
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

১০৪ সদস্যের লটবহর নিয়ে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক সফর: জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ করে প্রাপ্তিযোগ কী?

দেশে থেমে গেছে বিনিয়োগ: সংকোচন, স্থবিরতা ও অনিশ্চয়তার দুষ্টচক্রে অর্থনীতি

জেএফকের মতোই ড. ইউনুস একদিন সঙ্গীদের ছেড়ে দেশ থেকে পালাবেন!

আন্তর্জাতিক অপশক্তির সাথে সম্পৃক্ত শিশু বক্তার দম্ভোক্তি: আমরা এখন আর আঞ্চলিক খেলোয়াড় না

বন্ধ হচ্ছে সিইপিজেডের কারখানাগুলো: সংকট ধামাচাপায় সংবাদ প্রকাশে বাধা দিলেও দাবিয়ে রাখা যায়নি শ্রমিকদের

অপহরণসহ সকল অপরাধ বেড়েছে কয়েক গুণ: ইউনূস-আমলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি

বিগ চেঞ্জ পদক পেয়ে ড. ইউনূস: মানুষের সব সমস্যার সমাধান ব্যবসায়িক উপায়ে করা সম্ভব
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটনাবহুল হতে চলেছে সদ্য শুরু হওয়া ফেব্রুয়ারি!

দেশের রাজনীতির মাঠে বেশ বড় বদল আসতে চলেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের সামনে রেখে সব দলগুলো মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বেশিরভাগ দলেরই একই কথা। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চায় তারা।
এরই মধ্যে ছাত্রদের নতুন দল গড়ার গুঞ্জন আগুনে ঘি ঢেলেছে। সব মিলিয়ে বেশ ঘটনাবহুল হতে চলেছে সদ্য শুরু হওয়া ফেব্রুয়ারি।জানা গেছে, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েই ফেব্রুয়ারিতে রাজনীতির মাঠ বেশ উত্তপ্ত থাকতে পারে। রাজনীতির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, নতুন দল গঠন করা হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে দু পক্ষের শক্তিগুলোও সক্রিয় হলে রাজপথে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। ফলে রাজনৈতিক নানা ঘটনার কারণে ফেব্রুয়ারি মাস
খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও মধ্য ফেব্রুয়ারিতে কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঘোষণা না দিলেও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে মাঠে থাকবে জামায়াত। প্রধান তিন রাজনৈতিক শক্তির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল হবার কথা রয়েছে এই মাসে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বিএনপি জামায়াতের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধীরাও রাজপথে তাদের মোকাবেলা করবে। তবে বিএনপি মাঠে নামলে সেটি রাজপথে উত্যক্ত করবে তা বলা যায়। আর বৈষম্য বিরোধী রাজনৈতিক দল গঠন
নিয়ে এরই মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি অবশ্য আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অতটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। নতুন দল গঠনের বিষয়েও তাঁরা তেমন চিন্তিত নয়৷ তবে এই দল গঠনে সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে এমন ধারণা থেকে আপত্তি জানাচ্ছে দলটি। জামায়াত আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি না দিলেও তারা শুক্রবারও জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর বাইরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে খুবই সক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা৷ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবিতে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি লিফলেট ও প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি
অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে পৃথক কোনও কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি বিএনপি। এই ইস্যুতে ঘোষণা দিয়ে কোনও কর্মসূচি পালনের পক্ষেও নয় তাঁরা। দলের নেতারা মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের কোনো গুরুত্ব নেই। তাদের ঠেকাতে কর্মসূচি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ানো এবং ইস্যু তৈরি করার কোনও মানে হয় না। যদিও বিএনপির প্রধান সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মসূচি দেবে। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় থেকে পাড়া
মহল্লায় এক ধরনের পাহারায় থাকবে। এর প্রভাব পড়বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। তাঁরা কেউ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে সাহস পাবে না বলে মনে করেন দলের নেতা কর্মীরা। ফেব্রুয়ারির রঝামাঝিতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে বেশ সক্রিয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি।সংগঠনের নেতারা চাচ্ছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন দলের নাম ও আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে। জানা গেছে দলের নেতৃত্বে কারা আসবেন সেটিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।নতুন দল গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন সমন্বয়ক বলেন, দলের নাম চূড়ান্তকরণ, গঠনতন্ত্র প্রণয়নসহ বেশ কিছু কাজ চলছে। দল গঠনের বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হচ্ছে৷ প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। অবশ্য এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি কে আহ্বায়ক এবং আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়। তখন থেকেই ছাত্রদের নতুন দল গঠন করার বিষয়ে নানা আলাপ আলোচনা শুরু হয়। এখন এটিকে দলীয় কাঠামো তে রূপান্তর করার চেষ্টা চলছে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও মধ্য ফেব্রুয়ারিতে কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঘোষণা না দিলেও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে মাঠে থাকবে জামায়াত। প্রধান তিন রাজনৈতিক শক্তির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল হবার কথা রয়েছে এই মাসে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বিএনপি জামায়াতের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধীরাও রাজপথে তাদের মোকাবেলা করবে। তবে বিএনপি মাঠে নামলে সেটি রাজপথে উত্যক্ত করবে তা বলা যায়। আর বৈষম্য বিরোধী রাজনৈতিক দল গঠন
নিয়ে এরই মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি অবশ্য আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অতটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। নতুন দল গঠনের বিষয়েও তাঁরা তেমন চিন্তিত নয়৷ তবে এই দল গঠনে সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে এমন ধারণা থেকে আপত্তি জানাচ্ছে দলটি। জামায়াত আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি না দিলেও তারা শুক্রবারও জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর বাইরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে খুবই সক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা৷ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবিতে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি লিফলেট ও প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি
অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে পৃথক কোনও কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি বিএনপি। এই ইস্যুতে ঘোষণা দিয়ে কোনও কর্মসূচি পালনের পক্ষেও নয় তাঁরা। দলের নেতারা মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের কোনো গুরুত্ব নেই। তাদের ঠেকাতে কর্মসূচি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ানো এবং ইস্যু তৈরি করার কোনও মানে হয় না। যদিও বিএনপির প্রধান সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মসূচি দেবে। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় থেকে পাড়া
মহল্লায় এক ধরনের পাহারায় থাকবে। এর প্রভাব পড়বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। তাঁরা কেউ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে সাহস পাবে না বলে মনে করেন দলের নেতা কর্মীরা। ফেব্রুয়ারির রঝামাঝিতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে বেশ সক্রিয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি।সংগঠনের নেতারা চাচ্ছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন দলের নাম ও আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে। জানা গেছে দলের নেতৃত্বে কারা আসবেন সেটিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।নতুন দল গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন সমন্বয়ক বলেন, দলের নাম চূড়ান্তকরণ, গঠনতন্ত্র প্রণয়নসহ বেশ কিছু কাজ চলছে। দল গঠনের বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হচ্ছে৷ প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। অবশ্য এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি কে আহ্বায়ক এবং আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়। তখন থেকেই ছাত্রদের নতুন দল গঠন করার বিষয়ে নানা আলাপ আলোচনা শুরু হয়। এখন এটিকে দলীয় কাঠামো তে রূপান্তর করার চেষ্টা চলছে।