
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে

ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়-কালবৈশাখী ঝড়

বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

ঢাকাসহ যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে

তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়
বজ্রপাতে নিরাপদ নয় ছাতা-রাবারের জুতা

সারা দেশে সাম্প্রতিক বজ্রপাতে দৈনিক গড়ে ১৫-১৬ জন মারা গেছেন। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে প্রতিবছর ৩ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হলেও হঠাৎ এ সংখ্যা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্টদের। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সচেতনতা ও সাবধানতাই বজ্রপাতে মৃত্যু কমানোর অন্যতম পন্থা। মে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি বজ্রপ্রবণ মাস। এই সময়ে গড়ে ১৩ দিন বজ ঝড় হয়। আরও থাকে দমকা বাতাস ও শিলাবৃষ্টি।
এ সময়ে আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বজ্রপাতের বিষয়ে কিছু ভুল ধারণারও পরিবর্তন দরকার। বজ্রপাতের সময় ছাতা ব্যবহার বা রাবারের জুতা পরলে রক্ষা পাওয়া সম্ভব-এমন ধারণা সঠিক নয়। এ সময় কংক্রিটের মেঝেতে শুয়ে থাকা বা দেওয়ালে হেলান দেওয়াও অনিরাপদ।
দেশে মার্চ-মে পর্যন্ত ৩৮
শতাংশ বজ ঝড় হয়ে থাকে। অন্যদিকে জুন-সেপ্টেম্বর সময়ে ৫১ শতাংশ বজ ঝড় হয়। তবে তাণ্ডব, ধ্বংস এবং বজ্রপাতজনিত মৃত্যুর হারের দিক থেকে মার্চ-মে সবচেয়ে ভয়াবহ। তখন স্বল্প সময়ে ভারি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে; থাকে দমকা বাতাস ও ঝড়ো হাওয়া। পাশাপাশি কখনো কখনো থাকে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই দেশে বজ ঝড় হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জলীয় বাষ্প সংবলিত বাতাস বাংলাদেশে প্রবেশ করে। চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে এইসব বাতাস পাহাড়ের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে উপরে উঠে যায়। তাতে তাপমাত্রা কমে যায়। আর পশ্চিম-উত্তর দিক থেকে যে বাতাস আসে তা উষ্ণ ও আর্দ্র। উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাসের সঙ্গে উপরে শুষ্ক ও ঠান্ডা বাতাসের
মিশ্রণ ঘটে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, ঢাঙ্গাইল, পাবনা, রংপুর, রাজশাহী এসব এলাকায় ব্যাপক বজ মেঘ তৈরি হয় এবং বজ্রপাত সংঘটিত হয়। বাংলাদেশে বায়ুর দূষণও বেশি। বাতাসে সালফেট কণা বা দূষিত কণা বেড়ে গেলে তা বজ মেঘ তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ফলে পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বাষ্পায়নের হার বৃদ্ধি, পূবালি বাতাসের ঊর্ধ্বগমন এবং পশ্চিম-উত্তর থেকে আসা ঠান্ডা ও উষ্ণ বাতাসের সম্মিলিত প্রয়াসে বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে তাণ্ডব চালায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর ১ এপ্রিল থেকে বজ্রপাতের সতর্কবার্তা দেওয়া শুরু করেছে। এতে কোনো কোনো এলাকায় বজ ঝড় সংঘটিত হবে বা হতে পারে সেই জেলা বা এলাকাগুলোর নাম দেওয়া হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ
কত থাকবে এর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হবে কি হবে না ইত্যাদি তথ্যও থাকছে এতে। বজ ঝড়, শিলাবৃষ্টি, বাতাসের গতিবেগ ও বজ্রপাত সংবলিত এসব তথ্য তাদের ফেসবুক ও ওয়েবসাইটে দিয়ে সামাজিক সচেতনতাও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে একটি স্লোগান-‘বজ ধ্বনি শুনবেন যখনই ঘরে যাবেন তখনই।’ আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বজ ধ্বনি শোনার মানেই হলো, আপনি বজ্রপাতের এলাকার আওতায় আছেন। তাই অতি দ্রুত ঘরে চলে যেতে হবে। এটি সবচেয়ে বড় মন্ত্র হতে পারে বজ ঝড় থেকে নিজেকে রক্ষার। খোলা মাঠ, গাছের নিচে, জলাধারের মধ্যে থাকা যাবে না। ঘুড়ি উড়ানো যাবে না। শিলাবৃষ্টি হলেও ঘরে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা
