ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণে নেই বরাদ্দ, দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারদের ঘাড়ে চাপালেন এমডি
নিরাপত্তাহীনতার কারণে একে একে বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ, আরও অসংখ্য কারখানা বন্ধের শঙ্কা
প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে পদোন্নতির নামে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোরামপ্রীতি: বঞ্চিত ৮৭৯ চিকিৎসক
বিএনপির নয়নকে ‘বুড়িগঙ্গার পানি’ দিয়ে ধোয়ার মন্তব্যে ঝড়, এনসিপির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে?
মহিলা পরিষদ: অক্টোবরে ২৩১ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন-সহিংসতার শিকার
জেলহত্যা দিবস: শেখ হাসিনার বাণীতে কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা
প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে সরকারকে কড়া সমালোচনা, যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ন্যায্যতার দাবি
"আক্তারের নীরবতা কেন? নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, বললেন—এভাবে চলতে পারে না"
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি, এটিও প্রিলিমিনারি এবং উপ খাদ্য পরিদর্শক—পরপর তিনটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পরেও প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
তিনি এই ঘটনাকে সরকারের নৈতিক অবস্থানের ব্যর্থতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং অতীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঘ' ইউনিটের প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে ছাত্রলীগের ভূমিকা ও বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেকার বৈসাদৃশ্য তুলে ধরেছেন। রাব্বানী প্রশ্ন তুলেছেন, যেসব নেতা পূর্বে ছাত্রদের দাবি আদায়ে নৈতিক অবস্থান নিয়েছিলেন, ক্ষমতা বদলের পর তাদের নৈতিক চেতনাদণ্ড কেন এখন আর দাঁড়াচ্ছে না?
গোলাম রাব্বানী তাঁর বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) 'ঘ' ইউনিটের প্রশ্নফাঁস অভিযোগের প্রসঙ্গটি সামনে আনেন। তিনি বলেন,
যখন আমি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম, তখন ঢাবির ঘ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আক্তার হোসেন (বর্তমানে এনসিপির সদস্য সচিব) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন। রাব্বানী দাবি করেন, সেদিন তিনি তৎক্ষণাৎ অনশনস্থলে গিয়ে সেই দাবীর সাথে সংহতি জানান এবং ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে ফোন করে ঘটনা তদন্ত এবং সত্যতা পেলে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান। সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, "ছাত্রলীগের অনড় অবস্থান ও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের দরুণ ভিসি স্যার ও ঢাবি প্রশাসন ইতিবাচক সাড়া দিতে বাধ্য হন এবং পরীক্ষা বাতিল হয়। সেই পরিচিতি থেকে আক্তার হোসেন পরবর্তীতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক ও বর্তমানে এনসিপির সদস্য
সচিব। অথচ আজ যখন পরপর তিনটি জাতীয় পরীক্ষার ভাগ্য নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে, তখন সেই নৈতিকতার কণ্ঠস্বরগুলো নীরব।" "এগুলো দেখার কি কেউ নাই?" সম্প্রতি ৪৬তম বিসিএস প্রিলি, এটিও প্রিলি এবং উপ খাদ্য পরিদর্শক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে প্রথম সারির গণমাধ্যমে নিউজ হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষা বাতিল না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাব্বানী প্রশ্ন তোলেন, "ভুক্তভোগী ছেলেমেয়েরা অনেক লেখালেখি করলো, প্রতিবাদ জানালো, কিন্তু তারপরও পরীক্ষা বাতিল হয়নি। উপরন্তু রেজাল্টও দিয়ে দিলো। এগুলো দেখার কি কেউ নাই?" তিনি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারের বদলে নিজেদের বাছাইকৃত ইন্টেরিম ক্ষমতায় বলে আক্তার হোসেনদের নৈতিক চেতনা দন্ড এখন আর দাঁড়াচ্ছে না? নাকি কেবল রাজনৈতিক ফায়দা তোলার
