প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে রহিমার ঠাঁই হলো গোয়ালঘরে – ইউ এস বাংলা নিউজ




প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে রহিমার ঠাঁই হলো গোয়ালঘরে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:৩৩ 124 ভিউ
১৬ বছর আগে মারা গেছেন মোর্শেদ আলি। রেখে গেছেন স্ত্রী রহিমা বেগম, তার মেয়ে ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে। ধারদেনায় কোনো রকমে মেয়ের বিয়ে হয়েছে। পরিবারের উপার্জনক্ষম কেউ নাই। ফলে অভাবে দিন কাটছে তাদের। স্বামীর ভাগে পাওয়া সম্পত্তি ভোগ করতে পারছেন না তারা। অভিযোগ করেছেন, স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন না আত্মীয়রা। ফলে প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে কাটছে তাদের দিনকাল। রোববার কথা হয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেকাসহারা গ্রামের বাসিন্দা রহিমা বেগমের সঙ্গে। রহিমা বেগম বলেন, ‘ঘরসহ অনেক কৃষি জমি স্বামী মোর্শেদ রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর পর থেকেই ভাই-ভাতিজাসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা তা দখল করে রেখেছেন। আমার ছেলে প্রতিবন্ধী, সে মারা গেলে সম্পদের ভাগ

তারা পাবে। কিন্তু ১৬ বছরে এক মুঠো চাল দিয়েও আমাদের সহযোগিতা করেনি তারা’। তিনি বলেন, ‘স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র মাটির ঘরটি গতবছরের বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। স্বামীর ভাইদের কাছে সাহায্য চাইলেও তারা বারবার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি আমার অসহায়ত্বের কথা প্রতিবেশীর কাছে জানালে তারা আমাকে গোয়াল ঘরে থাকতে দিয়েছেন’। তিনি আরও বলেন, ‘দিনে মাছির যন্ত্রণা, রাতে মশার কামড়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। ছেলের শরীরে ক্ষত দেখা দিয়েছে, চিকিৎসার সামর্থ্য নেই। নিজেও ঠিকমতো খেতে পারি না। ধারদেনা করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি’। আশ্রয় দেওয়া প্রতিবেশী মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি দুই রুমের ঘরে বাস করছি। বারান্দার একটি অংশে গরু রাখি। হঠাৎ রহিমা তার অসহায়ত্বের

কথা জানিয়ে আশ্রয় চান। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাবে, কি করবে? এসব চিন্তা করে ফিরিয়ে দিতে পারিনি। তিনি জানান, ওই ঘরের একটি অংশে চৌকি দিয়ে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। রহিমার স্বামীর সম্পদ যদি তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়; তাহলে তার অসহায় হয়ে থাকতে হবে না। নিজের সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও গোয়ালঘরে থাকা অমানবিক। অভিযোগের বিষয়ে রহিমার ভাসুরের ছেলে মাহবুব হাসান বলেন, জমির ভোগদখল দিচ্ছি না; অভিযোগ সঠিক নয়। তবে কাগজপত্র ও ভাগ নামার বিভিন্ন শরীকদের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না তারা। মূলত আমরা কেউ তার সম্পদ আটকে রাখিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফোনের ছবি নিরাপদ রাখবেন যেভাবে ‘সতর্ক’ সরকারের উচ্চ সুদে দেড় বিলিয়ন ডলারের ঋণ দাবি না মানলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে কারখানার আগুন কবিরহাটে বিএনপি জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১০ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে হামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, সিরিজ খেলবে না আফগানিস্তান মক্কা নগরী ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সৌদির দোহায় বসছে পাকিস্তান-তালেবান বৈঠক, মধ্যস্থতায় কাতার ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলই চিনতাম না: জয়া আহসান গাজায় মালয়েশিয়ার মানবিক সহায়তা রাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের একমাত্র বিজয়ী কে এই নার্গিস মিম্বারে বসেই ছিঁড়ে ফেললেন সেই খতিব ফের ইতিহাস গড়ল স্বর্ণের দাম, দেশে ভরি কত শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় টাকা দেওয়ার কথা বলে আমবাগানে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ ৫০ টাকার লোভ দেখিয়ে ১০ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টা পাকিস্তানের সেনা অভিযানে আফগান সীমান্তে ১৮ ‘জঙ্গি’ নিহত ব্রিকসের ব্যাংকে সদস্যপদ পেতে চীনের সমর্থন চায় পাকিস্তান