বন্ধ রাখতে হবে। খোলা মাঠে থাকাকালে টিনের চালাযুক্ত ঘরও নিরাপদ নয়। ঘরের কাচের জানালা বা রড ধরা যাবে না। বৈদ্যুতিক ডিভাইসগুলোর প্লাগ খুলে রাখতে হবে। কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেওয়ালে হেলান দেওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকতে হবে। এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় ছাতাও নিরাপদ নয়, রাবারের জুতাও নয়। বজ্রপাতে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় বলে এইসব নিরোধক কোনো কাজেই আসবে না। জনসচেতনতা এবং আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম মেনে চলাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বজ ধ্বনি শুরু হওয়ার পর ঘরে ফিরে আধা ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা অবস্থান করতে হবে। তাহলেই বজ্রপাতে মৃত্যু হার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
শতাংশ বজ ঝড় হয়ে থাকে। অন্যদিকে জুন-সেপ্টেম্বর সময়ে ৫১ শতাংশ বজ ঝড় হয়। তবে তাণ্ডব, ধ্বংস এবং বজ্রপাতজনিত মৃত্যুর হারের দিক থেকে মার্চ-মে সবচেয়ে ভয়াবহ। তখন স্বল্প সময়ে ভারি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে; থাকে দমকা বাতাস ও ঝড়ো হাওয়া। পাশাপাশি কখনো কখনো থাকে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই দেশে বজ ঝড় হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জলীয় বাষ্প সংবলিত বাতাস বাংলাদেশে প্রবেশ করে। চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে এইসব বাতাস পাহাড়ের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে উপরে উঠে যায়। তাতে তাপমাত্রা কমে যায়। আর পশ্চিম-উত্তর দিক থেকে যে বাতাস আসে তা উষ্ণ ও আর্দ্র। উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাসের সঙ্গে উপরে শুষ্ক ও ঠান্ডা বাতাসের
মিশ্রণ ঘটে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, ঢাঙ্গাইল, পাবনা, রংপুর, রাজশাহী এসব এলাকায় ব্যাপক বজ মেঘ তৈরি হয় এবং বজ্রপাত সংঘটিত হয়। বাংলাদেশে বায়ুর দূষণও বেশি। বাতাসে সালফেট কণা বা দূষিত কণা বেড়ে গেলে তা বজ মেঘ তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ফলে পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বাষ্পায়নের হার বৃদ্ধি, পূবালি বাতাসের ঊর্ধ্বগমন এবং পশ্চিম-উত্তর থেকে আসা ঠান্ডা ও উষ্ণ বাতাসের সম্মিলিত প্রয়াসে বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে তাণ্ডব চালায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর ১ এপ্রিল থেকে বজ্রপাতের সতর্কবার্তা দেওয়া শুরু করেছে। এতে কোনো কোনো এলাকায় বজ ঝড় সংঘটিত হবে বা হতে পারে সেই জেলা বা এলাকাগুলোর নাম দেওয়া হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ
কত থাকবে এর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হবে কি হবে না ইত্যাদি তথ্যও থাকছে এতে। বজ ঝড়, শিলাবৃষ্টি, বাতাসের গতিবেগ ও বজ্রপাত সংবলিত এসব তথ্য তাদের ফেসবুক ও ওয়েবসাইটে দিয়ে সামাজিক সচেতনতাও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে একটি স্লোগান-‘বজ ধ্বনি শুনবেন যখনই ঘরে যাবেন তখনই।’ আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বজ ধ্বনি শোনার মানেই হলো, আপনি বজ্রপাতের এলাকার আওতায় আছেন। তাই অতি দ্রুত ঘরে চলে যেতে হবে। এটি সবচেয়ে বড় মন্ত্র হতে পারে বজ ঝড় থেকে নিজেকে রক্ষার। খোলা মাঠ, গাছের নিচে, জলাধারের মধ্যে থাকা যাবে না। ঘুড়ি উড়ানো যাবে না। শিলাবৃষ্টি হলেও ঘরে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা
বন্ধ রাখতে হবে। খোলা মাঠে থাকাকালে টিনের চালাযুক্ত ঘরও নিরাপদ নয়। ঘরের কাচের জানালা বা রড ধরা যাবে না। বৈদ্যুতিক ডিভাইসগুলোর প্লাগ খুলে রাখতে হবে। কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেওয়ালে হেলান দেওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকতে হবে। এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় ছাতাও নিরাপদ নয়, রাবারের জুতাও নয়। বজ্রপাতে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় বলে এইসব নিরোধক কোনো কাজেই আসবে না। জনসচেতনতা এবং আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম মেনে চলাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বজ ধ্বনি শুরু হওয়ার পর ঘরে ফিরে আধা ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা অবস্থান করতে হবে। তাহলেই বজ্রপাতে মৃত্যু হার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।