জন্যই তারা অতীতের আন্দোলনগুলোতে সক্রিয় ছিলেন?" গোলাম রাব্বানী তাঁর বক্তব্যে বঞ্চিত ও যোগ্য প্রার্থীদের হতাশা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মেধাবী ও বঞ্চিত প্রার্থীদের প্রতিক্রিয়া আসলে কী? তারা এভাবে চলতে দিতে পারে না। তিনি অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগগুলো উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে, সত্যতা প্রমাণিত হলে পরীক্ষাগুলো বাতিল করে পুনরায় গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, "একটি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য এভাবে ধারাবাহিক প্রশ্নফাঁস ও দুর্নীতির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র হতে পারে না। আমরা যোগ্য ও বঞ্চিত প্রার্থীদের দাবীর সাথে পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি। আমরা দেখতে চাই, যারা পূর্বে নৈতিকতার প্রশ্নে অনড় ছিলেন, তারা এখন সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেও
সোচ্চার হন। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে মেধার অবমূল্যায়ন এভাবেই চলতে থাকলে, দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।" গোলাম রাব্বানী আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসন অবিলম্বে এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেবে এবং যোগ্য প্রার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করবে।
যখন আমি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম, তখন ঢাবির ঘ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আক্তার হোসেন (বর্তমানে এনসিপির সদস্য সচিব) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন। রাব্বানী দাবি করেন, সেদিন তিনি তৎক্ষণাৎ অনশনস্থলে গিয়ে সেই দাবীর সাথে সংহতি জানান এবং ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে ফোন করে ঘটনা তদন্ত এবং সত্যতা পেলে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান। সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, "ছাত্রলীগের অনড় অবস্থান ও প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের দরুণ ভিসি স্যার ও ঢাবি প্রশাসন ইতিবাচক সাড়া দিতে বাধ্য হন এবং পরীক্ষা বাতিল হয়। সেই পরিচিতি থেকে আক্তার হোসেন পরবর্তীতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক ও বর্তমানে এনসিপির সদস্য
সচিব। অথচ আজ যখন পরপর তিনটি জাতীয় পরীক্ষার ভাগ্য নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে, তখন সেই নৈতিকতার কণ্ঠস্বরগুলো নীরব।" "এগুলো দেখার কি কেউ নাই?" সম্প্রতি ৪৬তম বিসিএস প্রিলি, এটিও প্রিলি এবং উপ খাদ্য পরিদর্শক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে প্রথম সারির গণমাধ্যমে নিউজ হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষা বাতিল না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাব্বানী প্রশ্ন তোলেন, "ভুক্তভোগী ছেলেমেয়েরা অনেক লেখালেখি করলো, প্রতিবাদ জানালো, কিন্তু তারপরও পরীক্ষা বাতিল হয়নি। উপরন্তু রেজাল্টও দিয়ে দিলো। এগুলো দেখার কি কেউ নাই?" তিনি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারের বদলে নিজেদের বাছাইকৃত ইন্টেরিম ক্ষমতায় বলে আক্তার হোসেনদের নৈতিক চেতনা দন্ড এখন আর দাঁড়াচ্ছে না? নাকি কেবল রাজনৈতিক ফায়দা তোলার
জন্যই তারা অতীতের আন্দোলনগুলোতে সক্রিয় ছিলেন?" গোলাম রাব্বানী তাঁর বক্তব্যে বঞ্চিত ও যোগ্য প্রার্থীদের হতাশা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মেধাবী ও বঞ্চিত প্রার্থীদের প্রতিক্রিয়া আসলে কী? তারা এভাবে চলতে দিতে পারে না। তিনি অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগগুলো উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে, সত্যতা প্রমাণিত হলে পরীক্ষাগুলো বাতিল করে পুনরায় গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, "একটি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য এভাবে ধারাবাহিক প্রশ্নফাঁস ও দুর্নীতির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র হতে পারে না। আমরা যোগ্য ও বঞ্চিত প্রার্থীদের দাবীর সাথে পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি। আমরা দেখতে চাই, যারা পূর্বে নৈতিকতার প্রশ্নে অনড় ছিলেন, তারা এখন সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেও
সোচ্চার হন। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে মেধার অবমূল্যায়ন এভাবেই চলতে থাকলে, দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।" গোলাম রাব্বানী আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসন অবিলম্বে এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেবে এবং যোগ্য প্রার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করবে।



