বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘গুপ্তচর ক্যামেরা’ বানিয়ে সাড়া ফেলল চীন – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
     ৮:৫০ অপরাহ্ণ

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘গুপ্তচর ক্যামেরা’ বানিয়ে সাড়া ফেলল চীন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৮:৫০ 112 ভিউ
চীনের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি অপটিক্যাল ইমেজিং প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন। অত্যন্ত শক্তিশালী এক লেজার ক্যামেরার মাধ্যমে তারা নজরদারি তথা গুপ্তচরবৃত্তির বৈশ্বিক মানকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চলেছেন। এই প্রযুক্তি বেইজিংকে বিদেশি সামরিক উপগ্রহগুলোর কার্যক্রম নজরদারির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন সুবিধা দিতে পারে। এমনকি নিম্ন-কক্ষপথ (low-Earth orbit) থেকে মানবমুখের মতো সূক্ষ্ম বিশদও শনাক্ত করতে পারে। চীনা অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের অ্যারোস্পেস ইনফরমেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক অতি সম্প্রতি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূর থেকে মিলিমিটার-পর্যায়ের স্পষ্ট ছবি ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। যা এতদিন পর্যন্ত অসম্ভব বলে মনে করা হতো। এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি চাইনিজ জার্নাল অব লেজারস-এ একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষাটি কিভাবে পরিচালিত হয়? বিজ্ঞানীরা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিংহাই

লেক এলাকায় পরীক্ষাটি পরিচালনা করেন। লেকের উত্তর তীরে একটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার লাইডার সিস্টেম স্থাপন করা হয়, যা লেজার-ভিত্তিক চিত্রগ্রহণের একটি উন্নততর পদ্ধতি। ডিভাইসটি ১০১.৮ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত প্রতিফলিত প্রিজমের সারিকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে চিত্র সংগ্রহ করে। আদর্শ আবহাওয়ার (পরিষ্কার আকাশ, কম বাতাস) কারণে ডিভাইসটি নিখুঁতভাবে ১.৭ মিলিমিটার (১/১৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত সূক্ষ্ম বিশদ ধরতে সক্ষম হয়। এটি দূরত্ব পরিমাপেও অত্যন্ত নিখুঁত—শুধুমাত্র ১৫.৬ মিলিমিটারের পার্থক্য দেখা গেছে, যা বর্তমান গুপ্তচর ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের তুলনায় ১০০ গুণ উন্নত। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কী কী? গবেষকরা একাধিক অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন— বর্ধিত অপটিক্যাল অ্যাপারচার: ৪×৪ মাইক্রো-লেন্স গ্রিড ব্যবহার করে লেজার বিমের বিস্তার বাড়ানো হয়েছে। এতে অপটিক্যাল অ্যাপারচার ১৭.২ মিমি থেকে ৬৮.৮

মিমিতে উন্নীত হয়, যা সাধারণত অ্যাপারচার ও দৃষ্টিক্ষেত্রের মধ্যে বিরাজমান সীমাবদ্ধতা দূর করে। উন্নত লেজার সংকেত: চওড়া ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড (১০ গিগাহার্টজ-এর বেশি) ব্যবহার করে সূক্ষ্ম রেঞ্জ রেজল্যুশন অর্জন করা হয়েছে। সংকীর্ণ রঙের স্পেকট্রামে লেজার রশ্মি ধরে রেখে আড়াআড়ি বিশদ আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। শব্দ কমানোর জন্য উন্নত অ্যালগরিদম: বিশেষ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে অপটিক্যাল শব্দ কমিয়ে আনা হয়েছে ১০,০০০ গুণ, ফলে দূরবর্তী বস্তুর খুব ক্ষীণ সংকেতও ধরা সম্ভব হয়েছে। অত্যন্ত শক্তিশালী লেজার: প্রচলিত লাইডার সিস্টেমের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ১০৩ ওয়াটের লেজার ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিশাল পরিমাণ ডেটা দ্রুত প্রসেস করতে পারে। এই প্রযুক্তির সামরিক গুরুত্ব কতটা? বেইজিং-ভিত্তিক একজন ইমেজিং বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ‘এটি শুধু স্যাটেলাইটই নজরদারী করবে

