শুধু জীবনের অনিত্যতা, জীবনের দুঃখ-দুর্দশা এবং পারমার্থিক জীবনদর্শন নিয়ে ভাবেননি, তিনি ভেবেছিলেন ব্যক্তিগত, সমাজ বা রাষ্ট্রীয় জীবনদর্শন নিয়ে, যা আমাদের প্রত্যেক মানুষের জন্য আজ অত্যন্ত অপরিহার্য। এমনকি ইহজাগতিক মানবতার সামগ্রিক কল্যাণের জন্যও। এ জন্যই বুদ্ধ তার নবধর্ম প্রচারের প্রথম বাণীতেই পঞ্চবর্গীয় ভিক্ষুদের নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন-‘হে ভিক্ষুগণ! তোমরা বহুজনের হিত ও বহুজনের সুখের জন্য এবং সামগ্রিক কল্যাণের জন্যই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ো।’ তাই তো আমরা দেখি গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা ছিল সম্পূর্ণ মানবিক, মনুষ্যবোধের এবং কুশলকর্মে উৎসাহব্যঞ্জক। এ শিক্ষা আলোকিত হৃদয় বৃত্তির শিক্ষা এবং শীল, সমাধি, প্রজ্ঞা সম্প্রযুক্ত বৌদ্ধ মানবতার শিক্ষা। এ শিক্ষাতে কারও কোনো একক অধিকার নেই, নেই কোনো প্রকার বৈষম্য; আছে সবার সমঅধিকার। এ জন্যই বুদ্ধ বলেছেন, ‘ন জটাহি ন গোত্তেন ন জচ্চা হোতি ব্রাহ্মণো,/যম্হি সচ্চঞ্চ ধম্মো চ সো সুচি-সো চ ব্রাহ্মণো।’ অর্থাৎ জন্ম বা জাতির দ্বারা কেহ ব্রাহ্মণ-অব্রাহ্মণ হয় না, কর্মের দ্বারাই ব্রাহ্মণ-অব্রাহ্মণ হয়। আচার-অনুষ্ঠান ও শীল পালনের দ্বারাই প্রকৃত ব্রাহ্মণ হয়। বুদ্ধ মঙ্গলসূত্রে ৩৮ প্রকার মঙ্গলবিষয়ক শিক্ষার কথা বলেছেন, যা ব্যবহারিক ও পারমার্থিক। যেমন-বিনয়ে সুশিক্ষিত হওয়া, সত্য ও সুভাষিত বাক্য ভাষণ করা এবং সৎ লোকের সংশ্রব এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন গঠন করা। বুদ্ধের মতে, এ শিক্ষাগুলো সবাই ধারণ ও গ্রহণ করতে পারে এবং এগুলো সর্বজনীন শিক্ষার অধিকার। তাই ধর্মপদে ব্যক্ত হয়েছে-‘সব্ব পাপস্স অকারণং, কুসলস্স উপসম্পদা/সচিত্ত পরিযোদপনং, এতং বুদ্ধানুসাসনং॥’ অর্থাৎ সব রকম পাপ থেকে বিরত থাকা, সদা কুশলকর্ম সম্পাদন করা, স্বীয় চিত্তকে পরিশুদ্ধ করা-এটিই বুদ্ধের অনুশাসন। চলুন আমরা এই শিক্ষানীতি ও দর্শনকে অনুধাবন করি। মহান বুদ্ধ পূর্ণিমা সর্বজীবের কল্যাণ বয়ে আনুক। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, বন্ধ হোক সব রকম যুদ্ধ ও সহিংসতা। সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্তু-জগতের সকল জীব সুখী হোক। ভবতু সব্ব মঙ্গলং-সকলেই মঙ্গল লাভ করুক। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হোক। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক। ড. সুকোমল বড়ুয়া : সুপারনিউম্যারারি প্রফেসর, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সভাপতি, বিশ্ব বৌদ্ধ ফেডারেশন-বাংলাদেশ চ্যাপ্টার
ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করুন: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী তীব্র দাবদাহে গাজায় মহামারির শঙ্কা ইউক্রেনকে ৫৫০ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে সুইজারল্যান্ড বছরে একটি বিসিএস সম্পন্ন করার পরিকল্পনা পিএসসির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ট্রাম্পের বিচার নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বিভক্তি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা না বলতে ইমরান খানকে নির্দেশ বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মাদকপাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা ৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা ‘উপজেলা নির্বাচনও দেশের জনগণ বর্জন করবে’ টাঙ্গাইল শাড়ি ও পোড়াবাড়ির চমচমের জিআইপণ্য সনদ পেল চীন সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যা বললেন শি জিনপিং ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র জমা দেবে হামাস ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্দশা, সমাধানে সরকারের সদিচ্ছা দেখাতে হবে’ দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: জয়নুল আবদিন আরও ৭৩ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আরও বাড়তে পারে গাজায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর মৃত্যু