না—এর সিরিয়াল নম্বরও পড়তে পারবে!’ এতো উচ্চ রেজল্যুশনে—উপগ্রহের ক্ষুদ্র ক্ষয়ক্ষতি (যেমন- মাইক্রোমিটিওরয়েডের আঘাত) শনাক্ত করা যাবে। উপগ্রহের সেন্সর ও পেলোড (সজ্জিত যন্ত্রাংশ) চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এই প্রযুক্তি মাইক্রোওয়েভ-ভিত্তিক সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডারের নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হলেও, অপটিক্যাল তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কাজ করার কারণে এটি অনেক বেশি স্বচ্ছ ছবি তুলতে সক্ষম। এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রযুক্তির সবচেয়ে উন্নত নজির ছিল— ২০১১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার লকহিড মার্টিন মাত্র ১.৬ কিলোমিটার দূর থেকে ২ সেন্টিমিটার রেজল্যুশন অর্জন করেছিল। পরে চীনের বিজ্ঞানীরা ৬.৯ কিলোমিটার দূর থেকে ৫ সেন্টিমিটার রেজল্যুশন অর্জন করতে সক্ষম হন। এবার চীনা গবেষকরা ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে মিলিমিটার-পর্যায়ের রেজল্যুশন অর্জন করেছেন, যা একটি বিশাল

সাফল্য। প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা কী কী? তবে, বাস্তব পরিস্থিতিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে— আবহাওয়ার ওপর নির্ভরতা: লেজার ইমেজিংয়ের গুণমান নির্ভর করে আবহাওয়ার স্বচ্ছতা, মেঘের উপস্থিতি ও বাতাসের গতির ওপর। গতিশীল লক্ষ্যের ক্ষেত্রে জটিলতা: চলমান লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করার জন্য অত্যন্ত নিখুঁত যান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রয়োজন, যা তৈরি করা সহজ নয়। এই নতুন লেজার-ভিত্তিক গুপ্তচর ক্যামেরা চীনকে নজরদারি প্রযুক্তির শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সামরিক পর্যায়ে এটি বিপ্লব ঘটাতে পারে—বিদেশি উপগ্রহের ক্ষুদ্রতম বিবরণ শনাক্ত করা, স্যাটেলাইটের সেন্সর চিহ্নিত করা, এমনকি মহাকাশযানের ক্ষতি নির্ধারণ করার মতো কাজেও এটি ব্যবহৃত হতে পারে। তবে বাস্তবিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও লক্ষ্যের গতি সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সূত্র: সাউথ

চায়না মর্নিং পোস্ট

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি যুবদল কর্মীদের, প্রতিবাদ করায় প্রবাসীকে পিটুনি মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণে নেই বরাদ্দ, দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারদের ঘাড়ে চাপালেন এমডি নিরাপত্তাহীনতার কারণে একে একে বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ, আরও অসংখ্য কারখানা বন্ধের শঙ্কা ট্রাম্পের নির্দেশ: নাইজেরিয়ায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক প্রস্তুতির আহ্বান রাজনৈতিক কৌশলে পরাজিত বিএনপি কি জামায়াতকে নিষিদ্ধের পথে হাঁটবে! প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে পদোন্নতির নামে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোরামপ্রীতি: বঞ্চিত ৮৭৯ চিকিৎসক দেশে হিন্দু ৩ কোটি হলেও বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মাত্র ২ জন, বাদ পড়লেন অনেক হিন্দু নেতা বিএনপির নয়নকে ‘বুড়িগঙ্গার পানি’ দিয়ে ধোয়ার মন্তব্যে ঝড়, এনসিপির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে? মহিলা পরিষদ: অক্টোবরে ২৩১ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন-সহিংসতার শিকার জেলহত্যা দিবস: শেখ হাসিনার বাণীতে কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা তুলসি গ্যাবার্ডের ঘোষনা ‘ওয়াশিংটনের পুরানো রেজিম চেঞ্জের যুগ শেষ’ অপসো স্যালাইনের প্রায় ৬শ শ্রমিক ছাঁটাই: পোশাক খাতের পর খড়গ এবার ওষুধ শিল্পের ওপর বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের বিবৃতি ১ কোটি টাকায় বিক্রি হতে পারে সরকারি চাকরি: নতুন প্রশ্ন ফাঁস সিন্ডিকেটের উত্থানে তীব্র উদ্বেগ, প্রতিবাদে নামার আহ্বান হাসান জাহিদের প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে সরকারকে কড়া সমালোচনা, যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ন্যায্যতার দাবি মালয়েশিয়ায় কর্মী রফতানিতে চরম ধস: শেখ হাসিনার আমলে ৩.৫ লাখের বিপরীতে ইউনুসের সময়ে গেলেন মাত্র ২,৬৭০ জন পর্দার আড়ালে দরকষাকষি: শর্ত নতুন সংবিধান প্রণয়ন জাতীয় চার নেতার অবদান ও জেলহত্যা দিবস নিয়ে স্মৃতিচারণ বিটিএমএ সভাপতি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল উন্মাদের মতো কথা বলেন